আজকের প্রথমআলোতে 'কর্মজীবী মায়ের শিশূ চিন্তা, কি করা?" বিষয়ক লিখা নিয়ে একটু লিখতে ইচ্ছে হল। কর্মজীবী মায়েদের এ সমস্যা বিষয়ে প্রথম আলোর প্রস্তাবনা হল,'কর্মজীবী মায়েরা তার শিশু সন্তানটিকে নিকটাত্মীয়,বন্ধু-পরিজন কিংবা ফ্লাটের বা মহল্লার বিশ্বস্ত কারো কাছে রেখে যাবেন। যার কাছে রেখে যাবেন তাকে এ বাবদ মাসিক একটি উপযুক্ত ভাতা প্রদান করা হবে।" এ বিষয়ে সমাজের বিশিষ্টজনদের মতামতও প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে আমার যে ভাবনা তা প্রকাশ করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
মায়েদের এ যন্ত্রনার কথা নতুন করে কিইবা বলার আছে ! তবে এই যে বলা হল, কর্মজীবী মায়েরা তার শিশু সন্তানটিকে নিকটাত্মীয়,বন্ধু-পরিজন কিংবা ফ্লাটের বা মহল্লার বিশ্বস্ত কারো কাছে রেখে যাবেন, এই যে নিকটাত্বীয়,বন্ধু-পরিজন, ফ্লাট বা মহল্লার ব্যাক্তি তারা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? এ বিষয়ে বিশ্বস্ততার মাপকাঠি কি হবে?এখানে তো প্রশিক্ষণের বিষয়টিও যুক্ত।
তার চেয়ে যদি প্রত্যেক কর্মপ্রতিষ্ঠানই এর দায়িত্ব নেন তবে কেমন হয়? বিষয়টি যদি কর্মজীবী মায়ের কর্ম করা নিয়ে হয় তবে এর দয়িত্ব কর্মপ্রতিষ্ঠানেরই নেয়া উচিৎ। অর্থাৎ মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে না ফেলার মত। অর্থাৎ সন্তানের জন্য কর্মজীবী মায়ের কর্ম পরিত্যাগ না করা। আমরা আজকের আলোচনায় 'বাংলাদেশ উদরাময় গবেষনা কেন্দ্রে' কর্মরত মায়ের স্বষ্তির কথা পড়েছি। তার প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। এবং এতে তিনি সন্তুষ্ট। এটাই তো সাভাবিক। একটু ভেবে দেখুন আপনার প্রতিষ্ঠান আপনার সন্তানের নিরাপত্তা-সুস্থতা-মাতৃস্নেহ নিশ্চিত করছে, তবে আপনি কেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিক হবেন না? কোন মা-বাবাই সন্তানের নিরাপত্তা-সুস্থতা নিয়ে আপোষ করবেন না।ব্যাক্তিগত উদ্যেগে গড়ে উঠা ডে-কেয়ার সেন্টার,আত্বীয়,বন্ধু-পরিজন এগুলোতো সাময়িক সমাধান। কিস্তু কর্মক্ষেত্র তো ষ্থায়ী। অন্তত: তাদের একটা এগ্রিম্যান্ট থাকে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে। একজন মা যখন তার সন্তানকে নিয়ে নিশ্চিন্ত হবেন তখনই তিনি প্রডাক্টিভ কিছু করতে পারবেন। আর এতে লাভবান হবেন প্রতিষ্ঠান।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ গুলো কে আপাত অর্থে যে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলা হচ্ছে সেখানে কর্মজীবী মায়েদের অবস্থান কোথায়? সেটা একটু বলবেন কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




