ইউনেস্কো "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" পালন করেছে। এর মানে শুধু বাংলা ভাষাকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। সব দেশের সব জাতির নিজ নিজ ভাষাই তার মাতৃভাষা। আর সবার মাতৃভাষাকে সম্মান জানাতে এই দিবস পালন করা হয়।
মা যেমন সবার কাছে সম্মানের। বিশ্ব মা দিবস যেমন সবার। ঠিক তেমন এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও সবার। এর পাশাপাশি ইউনেস্কো কালচারাল ডাইভারসিটিকেও এই দিনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তার মানে পৃথিবীতে যত রকমের জাতি আছে, যত রকমের নিজ নিজ সংস্কৃতি আছে - সবাইকে সম্মান জানাতে হবে। কোনো আগ্রাসনে কোনো জাতির সংস্কৃতি, ভাষা যেন বিলীন হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এই কালচারাল ডাইভারসিটির গুরুত্ব হলো- কেউ হিজাব পরলো কেন তা নিয়ে টাট্টা করা যাবেনা। কেউ গেরুয়া পরলো কেনো- তা নিয়েও তামাশা করা যাবেনা। কেউ দাঁড়ি রাখলেও শ্রদ্ধা করতে হবে। কেউ মাথার পেছনে লম্বা টিকি রাখলেও তা সম্মানের চোখে দেখতে হবে।
কাউকে কাইল্ল্যাও বলা যাবেনা। কাউকে মালাউন বলেও বিদ্রুপ করা যাবেনা। কাউকে মোল্লা বলেও তুচ্ছ করা যাবেনা।
আরেকজনের ক্ষতি না করে সবার সব আচরণকে, সবার সব সংস্কৃতিকে সম্মানের চোখেই দেখাই হলো - কালচারাল ডাইভারসিটি। জাতিতে জাতি মিলেমিশে একসাথে থাকাই হলো মাধুর্য্যতা। আর সহন করবে কিন্তু দহন করবেনা-এটাই হলো সবচেয়ে বড় সভ্যতা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫২