নাঃ! এটা মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, বাজার, অফিস, ইলেকশানের ব্যাপার নয়।
এটা আওয়ামীলীগ, বিএনপি, ভারত, পাকিস্তান, ইহুদি, নাসারার ব্যাপার নয়।
এটা কোনো আস্তিক, নাস্তিকের ব্যাপার নয়।
এটা কোনো হিন্দু, মুসলিম, কাফের, মুশরিকের ব্যাপার নয়।
এটা আজ শুধু মানুষের বাঁচা মরার ব্যাপার।
আদমের সন্তানেরা যেমন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে।
উহানের একটি মাত্র ভাইরাসও সারা পৃথিবীতে আজ।
আপনি হয়তো বুঝতেও পারছেন না।
আপনার অজান্তেই আপনার শত্রু আপনার কত নিকটে পৌঁছে গেছে।
শত্রুর সাথে শত্রুুর মোকাবিলা সহজ- যদি সে শত্রু দেখা যায়।
কিন্তু অদেখা শত্রুর মোকাবিলা কঠিন।
আততায়ী যদি আপনাকে দেখে, কিন্তু আপনি না দেখেন।
সেই শত্রুর মোকাবিলা করা আরো কঠিন।
সেই নির্মম, নিষ্ঠুর শত্রুর মোকাবিলা আপনাকে করতে হচ্ছে
যে আপনার মাঝে বাস করে-
আপনাকেই ধ্বংস করতে এগোচ্ছে।
চৌদ্দ দিনে গোপনে আপনার দেহসাম্রাজ্য দখলের পরই
সে তার প্রথম কর্তৃত্বের ঘোষণা দিবে।
সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
আততায়ী খুব দ্রুত এগোচ্ছে।
এই অদেখা শত্রুর বিরুদ্ধে ওহানের যুদ্ধ কৌশল ছিলো
সবাই স্ট্যান্ড স্টিল হয়ে যান। সবাই লকডাউনে যান।
বাঁচতে হলে- বাঁচাতে হলে-
এই দুঃসময়ে মানুষের কাছ থেকে মানুষ ছয়ফুট দূরত্বে দাঁড়ান।
আজ তাই, ভাইরাসেরই আঁতুড়ঘরেই হয়েছে ভাইরাসের পরাজয়।
বিজয়ের উদযাপনে ভাসছে উহানের কোটি মানুষের হৃদয়।
কিন্তু বড় দেরি করে ফেলেছে ইতালি।
আইসিইউর ব্যাড আর খালি নেই।
পিতার লাশের পাশে সন্তান নেই।
স্বামীর লাশের পাশে স্ত্রী নেই।
শেষ ফিউনারেলে কোনো মানুষ নেই।
পঁচাশি, আশি, পচাত্তর- মৃত্যু ঘোষণার বয়সক্রম ধীরে ধীরে কমছে।
লাশের সারি প্রতিদিন দশ, বিশ, শত, পাঁচশ করে বাড়ছে।
একে একে লকডাউনে যাচ্ছে সব।
নিভিছে সব আশার দেউটি।
ইতালির মতো যদি মৃত মানুষের লাশের সারি
এই দেশে আপনি দেখতে না চান।
তবে খুব দ্রুত সবকিছু লকডাউন করে
এই দুঃসময়ে বাঁচতে এবং বাঁচাতে
মানুষেরই কাছ থেকে মানুষ কমপক্ষে ছয়ফুট দূরত্বে সরে দাঁড়ান।
লকডাউন হয়ে গেলে যারা কুলে,মুটে, শ্রমিক, দিনমজুর
ওদের হবে কি? বুভুক্ষু মানুষের আহার যোগাবে কে?
নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে দেশব্যাপী সেবা ইউনিট গড়ে তুলুন দ্রুত।
আর অন্ততঃ লুটের চিন্তা বাদ দিয়ে এই কয়েকটি মাস।
সবাই পীর, দরবেশ, সাধু, সন্তু , সন্ন্যাস , মানবিক মানুষ হয়ে যান।
মানুষকে বাঁচাতে মানুষ কমপক্ষে ছয়ফুট দূরত্বে সরে দাঁড়ান।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৯