আমেরিকায় কয়েদিদের রাখার জন্য কারেকশান সেন্টার আছে। এই কারেকশান সেন্টারের কয়েদিরা রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা থেকে নানা রকমের উন্নয়নমূলক কাজ করে। প্রায় সময়ই রাস্তার দুপাশে একটা বিশেষ রকমের পোষাক পরে এদের কাজ করতে দেখা যায়। অনেক চিন্তা করে দেখলাম এই দূর্যোগকালীন সময়ে এ পর্যন্ত যে সকল চাল চোর ধরা পড়েছে। এটা একটা বিশাল টীম। এদেরকে দিয়ে সরকার চাইলে আমাদের দেশেও এই সংকটকালীন সময়ে নানারকম জনকল্যাণমূলক কাজে লাগাতে পারে।
১) গার্মেন্টেসে কাঁচামাল আছে। কিন্তু গার্মেন্টস কর্মী বাহিনী নাই। এদেরকে দিয়ে মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি বানাবার কাজে লাগানো যেতে পারে।
২) হাসপাতালে জনবল সংকটের এই সময়ে এদেরকে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
৩) হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করার কাজে লাগানো।
৪) শহর এখন যানজট এবং জনজট মুক্ত। শহর পরিষ্কার রাখার এটা একটা বিশাল সুযোগ। শহরের রাস্তাঘার পরিষ্কার রাখার কাজে এই চোর বাহিনীকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
৫) সৌন্দর্য্য বর্ধনে এদেরকে দিয়ে গাছ লাগানো যেতে পারে।
৬) নর্দমা পরিষ্কার, মশক নিধন ইত্যাদি কাজ করানো যেতে পারে।
৭) এদেরকে দিয়ে মৃত করোনা রোগীর জন্য কবর খোড়া, লাশ দাফন করানো- এতে এদের পাপ কিছুটা কমবে।
৮) এদের পোষাকে "আমি করোনা রোগী" -এই সাইন লাগিয়ে শহরে ঠহল করানো গেলে- মানুষকে আর জোর করে ঘরে ঢুকাতে হবেনা।
৯) কাজের মহিলার ছুটিতে যে সব ঘরে নানা রকমের গৃহস্থালী কাজ, ধোয়ামুছা করা ইত্যাদি সমস্যা হচ্ছে সেসব ঘরে পালাক্রমে গিয়ে কাজ করে দিয়ে আসবে। তবে গৃহকর্তাকে খুব সাবধানে থাকতে হবে- যেন ঘরের জিনিস চুরি হয়ে না যায়।
১০) সামনে বিশাল খাদ্য সংকট আসছে। জরুরি ভিত্তিতে এদেরকে খাদ্য উৎপাদনে কৃষিকাজে লাগানো যায়। এক বস্তা চাল উৎপাদনে একজন কৃষকের কী পরিমান কষ্ট করতে হয়- সেটা এদের উপলব্ধি করার দরকার আছে।
এই চোরদের আর কীভাবে কাজে লাগানো যায়- এ ব্যাপারে আপনার কোনো আইডিয়া থাকলে জানাতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০১