আপনারা কি বুঝতে পারছেন?
পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস সহ জাপান, চায়না, ব্রাজিল, ইতালী দেশের পত্রিকায় ফেক করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে যে বাংলাদেশের বিপদজনক ব্যবসার খবর এসেছে-তার কি ভয়াবহ পরিনাম হতে যাচ্ছে- কেউ কি কল্পনা করেছেন। এটা শুধু একটা খবরই নয়। এটা একটা বিপদজনক রেড সিগনাল।
যে কোনো রোগের চিকিৎসা শুরুর আগে এখন কোভিড ১৯ টেস্ট করাতে হয়। এটার পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্টের ওপরেই নির্ভর করা হয়- আপনার পরবর্তী চিকিৎসা কি হবে। চিকিৎসার জন্যও যদি আপনাকে বিদেশ যেতে হয়- তবে করোনা সার্টিফিকেট লাগবে। আর এই সার্টিফিকেট পুরো বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে একটা আস্থাহীনতার জায়গায় নিয়ে গেছে। অনেক ছাত্র বাইরের দেশে পড়তে আসে। কেউ অভিবাসী হওয়ার প্রক্রিয়ার মাঝামাঝি জায়গায় আছে। কেউ শ্রম ভিসায় বিভিন্ন দেশে যায়। প্রতিটি মানুষের সাথে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন জড়িয়ে আছে।
সবার স্বপ্ন আজ হুমকির মুখে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না হলে যেমন ভিসা প্রসেস হয়না। ঠিক তেমনি করোনা ক্লিয়ারেন্স না হলেও কারো ভিসা হবেনা। এখন এই করোনা ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট তো বিদেশের কোনো এ্যাম্বেসি বিশ্বাস করবেনা। কারো কাছেই গ্রহনযোগ্য হবেনা। সবারতো আর প্লেন ভাড়া করে- হাইপ্রোফাইলে লিংকের মাধ্যমে বিদেশ আসাও সম্ভব না।
আপনাদের হয়তো বিচার হবে। অথবা সামান্য শাস্তি পেয়ে আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে আসবেন। নতুন উদ্দীপনায় টকশোর হোস্ট হয়ে জাতিকে আবার নব উদ্যমে পজিটিভ দিকনির্দেশনা দিবেন। কপাল ভালো থাকলে মানবপাচারকারী এমপির মতো এমপিও হয়ে যাবেন। কিন্তু একটা দেশকে কী ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিলেন- একবারও কল্পনা করেছেন? শাহেদ,সাবরিনাকে পৃথিবীর কোন দেশ চিনবেন না। চিনবে বাংলাদেশকে। চিনবে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির দেশ হিসাবে। সামান্য অর্থের লোভে একটা দেশকে বিশ্বব্যাপী "রেড কোডেড" লিস্টে আপনারা ফেলে দিলেন।
দ্রুত ট্রাইবুনাল গঠন করে মানুষ নামক এইসব নরপশুদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যাতে অন্ততঃ বিশ্বপত্রিকায় দ্রুত আরেকটি খবর দেখতে পাই- করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে জড়িত সবার- সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরী করেছে- সে দেশের সরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৫