এক) অপরাধীকে ফোকাস করার আগে যদি তার ধর্মটাকে ফোকাস করেন -তাতে অপরাধী ধর্মের আড়ালে চলে যায়। কোনো ধর্মই মানুষকে অপরাধী করেনা। মানুষের কর্মই তার ধর্মকে কলংকিত করে। বিষধর সাপের আবার ধর্ম কি? তার ধর্ম শুধু একটাই- যখন যাকে সামনে পাবে- তখই তাকেই সে ছোবল দিবে।
দুই)সাপের ছোবলে আরো দুটি মায়ের কোল খালি হতে পারতো। শিপ্রা দেবনাথ আর শাহেদুল ইসলাম সিফাত মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকে ফিরে এসেছেন। পুরো জাতি উনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাব্বুল আলামীন উনাদের হেফাজত করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষও উনাদের সাথে ভালো আচরণ করেছে বলে উনারা প্রেসের সামনে জানিয়েছেন। পুলিশ আর সেনাবাহিনী একই সাথে কাজ করছে- এটাও একটা ভালো দিক। মেজর সিনহার হত্যাকান্ডের সময় উনারা তাঁর সাথেই ছিলেন। কাজেই এই মামলার এ দুজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ।
তিন) এরকম একটা নির্মম হত্যাকাণ্ড যাদের চোখের সামনে ঘটেছে- যারা কারাগারে ছিলেন- তারা আসলেই ট্রমাটাইজড। তাই-সবকিছু বলার জন্য- ধীর-স্থির হওয়ার জন্য উনারা দশদিন সময় নিয়েছেন। একদিক দিয়ে ভালো। কিন্তু, পুরো ঘটনাটি যেহেতু উনাদের চোখের সামনে ঘটেছে-তাই উনাদের কোনো তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহের প্রয়োজন হবেনা। উনারা যেহেতু প্রেসের সামনে আসার একবার সুযোগ পেয়েছিলেন-তাই আর মাত্র দুটি মিনিট সময় নিয়ে আসল ঘটনা বলে দিলেই এ মামলার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তৈরি হয়ে যেতো। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে অন্ততঃ একডজন ব্যরিস্টার বন্ধু আছেন। হয়তো উনারা এ ব্যাপারটি ভালো বুঝবেন। আমি শুধু মনে করছি-
আর্মি রেন্জার পেট হত্যাকাণ্ডের সময় জখমকৃত সাথী বলেন- আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন পরে - আগে আমার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শিপ্রা-সিফাত দশদিন সময় নিয়েছেন। এই দশদিন সময়টা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা সময়- ২৪ বছরেও শেষ হবে কিনা কে জানে। জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড। ইতোমধ্যে টেকনাফে "সৎ অফিসার ওসি প্রদীপে"র মুক্তির দাবীতে মিছিল দেখে চমকে ওঠেছি। তাই, ভয় হয়- এই দশদিনের ভিতর ট্রয়ের ঘোড়ার কাঠ সংগ্রহ হয়ে যাবে, ঘোড়াও তৈরি হয়ে যাবে। দূর্গের সমস্তু প্রতিরক্ষা ভেদ করে ট্রয়ের ঘোড়া হয়তো কোনো ফাঁক দিয়ে ঢুকেও যাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০০