somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাচা মাতব্বর চাচী দজ্জাল

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাতব্বর চাচাকে বললাম- চাচা আপনি এতো ভদ্র মানুষ। কিন্ত শেষ বয়সে এমন দজ্জাল মেয়ের গলায় মালা দিলেন কেন? সংসারেতো অশান্তি হবে। যার গলায় মালা দিলেন- সেতো আপনার মাতব্বরিই কিছুদিন পরে অস্বীকার করবে।
চাচা বললেন-ভাতিজা তুমি আসলে কম বুঝ। বুঝলে এমন কথা বলতা না।
বুঝিনা বলেইতো- চাচা জানতে চাইলাম।
শোনো। আমার সংসারের চেয়ে এখন দরকার -নিজ এলাকারে কন্ট্রোলে আনা। মহল্লায় গুন্ডা -পান্ডার সংখ্যা বেড়ে গেছে। নিজের ঘরে নিজে যত যাতা খাই সমস্যা নাই। কিন্তু মহল্লারেতো গুন্ডাপান্ডাডেরকে দিয়ে দিতে পারিনা। এদেরকে শক্ত হাতে টাইট দেয়ার জন্য আমার দরকার তোমার চাচীর মতো একটা দজ্জাল টাইপ মহিলা। দজ্জালকে ফিরিশতা দিয়ে বাগে আনা যায়না। দজ্জালকে দজ্জাল দিয়ে বাগে আনতে হয়।

আমাদের জো বাইডেন চাচাও ঠিক এই কাজটি করেছেন। কমলা চাচীর গলায় মালা পরিয়েছেন। যে চাচী প্রাইমারিতে চাচাকেই রেসিস্ট বলেছিলেন। কিছুদিন আগে শতাব্দীর সেরা ডায়লগ দিয়ে কমলা চাচি- নিজেকে ফোকাস করেন। চাচী বলেছিলেন- আমেরিকার সাদা ঘরে কোনো প্রেসিডেন্ট বাস করেনা। একটা ক্রিমিনালই বাস করে।

কমলা চাচীর বাবা জ্যামাইকান। আর মা ভারতীয়। চাচীর বয়স যখন সাত বাবা-মার ডিভোর্স হয়। চাচীজান মন্দিরে আর চার্চে ঘুরাফেরা করেই শৈশব পার করেন। তিনদিন থাকেন মায়ের সাথে , তিনদিন বাপের সাথে। আর একদিন বইনের সাথে একেলা। সুতরাং চাচির শৈশব অতো সুখের ছিলো না। বাবা-মা আলাদা হয়ে গেলে হয়তো শান্তি পান। কিন্তু সন্তানদের জীবন যায় অশান্তিতে। চাচীর পোড় খাওয়া জীবন। বাইডেন চাচা একটা বারুদ পছন্দ করেছেন। মাইক পেন্স চাচাও ভদ্র মানুষ। ভিপি ডিবেটে পেন্স চাচার খবর আছে। আফসোস- ট্রাম্প চাচার সাথে কমলা চাচির ডিবেইট টা দেখার। জোবাইডেন আর মাইক পেন্স দুজনেই দুধভাত। খেলা হবে ক্রসখেলা। কমলা চাচীর সাথে ট্রাম্প চাচা। চাচা- প্রতি সেকেণ্ডে একটা করে ট্যুইট করছেন- আর চাচীরে ন্যাস্টি ন্যাস্টি বলে গাইল পারছেন। দিনে একটার বেশি স্ট্যাটাস লিখলেন- আমার ভাইবেরাদররা বলেন- আর কোনো কাম কাজ নাই কিনা। আমি বলি- আমার দেশের প্রেসিডেন্ট প্রতি মিনিটে মিনিটে ট্যুইট আর ফেবুতে স্ট্যাটাস লিখে- আমিতো এই দেশেরই নাগরিক :) :)

যাউকগা- রাজনীতিটা কেমন দেখেন। সিংহভাগ মুসলিম ভাইবেরাদররা গে, লেসবিয়ান, এররশন ইত্যাদি পছন্দ করেন না। ট্রাম্পও এগলা পছন্দ করেনা। কিন্তু মতের মিল থাকলেও বেশিরভাগ মুসলমানই ট্রাম্প চাচারে ভোট দেয়না। ট্রাম্প চাচাও মুসলমানদের মনের মানুষ মনে করেনা। চাচার প্রিয় মানুষ হলেন জুস ভাইবেরাদররা আর প্রিয়া সাহা দিদিরা। গত নির্বাচনের আগে ভারতেতো ট্রাম্প চাচার পুজো দেয়া হয়েছে। এবার, কমলা চাচির মায়ের বাড়ি মাদ্রাজে। সুতরাং বুঝতাছিনা-এবার ভারতীয়রা কারে ভোট দিবে। চায়না ঐদিকে ভারতের ঠেলতাছে। বাইডেন বলেছেন- এসব ঠেলাঠেলি পছন্দ করিনা। দুনিয়ার প্রতিটি সীমান্তে শান্তি চাই। কিন্তু তারপরও সিংহভাগ ভারতীয়রা বাইডেন চাচারে ভোট দিবেনা। ট্রাম্পকেই ভোট দিবে- কারণ- ট্রাম্প চাচা যেহেতু মুসলমানগো পছন্দ করেনা। চাচা মুসলমানগো পছন্দ না করলেও সৌদিদের আবার খুব পেয়ার করে। ৮ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ সামগ্রী বেছে দিতে পারলে মহব্বত না করে উপায় আছে । সৌদি এই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনে আবার মুসলমানগো দেশেই প্রয়োগ করে। রাশিয়া মনপ্রাণে চায়- পাশের দেশের প্রেসিডেন্ট একজন রামভোদাই হোক। অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট যত রামভোদাই হবে- নিজ দেশের পাওয়ারতো তত বাড়বে। পুটিন এখন রাশিয়ার একছত্র অধিপতি হওয়ার পর বিশ্বঅধিপতি হওয়ার চিন্তায় আছে। যদিও নিজ দেশের ৯০ ভাগ সম্পদ এখন মাফিয়াদের দখলে। টিকা নিয়ে পুতিন যে খেলা দেখালো- রাশিয়ার বিগ্গানীরাই বললো- এটা বোগাস। মিথ্যা দিয়ে বিশ্ব জয় করার এমন খেলা বিশ্বপতিরা আগে কখনো খেলেনি। মুখেই রাজা উজির মেরে সবাই বাদশাহ হওয়ার খেলায় মগ্ন আছে। রাশিয়া, চায়না , নর্থকোরিয়া সবাই চায়- হিরো আলমই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকুক। ট্রাম্পতো আমেরিকারই হিরো আলম। আমাদের হিরো আলমের একটা দূর্ভাগ্য খেলতে খেলতে সে এমপি হতে পারেনি। কিন্তু আমেরিকার হিরো আলমের একটা সৌভাগ্য খেলতে খেলতে সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছে :) :)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×