যেকোন ভাষার বিবর্তন হয় কথ্য বা সাধারণের মুখের ভাষা থেকে। যেমনি বিভিন্ন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান বাংলা ভাষার উদ্ভব। (ইতিহাস আমাদের জানা তাই বিস্তারিত লিখলাম না)
আমাদের দেশে ২টি বিষয়ে ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ নেই। বিষয় ২টি হচ্ছে- (১) মোবাইল ফোন ব্যবহার (প্রয়োজন থাক বা না থাক) এবং (২) ডিশ লাইন বা স্যাটেলাইট চ্যানেল সংযোগ।
শুনেছিলাম ডিশ লাইন দেশে আসার আগে এক রিক্সাওয়ালার স্ত্রীর কথা- 'একবেলা কম খাইতে দিও, তাও একখান ফিলিম (সিনেমা) দেখতে দিও।' আর বর্তমান ডিশ স্যাটেলাইট চ্যানেলের যুগে যেখানে বস্তি থেকে বাড়িধারা সর্বত্রই ডিশ চ্যানেলের দাপুটে উপস্থিতি সেখানে দিন অসংখ্য সিনেমা নাটক দেখা যায়। আর চ্যানেলগুলোর ৯০% ই হিন্দী ভাষার। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ইংরেজি ছবি দেখে ইংরেজি ভাষা রপ্ত করতে না পারলেও হিন্দী ছবি দেখে হিন্দীটা বেশ রপ্ত করে ফেলেছে এবং এগুলো যত্রতত্র ব্যবহারও করছে। ইদানিং আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোতেও বাংলা-ইংরেজি মিশ্রণের মত বাংলা-হিন্দী মিশ্রিত আজব নাটকও প্রচার করছে। নিলর্জ্জের মত। আবার এসব চ্যানেলই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা-শহীদদের ত্যাগের কথা প্রচার করে।
এতসব কিছু দেখে মনে আশংকা হচ্ছে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারের মত অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমার মায়ের ভাষা বাংলা চ্যানেলগুলোর অতিরিক্ত হিন্দী-প্রীতির কারণে বাংলা-হিন্দীর মিশ্রিত (বান্দী) ভাষায় না রূপান্তরিত হয়।
আমার মতামতঃ কিছু বাজে হিন্দী চ্যানেল বাদ দিয়ে ইরানী ইসলামিক চ্যানেল এবং ইংরেজি ভাল চ্যানেলগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক যা আমাদের যুব সমাজের কাজে লাগবে। দেশের সভ্য সমাজের কাজছ বিষয়টি নিয়ে ভাববার অনুরোধ করছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


