নাতি-নাতনীকে নিয়ে দাদু যাদুঘর দেখাতে নিয়ে গেল। যাদুঘর ঘুরতে ঘুরতে তারা এক বিশেষ রুমে এসে পৌছুল। এখানে রুমে ফ্যান ঘুরছে, লাইট জ্বলছে। টিভি, ফ্রিজসহ বৈদু্তিক সকল যন্ত্রপাতিই এখানে উপস্থিত। নাতি-নাতনীরা দাদুকে বলল ঐটি কি? এটিই বা কি? দাদু তাদেরকে বলছে, এটি ফ্যান বিদু্তের সাহায্যে এটি ঘুরে এবং বাতাস দেয়। ঐটি লাইট, আর ঐটি টিভি।
পাঠক ভাবছেন আমি কি আবল তাবল লিখছি। না। হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন বিদু্ৎ কি তা দেখতে হয়তো আমাদের টিকিট কিনে যাদুঘরেই যেতে হবে। সেদিন হয়তো খুব দুরে নয়। দেশের বিদু্ৎ যে হারে লোপ পাচ্ছে তাতে সে দিন বেশি দুরে নয় হয়তো। বিদু্ৎ লাগে না এমন কোন উন্নয়ন সেক্টোর আসে কিনা আমার জানা নেই। অথচ তাজ্জব এ দেশের তাজ্জব কর্ণধারা তাজ্জব উন্নয়নের কথা বলেন বিদু্তের উন্নয়নের কথা না ভেবেই। দেশকে বিদুতে সাবলম্বী করতে কত অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন। সে পরিমান টাকা কি ব্যয় করা যায় না?
আমাদের দেশে যেখানে বিমান বন্দরের নাম বদলানোর জন্য শত-হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা যায়, যার ফলে দেশের বা দেশের মানুষের কোন উপকার হয়না। তাহলে বিদু্তের মতো এমন জরুরী একটি বিষয়ে কেন এতো কার্পন্য, এতো অবহেলা। আসলে কেউই দেশের ভালো চায়না, চায়না দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা ভালো হোক। দেশের উন্নতি হোক।
কামনা করি আমাদের দেশের নেতা কর্মীদের চিন্তা চেতনা পজিটিভ খাতে প্রবাহিত হোক। দেশের জন্য তাদের প্রাণ কাঁদুক।
নয়তো নতুন প্রজন্মের সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতা দেশের কান্ডারীর দায়িত্ব তুলে নিক নিজের হাতে। এমন একটি প্রত্যাশা ও স্বপ্ন দেখাটা আমার শেষ হোক।
ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


