আজ বিকেল ৩ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১০’ এর শেষ সেমিনার।
সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তির উন্নয়ন’। সভাপতিত্ব করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর ই-পার্লামেন্ট রিসার্চ (সিইপিআর)-এর সভাপতি ও সংসদ সদস্য ড. আকরাম এইচ চৌধুরী, বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজিব আহমেদ ওয়াজেদ এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
আলোচনার শুরুতেই সেমিনারের সভাপতি ড. তৌফিক-ই-ইলাহী সৃজনশীলতাকে সামনে রেখে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশে ভূমিকা তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ দেশের তরুণ প্রজন্মই একদিন আগামীর বিশ্ব রচনা করবে। এ সেমিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকরী প্রোপট তৈরির একটি অনন্য অভিযাত্রা।
মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করতে গিয়ে অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আলোকপাত করেন ভিশন ২০২১ এর উপর। সেজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে একটি ল্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ পরিক্রমায় প্রথমে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধকতা ও দুর্বলতাকে চিহ্নিত করতে হবে। অর্জনের দিক গুলো আলোচনা করে সেসব প্রতিবন্ধকতা ও দুর্বলতাকে সম্ভবনায় রূপ দিতে হবে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্র্যান্ডিং করতে হবে বৈদেশিক বিনিয়োগ, পর্যটন ও রপ্তানি খাতের মাধ্যমে। উপলব্ধি এবং বাস্তবতার মাঝে ব্যবধান কমিয়ে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করে যেতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী গুরুত্ব আরোপ করেন সামাজিক উন্নয়নের উপর। গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নেতিবাচক বা অসঙ্গতিপূর্ণ ঘটনা প্রবাহকে তুলে না ধরে ইতিবাচক দিকগুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার প্রতি তিনি মত দিয়ে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের সমান্তরালে তথ্যবাহী সব উপাদানের সমতা ও বৃদ্ধি করতে হবে।
বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজিব আহমেদ ওয়াজেদ বলেন, আমাদের বিশ্বমানের অনেক কিছুই আছে। আমরা ম্যানুফেকচারার হিসেবে বিশ্বে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের নিজস্ব কোন ব্র্যান্ড নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনার কারণ হচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ব্র্যান্ডিং এর জন্য তেমন কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে তাই কাজ করে যাচ্ছে। ভিশন ২০২১কে একটি অন্যতম ব্র্যান্ড উল্লেখ করে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ জানান, এদেশের ইতিবাচক দিকগুলোকে এখন থেকেই তুলে ধরতে হরে সারাবিশ্বে। সেেেত্র এ প্রজেক্টের স্থায়িত্ব, ধারাহিকতা ও দৃঢ় সংকল্পের উপর জোর দেন তিনি।
আলোচনায় ড. আকরাম এইচ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা করেন। বাংলাদেশকে একটি তথ্য ও জ্ঞানের ভান্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের সাথে সংসদ সদস্যদের সরাসরি যোগসূত্র স্থাপনের গুরুত্বও তুলে ধরেন ড. আকরাম এইচ চৌধুরী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





