somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫ বছর পর বিজয় ফিরে এল এ নববর্ষে। কাহিনীবহুল একটা দিন কাটলো আজ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল (১৩ই এপ্রিল) বিকেলে বুয়েট থেকে ফোন করে সাগর বললো, কাল ( আজ, নববর্ষের প্রথম দিন) ফ্রি আছিস তো? একটা গ্রেট সারপ্রাইজ ওয়েট করছে। যে কোন ভাবেই হোক সকাল ৮টায় বুয়েটের রশীদ হলে চলে আসতে হবে। বললাম, ঠিক হ্যায়। আসছি।
সন্ধ্যা পর্যন্ত(গতকাল) সিটি কলেজের উল্টো দিকে ফিনক্যাপ অফিস রুমে আমাদের জাতিসংঘ ছাত্র ও যুব সমিতির (ইউনিস্যাব) নির্বাহী সদস্যদের মিটিং চলে। নতুন সেট আপ-এর পর আমরা স্টারে গিয়ে খাওয়া দাওয়ার পর্ব সেরে নিই এবং যথারীতি ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিওন। রাত ১১টা বেজে গেল ফিরতে। এসেই টয়লেটে। ২টা পর্যন্ত টয়লেটে আসা যাওয়া। দোষটা স্টারের না। আমারই। সকাল থেকে বাইরে আজে বাজে খাওয়া দাওয়া করে কখন যে পেটের বারটা বেজে গিয়েছে, খেয়ালই করিনি। আড়াইটায় সাগরকে এসএমএস করে জানাই, দোস্ত আমার ফিজিকাল কন্ডিশন কাল তোদের সাথে বেড়ানোকে পারমিট নাও করতে পারে। চান্স ফিফটি ফিফটি। একটা নিওটেক এবং একটা মেট্রিল খেয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে শুয়ে পড়লাম।
আজ সকাল সাড়ে আটটা। সাগর ফোন দিয়ে বললো, এখন কি অবস্থা শরীরের? শোন, বেটার ফিল করলে চারুকলার দিকে চলে আয়। বলেই ফেলি, সারপ্রাইজ হচ্ছে- বিজয় এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। তোদের সবার জন্য ওয়েট করছে। আমি কিন্তু তখনও ঘুমের ঘোরে। বিজয়ের কথা শুনে সম্বিত ফিরে পাই যেন! লাফ দিয়ে উঠে বললাম, আমি আসছি। ওয়েট কর। শাওয়ার নিতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে পান্তা-ইলিশ খেয়ে রওনা দিলাম চারুকলার উদ্দেশে।
মতিঝিলে বিকল্প বাস তখন দাড়িয়ে। তাড়াহুড়া করে উঠে পড়ায় পরে ফল ভোগ করতে হল অবশ্য। কন্ট্রাক্টর নাকি বলেছিল শাহবাগ হয়ে যাবে না। ঠিকই আমি মালিবাগে গিয়ে আবিষ্কার করলাম সেটা। কিন্তু ততক্ষণে আমি ট্রাফিক জ্যামের কবলে। রোড ক্রস করে রিক্সা নেই। সেগুনবাগিচা পর্যন্ত গিয়ে রিক্সা আর নড়েচড়ে না। নেমে পড়লাম। দিলাম হাঁটা। প্রচন্ড ভিড় ঠেলে প্রায় এক ঘন্টা পর চলে আসি গন্তব্যস্থলে। চারুকলার ভিতরে গিয়ে যখন বিজয়কে দেখলাম, তখন চোখে খানিকটা জল এসে গেল। ৫ বছর পর দেখা। কুশল বিনিময় করলাম কাউসার, নাহিদ, ইশতিয়াক, শুভ, নজরুল, দিপু ও নোমানীর সাথে।
আমরা এসএসসি ও এইচএসসি ০৩ ও ০৫ ব্যাচ। একসাথে মতিঝিল মডেল হাইস্কুল ও নটর ডেম কলেজে পড়েছি। কাউসার চুয়েট থেকে এসেছে শুধু এ রি-ইউনিয়নের জন্য। ও চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর চুয়েট প্রতিনিধি। নাহিদ আছে এআইইউবিতে ইলেক্ট্রিক্যাল-এ। ইশতিয়াক বুয়েটে সিএসসি ( টার্ম ৪-লেভেল ১)-এ। ও দিগন্ত টিভির সায়েন্স ডট কম’এর অ্যাংকর ছিল। শুভ সলিমুল্লাহ মেডিকেলে আছে। ছাত্রলীগের কোন একটা পোস্টে আছে। নজরুল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছে। দিপু ও সাগর বুয়েটে ইলেক্ট্রিক্যাল-এ। নোমানী পড়ছে ন্যাশনাল মেডিকেলে। সবার সবশেষ আপডেট জানলাম অনেক দিন পর। কিছুক্ষণ গল্প গুজব শেষে আমরা ফের বুয়েটে চললাম। বুয়েটের শহীদ মিনারে এসে বাণী ( ঢাবি, সোসিওলজি) ও øিগ্ধাকে ( জাবি, বাংলা) পাই। দুপুর হয়ে এল আড্ডায়। বুয়েটে আমের শরবত খেয়ে রওনা হই পুরান ঢাকার নিরব হোটেলে। চিকেন বিরিয়ানির এ পর্বে হোস্ট ছিল বিজয়। লাঞ্চ শেষ করে আমরা গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে এদিক সেদিক যাই এবং রাতে ফের একসাথে হওয়ার প্রাথমিক প্ল্যান সেরে ফেলি। প্ল্যান অনুযায়ী আমি, ইশতিয়াক, দিপু, কাউসার, নাহিদ ও শুভ চলে আসি বুয়েট হলে। সেখানে মিউজিক আর মুভি শেষে ইশতিয়াক ও কাউসার সহ এআইইউবির কনসার্টে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম। ইডেনের পাশ দিয়ে যেতে যেতে আমার ভার্সিটি বন্ধুদের অনেক কাহিনীর কথা মনে পড়ে খুব হাসি পেল। যা হোক, সিএনজি না পেয়ে সাপে বর হিসেবে পেয়ে গেলাম এসি বাস। উঠলাম। চলতি পথে আমার আর ইশতিয়াকের কথাবার্তার বিষয়বস্তু ছিল অর্গাজম ও আর্টিস্টিক ফিজিকাল রিলেশনশিপ নিয়ে। কাউসারও এসে যুক্ত হল অনিচ্ছাসত্ত্বেও। অবশ্য বিয়ে, ক্যারিয়ার, আমার ও কাউসারের সাংবাদিকতা জীবনের কিছু খন্ড খন্ড গল্পও উঠে আসে ঐ মহাগুরুত্বপূর্ণ আলোচনায়। সংসদ ভবনের সামনে এসে আমরা বুঝতে পারলাম এআইইউবিতে যাওয়া সম্ভব না। নেমে পড়লাম। দেখলাম ভেতরে সংসদ ভবনে লোকজন হাটছে। আমাদেরও খায়েশ হল যাই একবার। দু:খের বিষয়, শেষ সিড়ি পর্যন্ত গিয়ে আরেকটু হলে পুলিশ মামার বেতের বাড়ি খেতে হত। ততক্ষণে তেনারা টের পেয়েছেন যে বাঙালিরা ওখানে উঠে পড়েছে। ( আমরা অবশ্য ভেবেছিলাম আজ হয়ত ওপেন করা হয়েছে পাবলিকের জন্য। সেজন্য একটু অবাকও হয়েছিলাম বৈকি..)। ফিরে এসে রিক্সায় উঠলাম সংকর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য। অতীত স্মৃতি আর ভবিষ্যত নিয়ে আবার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। ওদেরকে বিদায় দিয়ে সংকর থেকে আমি উঠে পড়লাম মৈত্রী পরিবহনে। মতিঝিল পর্যন্ত নাকি যাবে না গাড়ি। তাই শাহবাগ পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে ঘুম ঘুম চোখে বসে পড়লাম সিটে। শাহবাগ এসে গাড়ি ঘুরাতে লাগলে সায়েন্স ল্যাব থেকে উঠা যাত্রীরা বেশ গোলযোগ শুরু করেন। তারা ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন মতিঝিল যাওয়ার জন্য। সে কী গালাগালি। পারলে ড্রাইভারকে ধরে মাইর লাগায় কয়েকজন। আমার ধান্দা অবশ্য ভিন্ন। শাহবাগ পর্যন্ত দশ টাকা উশুল। এখন না নামতে পারলে আরও ভালো। এক টানে মতিঝিল। জোস হয়! দেখা যাক কী হয়! শেষ পর্যন্ত যাত্রীদেরই জয় হয়। বাস শাহবাগ থেকে গুলিস্তানে যাওয়ার প্ল্যান করে। আমিও খুশি। যাক বাবা। আর দুই টাকার মামলা। যাওয়ার সময় দিয়ে দিব। আমার হেটে যাওয়া ও রিক্সা ভাড়া বাবদ বেঁচে যাওয়া প্রায় ৪০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম খাওয়া যাবে। বাস চলতে লাগল লোকাল বাসের মত। জায়গায় জায়গায় সিগনালে উঠে পড়ছে লোকজন। কন্ট্রাক্টর দুই টাকা করে বেশি নিয়ে ফাটাফাটি খ্যাপ মারছে। অন্য যাত্রীরাও এ খ্যাপ দেখে ক্ষেপছেন না কারণ আজ নববর্ষ। সবার মাঝে কিছুটা হলেও সহনশীলতার মনোভাব অন্তত এ ব্যাপারে। বাস গুলিস্তানে আসার আগেই আমি আমি রেডি। নেমে পড়তে হবে। নেমেও গিয়েছিলাম কিন্তু দেখলাম কন্ট্রাক্টর মতিঝিলের জন্যও যাত্রী উঠাচ্ছে। আমি আবার সট করে উঠে কন্ট্রাক্টরকে বললাম, মামা আগে কইবা না মতিঝিল পর্যন্ত যাচ্ছ? উঠেই আবার একটা সিট পেয়ে যাই ভাগ্যক্রমে। সিটে বসেছিলেন আমার মতই আরেকজন ইয়াং লেডি। মনে মনে ভাবলাম, যাক! ভাগ্যদেব আজ সত্যি সত্যিই আমার উপর সহায়। সুন্দরী রমনী অবশ্য মতিঝিল পর্যন্ত আমার পাশে বসা ছিলেন। ভাব জমাতে পারলাম না সাগরের ফোনের জন্য। শালা ফোন করে বলে পীরজঙ্গি মাজারের বিপরীতে রেলওয়ে হসপিটালের ভেতরে সবাই বসে আছে। আসব কি-না জানতে চাইল। বললাম আসছি। ততক্ষণে বাস মতিঝিলের কাছাকাছি। রমণী নেমে যাবেন। আমিও উঠে গিয়ে নামতে লাগলাম ও আরেকবার জিজ্ঞেস করলাম মামারে, সামনে যাইবা নাকি এখানেই শেষ? এামার উত্তর, আরামবাগ পর্যন্ত। আমি আবার সিটে আসার জন্য উপরে উঠতে গিয়ে রমণীর সাথে আই কন্টাক্ট করলাম। আসলেই সুন্দর। বসে পড়লাম সিটে তৃতীয়বারের মতো। মনে মনে শ্রীকান্তের গান.. রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কি হবে তোমার..। আরামবাগে থামল বাস। আমি নামতে যাব এমন সময় কানে এল বাস আরেকটু যাবে ফকিরাপুল পর্যন্ত। এবারও বাস ছাড়া হল না। ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টর মামার সাথে রসিকতায় মেতে উঠলাম ২/১ মিনিট। রসিকতার মূল বিষয় ছিল, আমি মামার কাছ থেকে মতিঝিলের বর্ধিত ভাড়া বাবদ ২ টাকা চেয়ে নিয়ে তার বদলে ফকিরাপুল পর্যন্ত ভাড়া বাবদ ৫ টাকা দিলাম। টাকাটা দিয়েই যখন বললাম যে এটা ফকিরাপুল পর্যন্ত আরও তিন টাকা হিসাবের ভাড়া, তখনই আমরা সবাই একযোগে হাসাহাসি শুরু করলাম..।
আইডিয়াল কলেজ হয়ে পীরজঙ্গি মাজারের বিপরীতে রেলওয়ে হসপিটালে ঢুকলাম। সেখানে গল্পের বক্তা হিসেবে সক্রিয় ছিল শুভ। শ্রোতা হিসেবে নাহিদ, সাগর, সুমন, বিজয় ও দিপু। বিষয়, বরিশাল মেডিকেল থেকে আহত হয়ে ডিএমসিতে এডমিট হওয়া ছাত্রলীগের এক নেতাকে কেন্দ্র করে। আমাদের আরেক দোস্ত জাকির পলিটিক্যাল বড়ভাই তিনি। জাকিসহ বরিশাল মেডিকেলের আরও তিনজন সিনিয়র নেতা জুনিয়র আরও ২০ জনকে নিয়ে বড়ভাইকে ভর্তি করাতে আসে ডিএমসিতে। শুভ শেল্টার দেয়। শেল্টারের সময় একটা গ্রুপ যায় ঢাবির হলে ও আরেকটা গ্গ্রুপ যায় মিটফোর্ডে। ওখানে ৫ দিনে ঘটে যাওয়া সব মজার মজার কাহিনী ও জাকি'র আচরণ নিয়েই মূলত চলতে থাকে গপ্প। ৫ দিনের কাহিনী কিছুটা প্রাইভেট বলে বলা হচ্ছে না। কিন্তু জাকি'র একটা ছোট অদ্ভুত আচরণ নিয়ে বলি। সেটা হচ্ছে, ওর একটা ইয়ারমেটকে ওর ভালো লেগেছিল। ও ওর ক্লোজ ফ্রেন্ড মেহেদিকে এটা জানালে মেহেদি ওকে বুঝায় যে, জাকিকেই সরাসরি অ্যাপ্রোচ করতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। জাকি আর মেহেদি হল থেকে চলে আসে ক্যাম্পাসে। মেহেদিকে বলে, অই, ওরে এখনি ফোন দে। বল, আমি ওর সাথে কথা বলবো। মেহেদির ফোন পেয়ে ঐ মেয়ে নির্ধারিত স্থানে আসে। জাকি মেয়েিেটকে দেখে কিছুক্ষণ মাথা চুলকায়। তারপর বলে, শোন, আমি তোকে পছন্দ করি। আই মিন, ভালবাসি। মেয়ে নাকি পুরা আকাশ থেকে পড়ে। কিছুক্ষণ আমতা আমতা করে উত্তর দেয়, নাহ জাকি। তোমারে আমি আমার একজন ভাল ফ্রেন্ড হিসেবে জানি। কিন্তু এটা সম্ভব না। জাকি তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর দেয়, ওওওওও। এটা আগে কইবা না? আচ্ছা ঠিক আছে। গেলাম। এই হল আমাদের জাকি।...
শুভ’র পরবর্তী গল্প ছিল নোমানীর বিয়ে নিয়ে। যে কোন কারণেই হোক, নোমানী আর ওর খালাতো বোন ডিসিশন নেয় যে ওরা বিয়ে করবে। শুভকে খবর দেয়া হল। শুভ মালিবাগে ওর চেম্বার শেষে পরবর্তী দিন রওনা হয় পাবনায়। বাসে যেতে যেতে বিয়ের কথা জানানো হল। টায় টায় টাকা। চিন্তা করতে করতে পৌছানো গেল পাবনায়। কোন একটা স্টেশনে নেমেই নোমানীর হাগা চাপলো। শুভর হাতে ব্যাগ দিয়ে গভীর অন্ধকারে ও কাম সারতে গেল। ৩টা বেনসনের সাথে আধ ঘন্টা শেষ। স্টেশনে কেউ আর নাই দুই তিনটা কুকুর ছাড়া। নোমানী আসে না। ফোন বিজি। ফিরে আসল ওর ভাবি বউয়ের সাথে কথা বলতে বলতে। মেজাজ সংযত রেখে ওরা রিক্সায় চলতে লাগল আরেক জায়গায় যেখানে এটলিস্ট লোকজন থাকবে। আরেকটা স্টেশনে গিয়ে ওখানে ওয়েটিং রুমে কাটল দু ঘন্টা। ততক্ষণে আলো ফুটে ভোর। লোকাল বাসে চড়ে ওরা তখন পাবনা শহরে। প্ল্যান অনুযায়ী নোমানীর খালাত বোন ও বোনের বান্ধবীরা চলে এল কলেজের সামনে। ওখান থেকে উকিলের কাছে। উকিলের বাড়িতে কয়েকদিন আগে নাকি আওয়ামী লীগের লোকজনরা হামলা করেছিল। তাই বাড়ির বেহাল দশা। শুনে শুভর হাত পা ঠান্ডা। ঢাকা হলে একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু এটা পাবনার আওয়ামী লীগ। কোন কারণে যদি আবার এটাক হয়, তাইলে তো পুরা ধরা। যা হোক, প্রাথমিক প্ল্যান ছিল দেনমোহর একলাখ হবে। কিন্তু পরে নোমানী দুই লাখ করে জানিয়ে দেয় উকিলকে। উকিল সে অনুযায়ী যখন ওর কাছে দুই হাজার টাকার কথা বলে, তখন তো নোমানী কট। যেভাবেই হোক আবার একলাখ করে দেন- উকিলকে জানায় সে। উকিলও নানা ছলে শেষ পর্যন্ত দুই লাখই বহাল রাখেন। এবার কাজী অফিসে যাওয়ার পালা। কাজী অফিসে আসার পর কাজীর জিজ্ঞাসা, প্রেম করে বিয়ে? নোমানীর উত্তর, জ্বি। কাজীর জিজ্ঞাসা, কত বছরের প্রেম? নোমানী তার হালকা দাড়িতে আঙুলের ঁেছায়া লাগিয়ে বলে, দশ বছর। কাজী প্রথমে অবাক ও পরে সংযত হয়ে গদগদ ভঙ্গিমায় বলে উঠেন, বাহ বাহ। খুব ভালো খুব ভালো। কাজীর কাজ সেরে উকিল বাবা শুভ মেয়ের পিতার মামলার শঙ্কা করতে করতে নোমানীকে নিয়ে ফের যাত্রা শুরু করে ঢাকা অভিমুখে। খালাতো বোন থেকে স্ত্রীতে রূপ নেয়া নোমানীর বউ আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের প্রথম ভাবি। শুভ’র ভাষ্যমতে, নোমানীর বউকে রূপের দিক থেকে টপকাতে আমাদের যে কারও বউকেই যথেষ্ঠ প্রতিযোগিতা করতে হবে।
শুভ’র গল্প শেষে সাগরের টিউশনি, ইশতিয়াকের মেডিকেল মেয়ের প্রতি বিয়ে করার বিশেষ ইচ্ছা, জাবিতে স¤প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জঙ্গলে আকাম, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের কনসার্টে ১০০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর পবিত্র কাজের শাণে নূযুল, ফ্যাক্টরি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমার নতুন চাকরি ও বিয়ের ডিসিশন থেকে সরে আসা, অস্ট্রেলিয়ায় বিজয়ের কাটানো কিছু দিনের কথাও গুরুত্ব সহকারে স্থান পায়।
কাল, অর্থাৎ ১৫ই এপ্রিল রাতে আমরা পাবনার পাকশীতে যাচ্ছি নাইট জার্নিতে। ওখানে একটা বাংলো ম্যানেজ করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল ওখানেই হবে বাকি আড্ডাগুলো। অপেক্ষায় আছি কনফার্মেশনের জন্য। প্রায় ৫ বছর পর আমরা আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের প্রায় সব বন্ধুরা আজ একসাথে অনেক মাস্তি করলাম বিজয়ের বাংলাদেশে আবির্ভাব উপলক্ষ্যে। এর আগেও আমাদের গেট টুগেদার হয়েছিল অনেকবার। তবে এবারের মতো এত বেশি বন্ধুরা মিলে নববর্ষে দিন কাটানো- সত্যিই চিরজীবনের জন্য স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা হয়ে রইল।
সবাইকে শুভরাত্রি।
- মিনহাজ মোর্শেদ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১২
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×