আমাদের দেশে সুন্দর ভাবে যেভাবে হিন্দু ভাইদের শারদীয় দুর্গা উৎসব সহ অন্যান্য পূজা উদযাপিত হয় নিরাপত্তা দেয়া হয় সরকারী ভাবে ঠিক তার বিপরীত ঘটনা হয় ভারতে। মুসলমানরা কোরবানী দিতে পারেননা। দিলেও খুব সামান্য পরিসরে। অন্ধ ভারতপ্রেমীরা কি জানেন, ভারতের মুসলমানেরা কোরবানি নিয়ে কেমন বিব্রত অবস্থার মধ্যে থাকেন? জিলহজ মাস সে দেশে আতঙ্কের মাস। ১৮৯৬ সালে ডোগরা রাজা কাশ্মিরে গরু জবাই নিষিদ্ধ আইন জারি করে। এ আইন অমান্যকারীর তিন বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ গুজরাটে জারিকৃত আইনে গরু জবাইকারীর সাত বছরের জেলের বিধান রয়েছে। ২০০২ সালে উত্তরপ্রদেশ আইন করে গরু জবাইকারীর শাস্তি দুই বছরের জেল অথবা এক হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান জারি করেছে। পাঞ্জাবে এ অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ দশ বছরের জেল এবং এক হাজার রুপি জরিমানার বিধান রয়েছে। এভাবে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচলসহ প্রায় প্রত্যেকটি রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে নানা আইন করা হয়েছে। শুধু কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে সীমিত পরিসরে গরু জবাইয়ের অনুমতি রয়েছে।
একজন মুসলমান হিসেবে এ দেশের মাটিতে জন্ম নেয়ায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া। ‘তাকওয়া’ অনুসারীদের কোরবানি যেন আল্লাহ কবুল করেন। ইসলামের সব ধর্মীয় বিধান পালনে সৌম্য আর ভ্রাতৃত্বের উদাহরণ যেমন দেদীপ্যমান, ঈদ আনন্দও হবে ধর্মীয় আবেগে ভরপুর এক পরিশীলিত নিয়ম মেনে । ঈদ কোনো কথিত সার্বজনীন লোকজ উৎসব নয়; এটা শুধু মুসলমান উম্মাহর একান্ত নিজস্ব খুশির দিন। সবাইকে ঈদ মোবারক!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



