দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ভয়াবহ ভাঙন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ২৮ ও ২৭ মে দুপুরের জোয়ারে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্মরণকালের ভয়াবহ ভাঙন এবং জলোচ্ছ্বাসের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙনে ২১টি বসতবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাজারে ও জলোচ্ছ্বাসে ৬টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের চতুর্দিকে ভাঙন ধরলেও মারাত্মক ভাঙন ধরেছে উত্তর ও পশ্চিম অংশে বিশেষত কবরস্থানের বেশিভাগই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক কবরে মৃতদেহ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির বাউন্ডারি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাছাড়া ৬ জন মাঝি-মাল্লাসহ একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে ডুবে গেছে। মাঝিমাল্লারা সাঁতরে তীরে ফিরলেও ফিশিং ট্রলারটি সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আবদুর রহমান মেম্বার আলহাজ নুর আহমদ ওই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ভয়াবহ ভাঙন এবং জলোচ্ছ্বাস এর আগে আর হয়নি। এমনকি ইতিহাসবিখ্যাত একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হারুনুর রশিদ ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসের সত্যতা স্বীকার করেছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও সাবেক মেম্বর আলহাজ নুর আহমদ জানান, ২৮ মে দুপুরে জোয়ারের পানি ৮ থেকে ১০ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সাগরের ঢেউ জনবসতিতে এসে পড়ে। এতে দ্বীপের চতুর্দিকে ভাঙন ধরে। এতে উত্তরপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে হাফেজ আহম্মদ, ফজল আহমদের ছেলে শামসুল আলম, ফজল আহমদের ছেলে রবিউল আলম, ফয়জুর রহমানের ছেলে ছদু মিয়া, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামসুল আলম, আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ছিদ্দিক, নজির আহমদের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবদুল কুদ্দুস, নজির আহমদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন, কবির আহমদের ছেলে সাবের এবং মছিউল্লাহ, ছৈয়দ উল্লাহ, আমিন উল্লাহ, মছিউল্লাহ, ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণপাড়া দুদু মিয়ার ছেলে ফজল আহমদ এবং ডেইলপাড়ার আমিন উল্লাহ, শামসুল আলম, মো. রফিক, ফিরুজা বেগমের বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বসতভিটা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাজারের মো. আমিন, মনির উল্লাহ, আলী আহমদ, হাবিব উল্লাহসহ ৬টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা আরও জানান, দ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম অংশে অর্ধকিলোমিটার, শীলবনিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া মসজিদ পর্যন্ত, নেভী গেট থেকে জাদিবিল কবির মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত, হোটেল সীমানা পেরিয়ে থেকে গলাচিপা পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে শাহ পরির দ্বীপ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল মেম্বার জানান, ২ দিন ধরে শাহ পরির দ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন