আজকে বিকালের দিকে শুভ (বলদা) ফোন দিয়ে বলল যে, বের হতে। কারন গতকাল রাতে পাটুর সাথে নাকি বলদা’র কি নিয়ে যেন লাগছিল, আর তাই কাল রাতে পাটু আমাকে ফোন দিয়ে বলল যে, কি করা যায়! আমি বললাম যে, কি আর করবি, খারাপ ব্যাবহার করছিস তো এখন আর বদলান যাবে না, তুই সবাইরেই খাওয়াই দে। আর পাটুও রাজি, তাই আজকের এই যাওয়া। তা বের হলাম প্রায় ৫টার দিকে, হেঁটেই রওনা হলাম বলদা’র বাসার দিকে। কিন্তু ওর বাসার কাছাকাছি এসে আমি পাটুরে ফোন দিলাম যে, কি অবস্থা, কতদূর ওরা! কিন্তু এর মধ্যে একটা কাণ্ড ঘটে গেছে, পাটুর বাসায় নাকি মইনুল (চিংড়ি) আর মাক্কু (মাকসুদ) এসে হাজির! কি আর করার, ওরাই দলে ভারী। আর তাই এখন ধানমণ্ডির কাদেরের চাপের বদলে যেতে হবে রায়ের বাজার এ।
কিন্তু বলদা’র বাসার সামনে এসে বলদাকে ফোন দিয়ে শুনলাম যে, ও নাকি অনেক আগেই বের হয়ে গেছে। মেজাজটা কেমন লাগে, আমি আসলাম ওর বাসায়, আর শালায় চলে গেছে। ঝাড়ি দিলাম একটা ওরে বিশাল, কিন্তু হালায় বলদা তো বলদাই, কয় যে রায়ের বাজার নাকি যাবে না। আরও মেজাজটা চড়ে গেল ভীষণ। রিকশা নিয়ে একাই গেলাম, ওখানে গিয়ে মসজিদের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম যখন, তখন দেখি, পাটু আর মাক্কু মিলে আমার নামে স্লোগান দিতে দিতে হোন্ডায় করে আসছে! যাক, অনেক দিন পরে চিংড়ি আর মাকুরে দেখে ভালই লাগল। কিছুদিন আগে মাকু হাসপাতালে ভর্তি ছিল, কিন্তু আমি যেতে পারিনি, তাই দেখে আরও ভাল লাগল। পরে আমরা ওখানে বেশ করে হালিম খেলাম পরটা দিয়ে। চমৎকার খাওয়া, কিন্তু চিংড়ি কিছুই খেল না কেন জানি। পরে শুনি যে পাটু নাকি ঝালকাঠি থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে আসছে বেশ কিছু, আর রাত্রে আমাদের দাওয়াত! কেমন লাগে! আমি পেট পুরে খেলাম, আর এখন শুনি এই দাওয়াত! যাক, মনটা তো ভাল ছিল পেট ভরার কারনে, তাই আর বিশেষ কিছু বললাম না।
পরে গেলাম পাটুর বাড়িতে। ওখানে গিয়ে পাটুর দুলাভাই আর আপাকে দেখলাম, আর সাথে ওর কিউট পিচ্চি ভাগ্নিকে। কিন্তু ভয় পেলাম ওর কুত্তাটা দেখে, কারন কিছুদিন আগেই আমার ভাগ্নেকে কুত্তা কামরায় কিছু রাখে নাই। কি আর করার, কিন্তু চিংড়ি আর মাকু দেখি ভালই কুত্তারে আদর করে! তা করুক, আমি এর মধ্যে নাই। পরে গেলাম ছাদে, আর বেস মজা করে গল্প করলাম। কিন্তু এর মধ্যে ভেদু (আশিক) আমাকে ফোন করে বলল যে, ও আছে ১৫ নম্বর এ, তাই ওকেও আসতে বলে দিলাম। আর ভেদু আসলে বেশ জমায় আড্ডা দিলাম। ভেদু ওর ডাক্তারির বেশ কিছু এক্সপেরিয়েন্স বলল, যা শুনে আমরা হাসতে হাসতে শেষ প্রায়। আরও মজা লাগল যে, মাকু নাকি অসুখের পরে থেকে বিরি খেতে পারে না, কিন্তু সব্বাইরেই বিরি ধরাইয়া দেয়! পোলাপাইন ও তো বান্দর কম না, ওরাও বিরি খেয়ে ওর মুখেই ধোয়া ছাড়ে। পরে ভাত খেয়ে আমি আর ভেদু রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্য।
অনেক দিন পরে কিন্তু আমরা সবাই ই মন খুলে আড্ডা দিলাম বলতে গেলে। আর ইস্কুলের বন্ধুদের মধ্যে যেন এই আড্ডাটার মাত্রা অনেক বেশি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



