নেহাতই প্রেমের গল্প। কাহিনীর পটভূমিতে চলে এসেছে বৈশ্বিক আর চলমান রাজনৈতিক পেক্ষাপট। তারপরও তুমূল হট্টেগোল 'মাই নেম ইজ খান' নিয়ে। যে মারাঠা মন্দির প্রেক্ষাগৃহ টানা চৌদ্দ বছর শাহরুখ-কাজলের দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে চালিয়ে গিনেজ বুকে নাম লিখিয়েছিলো, সে মারাঠা মন্দিরেই পিছিয়ে গেল শাহরুখের নতুন এ মাস্টারপিসের দৃশ্যায়ন। ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সুদিনে এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিলো বাল ঠাকরের শিবসেনা। কারন জোহরের নতুন মুভি বেশ একটা ইসু এনে দিলো তাদের। তাইতো মুভিতে হালের 'মুম্বাইকে' পুরোনো 'বোম্বাই' বলার মতো সামান্য বিষয়গুলো নিয়ে ফলাও করে হাঙ্গামা তাদের। মোদ্দা কথা, ফিল্ম-টিল্ম কিছু না, শিবসেনাদের প্রয়োজন ছিলো হল্লা করার ইসু, তারা সেটা খুঁজে নিয়েছে।
এবার সাদা কথায় জানাই কি আছে মাই নেম ইজ খান-এ। ছবিতে প্রেম আছে, আগেই বলেছি। কারন জোহরের আগের মুভিগুলোর চে আলাদা হতে এ ছবিতে আছে দুটি স্পষ্ট বক্তব্য। এক, ৯/১১'র পর বিশ্ব দু'ভাগে বিভক্ত : আমজনতা আর টেররিস্ট। দুই, ভালো-মন্দের চিরকালের দন্দে শেষ জয়টা ভালোরই হয়। এ দুয়ের বাইরে পরিচালক দেখিয়েছেন, মুসলামানদের নিয়ে যে একটা ভ্রান্ত ধারণা গড়ে উঠেছে, তার স্বরূপ। মাই নেম ইজ খান বলছে, মুসলমান মানেই টেররিস্ট -এ ধারণাটা একেবারেই ভুল।
যাই হোক, কাল ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ছবিটা। গতকাল আবুধাবীতে হয়েছে জমকালো প্রিমিয়ার। শিবসেনার প্রতিক্রিয়ায় তো মুক্তির আগেই সুপারহিট মনে হচ্ছে। দেখা যাক ময়দানে নেমে কি খেলা দেখায় মাই নেম ইজ খান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




