হুট করে একটা কবিতা লিখে ফেললাম।
ঋষির পরানে জাগিল এ কোন আশা,
জাগতিক প্রেম বাঁধিলো কি মনে বাসা?
হায় ঋষিবর! এ কোন খেয়াল তব?
তব প্রেমগাঁথা,
কোন মুখ লয়ে, সকলের তরে কব?
পাপের অনলে গড়া ছিলো এই দেহ,
পাপ মন তাতে হইলো এমনই দহ,
জনমের তরে হ’নু ব্যাথাতুর,
জানিলো না জেনো কেহ।
ধিক! তব প্রাণে এ কোন নেশার ছল?
মুহূর্তক্ষণে বিপথ গমনে, হইলে কি তুমি খল?
ফিরে এসো তব কঠোর তপাঙ্গনে,
মায়াডোর ছাড়ি,
নতুন পূজার শ্লোক গাঁথি লও মনে।
অন্তরে বাজে কেবলই সে সুরধ্বনি,
নাগ আমি, মোরে ডাকিছে জানিনে, কোন অপরূপ মনি!
তৃষ্ণায় ভরে বুক,
কোন সায়রের সুধা পানে হবে জনমের তরে সুখ?
গুনীন তুমি, দেবতার তরে সঁপেছিলে তব প্রাণ,
লোভ-লালসার প্রলোভ ভুলিয়া, করেছিলে ‘নিজ’ দান।
স্মরো সেই দেবতারে,
যার কৃপা লয়ে ভূবনে আসিয়া লভিয়াছো আপনারে।
জানি জানি সখা, সবই আছে মনে, ভুলি নাই নিজ-কাজ,
এই দোটানা-ই দহে প্রতি পলে, দিয়ে জনমের লাজ।
সে বড় বেদনা, বুঝিবে না তুমি, বড় অসুখের জ্বালা,
যদি পারো দিও ক্ষমিয়া আমারে, আজ বিদায়ের বেলা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




