প্রাককথন : প্রোটাগনিস্ট লেখাগুলো আমায় আজীবন টানে। আনাড়ি হাতে শুরু করলাম এই উত্তমপুরুষের দিনলিপি। পাঠকের মন্তব্য আশা করছি। ধন্যবাদ।
আমি অভাজন। মানুষের ভাগ্য জেনে যদি নাম রাখা হতো, তাহলে আমার পিতামাতা-ই জন্মের পর নামটা রাখতেন। তারা জানতেন না বলে রেখেছিলেন ভিন্ন একটা নাম। জীবনের মাঝপথে এসে তাই নিজেই নিজের উপযুক্ত নামটা ঠিক করে নিলাম। বাস্তবতার ফাঁকফোকরে লুকিয়ে থাকা আনন্দ আর কষ্ট মেশানো অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সঙ্গে বেটে নিতে চাই। অনেকের ভালো লাগবে, অনেকে খুঁজে পাবেন নিজ জীবনের প্রচ্ছায়া আর অনেকেই নাক সিঁটকে বলবেন, ‘এ-ও কোনো লেখা হলো নাকি?’ সবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানিয়েই শুরু করলাম ব্লগভূবনে আমার দিনলিপি, ‘অভাজনের খেরো ব্লগ’।
........ বুধবার
সকালে বৃষ্টি ছিলো। মন খারাপ নিয়ে দিন শুরু করলাম। আজ রমেনা বুয়া আসবে না, আগেই বলেছিলো। নাস্তা করলাম বাসার পাশে মিজানের হোটেলে। মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি বলেই হয়তো সবকিছু ঝকঝকে লাগছিলো। ঘরে না ফিরে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। ক’দিন ধরে টাকাপয়সায় বেশ টানাটানি যাচ্ছে। পত্রিকায় কিছু লেখার বিল জমে আছে। ভাবলাম আরিফ ভাইয়ের সাথে দেখা করি। বিল না দিয়ে আরিফ ভাই আরেকটা লেখার ফরমায়েশ দিলেন। দুপুরে ছোটখালার বাসায় গেলাম, মোহাম্মদপুরে। খালাতো বোন লিয়ানার পরীক্ষা সামনে। অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও অংক দেখিয়ে দিলাম। সত্যি বলতে কি, আজকাল পড়াশোনাকে ভীষণ ভয় পাই। ভয়টা অনার্সের পর থেকেই জেঁকে বসেছে। সাইর্ফুস থেকে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স -সব গুলে খেয়েছিলাম রীতিমতো। তারপরও গত বিসিএস-এ ভাইভায় বাদ পড়ে মনটা একদম দমে গেছে। এখন ভাবছি সব ছেড়েছুড়ে সাংবাদিকতাতেই থাকবো। হাজার হলেও নিজের মতো করে থাকতে পারা যায়। একটু টাকাকড়ির সমস্যা থাকলেও স্বাধীনতার অভাব হবে না। বিকেলে মালিবাগ গেলাম। স্কুল বন্ধু উজ্জ্বল ওখানে একটা অফিস নিয়েছে। অ্যাডফার্ম। কদিন ধরেই যেতে বলছিলো, ওদের ক্রিয়েটিভ সেকশনে কাজ করতে। অফিসটা দেখে ভালোই লাগলো। মনে হচ্ছে এ লাইনটা খারাপ না। পরে ভাবলাম, কাজ নেই বলে হয়তো যেটা দেখি সে কাজই ভালো লাগছে। দেখি, উজ্জ্বলের সাথে আরেকদিন বসে বিষয়টা খোলাসা করে নিতে হবে। বিকেলেই নয়া পল্টনের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার সময় দেখলাম খুব হট্টগোল হচ্ছে। পরে জানতে পারলাম বিএনপি অফিসের সামনে কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ করেছে। সামনে নির্বাচন, এ সময় এ ধরনের হামলা মোটেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। দেখা যাক কি হয়। রাজনীতি নিয়ে তেমন একটা ভাবনা নেই আমার। তবু দেশের ভবিষ্যতে উদ্বিগ্ন না হয়ে কি থাকা যায়?
আজ এ পর্যন্তই। কাল সকালে আরিফ ভাইয়ের সাথে একটা অ্যাসাইনমেন্টে যেতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




