somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ-এর তান্ডব ও কিছু কথা

০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।


০২।



প্রথম ছবিটি ১৯৪৪ সালে ক্রিসমাসের আগের দিন বুদাপেস্টে তোলা। নাৎসী সৈন্যরা কিছু ইহুদীকে হত্যার আগে উলঙ্গ করে ছবিটি তোলে।
দ্বিতীয় ছবিটি ২০১১ সালের ০৯ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ হাবিবুর নামের এক বাংলাদেশীকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করার সময় তোলা হয়। পরে, তার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দেয় বিএসএফ।

হাবিবুরকে নিপীড়ণের ভিডিও:


এই দুটো ছবির ঘটনার প্রসঙ্গ ও মানুষরা ভিন্ন কিন্তু ঘটনাগুলোর মাঝে একটি অন্তমিল আছে আর তা হলো এক জাতির প্রতি আরেক জাতির ঘৃণা এবং তা হতে উদ্ভূত পাশবিকতা।

বিএসএফের নির্যাতনের আরো কিছু ছবি:


মিন্টুজয় মন্ডল; বিএসএফ নির্যাতনে হারিয়েছেন হাত ও একটি চোখ।


গুলি করে কুকুর মারার মত এক বাংলাদেশীকে হত্যা করল কিছু বিএসএফ ।


বাংলাদেশীদের প্রাণের কোন মূল্য নেই ভারতীয় বিএসএফদের কাছে.....


অভাগা বাংলাদেশী !


বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়া হতভাগ্য বাংলাদেশী.......

সাম্প্রতিক কিছু খবর:

* সম্প্রতি দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ।(সূত্র)

* ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাহাপাড়া-ডাকাতপাড়া গ্রামে সাইদুর নামের ১৮ বয়সী এক তরুনের অণ্ডকোষ, হাত ও পায়ের রগ কেটে পদ্মার পাড়ে ফেলে রেখে যায়। ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

* বিএসএফ প্রধান শ্রী বনসাল সম্প্রতি ঘোষণা দেন, 'সীমান্তে গুলি চলবেই'!

আর্ন্তজাতিক আইন অনুসারে, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় সীমান্তরক্ষীরা অবৈধ পারাপারকারীদের গ্রেফতার করতে পারবে। আক্রমণাত্মক ভূমিকা না দেখা গেলে কোন অবস্থাতেই গুলি করা যাবে না।

অথচ, ভারত সরকার ও বিএসএফ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রতিনিয়ত আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন অমান্য করছে।

বিএসএফ সীমান্তে একের পর এক খুন-নির্যাতন করছে; ভারত সরকার আশ্বাস দেয় এসব অন্যায় হত্যাকান্ড-নির্যাতন বন্ধ হবে-বিচার হবে কিন্তু বিচার কোনটাই হয় না, সীমান্তে হত্যাকান্ড-নির্যাতন বন্ধ হয় না।

ভারত সরকারের সম্মতি না থাকলে কিভাবে বিএসএফ এইসব হত্যাকান্ড-নির্যাতন করে?

ভারত সরকার যখন নানান ইস্যুতে বাংলাদেশকে চপেটাঘাত করছে, সীমান্তে বাংলাদেশীদের কুকুরের মত মারছে ঠিক তখন বাংলাদেশ সরকার বাস্তব অর্থে নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার কি নিজেদের ভারতের তল্লিতপ্পা বাহক প্রমাণ করতে চাইছে?

আমাদের বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বাস্তবিক অর্থে কোন মাথা ব্যাথা নেই আমাদের সীমান্তের হত্যা-নির্যাতন নিয়ে। তাই, আসুন আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিই। বর্জন করি সব ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন

মনে রাখবেন সব উদ্যোগই শুরু হয় প্রথমে ছোট আকারে, পরে একদিন তা পরিণত হয় মহীরুহতে। আসুন নিজে ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন বর্জন করি এবং অন্যদেরও উতসাহ দিই।

ভারতীয় পণ্যের তালিকা: ০১, ০২

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের তান্ডবের প্রতিবাদে আসুন বর্জন করি ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন।

বিএসএফ ক্রনিকাল।
ফেসবুক পেইজ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:৫৯
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×