আমি গিছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন ছিল প্রচন্ড গরম।
যাবার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ৩টাকা দিয়ে এক ফালি তরমুজ কিনে খাইছিলাম। তো ফেরার পথে আবার তরমুজ খাইতে মন চাইল। যেখানে ফালি করে কেটে কেটে তরমুজ বিক্রি করছিল তার পাশেই দুইটা ছেলে আস্ত তরমুজ বিক্রি করছিল। আমি তাদেরকে একটা একদম ছোট সাইজ এর তরমুজের দাম জিগ্যাসা করলাম। বলল ২০ টাকা, আমি বললাম ১০ টাকা। যাইহোক শেষ পর্যন্ত আমি তরমুজটা ১২ টাকা দিয়ে কিনলাম। কিনেই আমি তরমুজটা কেটে দিতে বললাম, ওরা তরমুজ কেটে দিল আর আমি তরমুজ খেতে শুরু করলাম। আমি ওদের দুইজনকেও তরমুজ খেতে বললাম ওরা দুইজনও দুই পিস তরমুজ খেতে লাগল। এদিকে কাটা তরমুজের ফালি দেখে একজন পিস কত জানতে চাইল। ওরা বলল যে কেটে বিক্রি হয় না। আরো দুইজন পিস এর দাম জিজ্ঞাসা করায় আমি বললাম আপনারা কেটে বিক্রি করেন না কেন। ওরা বলল ঝামেলা হয়। আমি বললাম কিন্তু এইভাবে ফাকা বসে না থেকে পিস করে বিক্রি করাইত অনেক লাভ। ওদের ভিতর একজন বলল, আপনারটা বিক্রি করে দেব, আমিত সেইটাই চাচ্ছিলাম। তাই বললাম দেন। তখন আরেকজন এসে দাম জিজ্ঞাসা করল। ওই ছেলেটা বলল ৩ টাকা। আমাদের সাইজগুলো পাশে যে কেটে কেটে বিক্রি করছিল তার চেয়ে ছোট ছিল।
লোকটা বলল দুই টাকায় দেবেন। ছেলেটা আমার দিকে তাকাতেই আমি বললাম দিয়ে দেন। মূহুর্তের মধ্যেই আমাদের সব তরমুজ বিক্রি হয়ে গেল। ততক্ষনে আমিও তিন চার পিছ আর ঐ ছেলেদুটো ২ পিছ খাইছে। আর আমি তরমুজ কেনার আগে পাশে একজনের কাছ থেকে সরবত কিনে খাইছিলাম, সেও টাকার বদলে এক পিছ তরমুজ চাইল। যাই হোক এতগুলো খাবার পরও শেষ পর্যন্ত আমরা ৭ টা পিছ বিক্রি করছিলাম। কাছেই তরমুজের দোকানদারের কাছ থেকেই আমিই দুই টাকা পেলাম। তাদেরকেও দুই পিছ খাওয়ালাম আর ফ্রি সরবত খেলাম। পরে ঐ দোকানদার তার ছোট ভাইকে বলে তাড়াতাড়ি একটা প্লেট নিয়ে আয়, এখনই কেটে কেটে বিক্রি করা শুরু করব।
আর আমি সেদিন সারা রাস্তা হাসতে হাসতে রুমে ফিরছিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




