মুক্তি যোদ্ধা মানে দেশই তার সব কিছু
দেশের জন্য সে জীবন দিতে সদা প্রস্তুত
.....................................
ইত্যাদি হিজিবিজি আরো অনেক কিছু।
সত্যি জীবিত মুক্তি যোদ্ধা মানে যদি আমার চোখে এমন মানুষের ছবি ভেসে উঠত আমি সত্যিই খুব খুশি হতাম।
কিন্তু, বর্তমানে জীবিত মুক্তি যোদ্ধা মানেই আমার চোখে ভেষে ওঠে সুযোগ সন্ধানী একটা সার্থপর মানুষের মুখ। সে তার মুক্তি যোদ্ধা পরিচয়টা সব সময় চেচিয়ে চেচিয়ে বলে বেড়ায় কোন আথিক বা অন্য কোন সুবিধার ধান্দায়।
হইত তার লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেলের সামনে বড় বড় করে লেখা থাকে বীর মুক্তি যোদ্ধা।
হইত তার অযোগ্য সন্তান ভাল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর চাকুরীতে যোগ্যতা না থাকলেও চান্স পাই।
তখন আমার খুবই দুঃখ লাগে তাদের জন্য যারা আমাদের দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল।
আমার জানা মতে যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল তারা আমাদেরকে সকল প্রকার বৈষম্য থেকে মুক্তি দেবার জন্যইত জীবন দিয়েছিল। কিন্তু বাপ মুক্তি যোদ্ধা বলেই ছেলেকে বিশেষ সুবিধা দিতে হবে এই বৈষম্য কেন?
তাইলে আমাদের মত যাদের বাবা মা যুদ্ধে অনেক ত্যাগ স্বীকার করার পরও সুবিধা বাদী না হওয়াই কিমবা ঘুষ দিতে না পারায় মুক্তি যুদ্ধের সার্টিফিকেট পাইনি, আমরা কি নিজেরাই আবার বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করব।
আর একটা কথা যাদের ভারতের বর্ডারের কাছে গেলেই মনে হয় এক দেশ হলে কতই না ভাল হত। এখন আমি স্বাধীন ভাবে ভারতে ঘুরতে পারতাম, তাদের মধ্যে যদি বড় কোন মাথা লেখাটা পড়ে থাকেন তাকে একটা বুদ্ধি দেই-
সাদা কাগজে একটা কাল নকশা করে ফেলেন।
নকশাটা হবে এমন, ভারতের সাথে প্রথমে গোপন চুক্তি করবেন,
বাংলাদেশ ভারতকে আক্রমন করবে আর ভারত আরামে একটু একটু করে ভারতের অংশ বাংলাদেশকে দিয়ে দেবে। এভাবে এক সময় বাংলাদেশ ভারতের সব অংশ দখল করে নিয়ে নেবে।
কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি হবে- আসলে বাংলাদেশই ভারতের অংশ হয়ে যাবে। আপনাদেরও ডিওটি শেষ হবে আর অনেক অনেক পুরস্কারও পাবেন।
আমার এই অতি কার্যকর বুদ্ধির জন্য তাড়াতাড়ি আমার ঠিকানায় কিছু টাকা পাঠান।
তবে হুশিয়ার। যদি ভারত কোন ভাবেই আমাদেরকে আগে আক্রমন করে, তাহলে আমার মত কোটি মানুষের জীবন থাকা পর্যন্ত, আপনারা যত ভাল রং দিয়েই আপনাদের লাল নীল নকশা করেন না কেন তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
মেজাজ চরম খারাপ তাই তাড়াতাড়ি ড্রাফট আকারে লিখলাম পরে আবার ঠিকঠাক করে রিপোষ্ট দেব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




