পরিস্থিতি যে কোন দিকে যাবে এই ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তা বুঝতে পারছেনা। হয়তো শফিক রেহমান আর তার যায়যায়দিন আবারো ক্লিক করবে। হয়তো দুই নেত্রীর মধ্যে কোন একজন আবারো আপসহীন বলে পরিচিত হবেন। কিন্তু আমি ভাবি কেন আমাদের বেলাতেই বারবার এমন হবে?অতীতে শত প্রকারের দুর্নীতির জন্য অস্বস্তি বোধ করলেও বিদেশী পত্রিকাগুলোতে re-building Bangladesh টাইপের হেডলাইন গুলো দেখে মনে একটা প্রশান্তি আসতো।মনে হতো তাও আমাদের গর্ব করার মতো কিছু আছে।কিন্তু বর্তমানের এই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের মাঝেও আমাদেরকে কেন broken খেতাব পেতে হয়?জোট সরকার যেই অর্থনৈতিক অবস্থা রেখে গিয়েছিল তাতে আর দশটা সিডর পরপর হলেও দেশের মানুষের এই অবস্থা হতোনা।কিন্তু এই এক তত্ত্বাবধায়ক সরকারই বাংলাদেশকে re-building থেকে brokenএ পরিণত করেছে। তাই কার্টুনিস্ট ডা.শাহরীয়ার শরীফের মতো তাদেরকে বলতেই হয় ,"কংগ্রাচু্লেশনস্।"অনেকগুলো সিডর যা করতে পারেনি তারা তাই করে দেখিয়েছেন। (মন্দের ভালো আর কি!)
আমার মনে হয় প্রাকৃতিক সিডরের চেয়ে অনেক বড় সিডর হচ্ছে ফকরুদ্দিনের এই তত্ত্বাবধায়ক সিডর। প্রাকৃতিক সিডর দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে ভুগিয়েছে। কিন্তু এই সিডর সম্ভবত বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষকেই পথে বসাতে যাচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক সিডরে আক্রান্ত মানুষকে সহযোগীতা করার পাশাপাশি এই কৃত্রিম সিডরকে দূর করাও সমান জরুরী।