অন্যদিকে ছাত্রফ্রন্টের রাজনীতি মূলত আদর্শিক। বেশ কিছু ছেলে যারা দিনবদলের স্বপ্ন দেখে তারা ছাত্রফ্রন্টের আদর্শের বুলিতে আকৃষ্ট হয়ে ফ্রন্টে ভিড়ে। একটা সময়ে বুঝতে পারে এ রাজনীতির কোন ভবিষ্যত নেই। তবুও আদর্শের ধ্বজা ধরে একটা গ্রুপ রাজনীতি চালিয়ে যায়, আরেকটা গ্রুপ খুবই শ্যালোভাবে ওদের সাথে লেগে থাকে, কিন্তু দলীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দেয় না। বুয়েটে ছাত্রফ্রন্টের রাজনীতি অনেকটা তাবলীগী দাওয়াতের মতো। আসলেই এরা ইন্ডিভিজ্যুয়ালি অনেক পেইন দেয়। এদের একটি বড় অংশ পাশ করার পর পাড়ি জমায় বিদেশে। সকল কম্যুনিস্ট মারা যায় পূজিবাদী বেডে শুয়ে এই প্রবাদখানা এদের ক্ষেত্রে বড়োই সত্য।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের রাজনীতি পেশীশক্তির প্রদর্শনভিত্তিক। এরা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে শুধু এক ধরণের শো অফ এর জন্য। একটু লায়েক হলে ছেলেরা যেমন সিগারেট ফুঁকে বাহাদুরি জাহির করতে চায়, সারাজীবন বইয়ের আর পত্রিকার পাতায় ছাত্ররাজনীতি পড়ে আসা কিছু এডভেঞ্চারাস ছেলে বুয়েটে এসে হয় ছাত্রলীগ না হয় ছাত্রদলে সমর্থন দেয়। এই মেরুকরণ মূলত নির্ভর করে ছোটবেলা থেকে কে কিভাবে বেড়ে উঠেছে। জিয়ার আদর্শ আর মুজিবের ক্যারিশমা এই দুইয়ের কোনটাতে কে আগে থেকে মুগ্ধ তার উপরই নির্ভর করে দল নির্বাচন। দল যাই হোক এরা ক্যাম্পাসই একটা কাজই করে তা হলো শক্তির একটা মহড়া দেয়া। এর পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ দুই দলের নেতাদের সাথেও সাক্ষাত হয়, সেটাও কম রোমাঞ্চকর নয়। এদের কাউকে কর্মী সংগ্রহে ফ্রন্টের মতো পেইন দিতে হয় না। বন্ধুত্বের সূত্রেই যে কোন দরকারে ছাত্র মেলে, কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটাই এমন যে গড়পড়তা সবাই হয় আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপিকে ভোট দেয়। ছাত্রলীগ-ছাত্রদল মেরুকরণ সেই গড়পড়তা হিসেবের মধ্যেই বাঁধা।
এতক্ষন যা বললাম তাই ছিলো বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির অবস্থা। কিন্তু সম্প্রতি কিছু ছাত্র যারা মূলত ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে থাকে তারা বুয়েটে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কেউ স্বনামে এর প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারছে না। কিন্তু বিভিন্ন ব্লগে ছদ্মনামে মন্তব্য দেখে বোঝা যায় বুয়েটের বর্তমান অবস্থা কতটা ভয়াবহ। ছাত্রলীগের এই পাপীগ্রুপ বুয়েটের উপাচার্য, ছাত্রকল্যান উপদেষ্টা, উপ-উপাচার্য প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্রয়দাতা হিসেবে বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক মূণাজ আহমেদ নূরের নামও দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন ব্লগে। যে ছেলেগুলো গৌতমকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো, যে ছেলেগুলো ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে ভয় দেখিয়ে, ক্যাম্পাস এবং তার আশপাশের দোকানপাটে চাঁদাবাজি শুরু করেছে, ক্যাম্পাসে সহিংস রাজনীতি শুরু করেছে এদের চেহারা সকল বুয়েট এলামনাইদের চিনে রাখা দরকার...
ওয়ালী'০৫
রনক, ০৪ এই হলো মূল শয়তান
রানা'০৫
মম'০৭
ফাইরুজ, ০৬. অধ্যাপক মূণাজ আহমেদ এর ডানহাত
বাঁধন, ০৭