
হাল্কা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি না, একদম মুষলধারে
ইংরেজীতে যাকে বলে ক্যাটস আ্যন্ড ডগস
আমার কোন কাজ ছিলোনা, নিত্যদিনের মতো
বসেছিলাম তাই, ছাউনি দেয়া পুকুরপাড়ে
বেশ দেখছিলাম পানির মাঝে পানির ডুব দেয়া
হঠাৎ ঝপাস শব্দ হলো, চমকে উঠে চাইলাম
জলের মাঝে ঢেউ তুলে সেই যে এলে, সেই প্রথম
শুরু হলো কেবল আমার দৃষ্টি কেড়ে নেয়া
বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছে, আর সাঁতরে যাচ্ছো তুমি
কালো মেঘের ফাঁকে কোন সূর্য নেই
তবু করে মুখ ঝলমল ছুটে যাচ্ছো পুকুর চষে
হঠাৎ কেন যে হাতে ঠেকলো ওই ঝুমঝুমি
ঝুমঝুমিটা আমার ছোট ছেলের, খুব দূষ্টু
ছুড়ে ফেলেছিলো পুকুরে, নিজে পড়েনি
সেইভাগ্যেই খুশি হই।
খুঁজে পেতে এনে দেবো,
কিংবা নতুন কিনে দেবো
আমার ওতো সময়, কিংবা হাতে টাকা কই।
কখনো দেখনি তুমি, তবু বুঝে গেলে
ঝুমঝুমিটা ফিরিয়ে দিতেই
পাড়ের দিকে এলে।
তোমার মনে পাপ ছিলোনা, খোকন তোমার স্নেহের
হাত বাড়ালাম ঝুমঝুমিটা নেবো বলে
স্পর্শে যে এতো পাপ থাকে কে জানতো?
আমি জানলে আগেই যেতাম চলে
যে বিদ্যুৎ খেলে গেল, সে খালি আমি একাই পাইনি
ঠান্ডা পানিতে ফর্সা মুখের লাল হয়ে যাওয়া কান
দেখেই বুঝলাম খেলেছে তোমারও
যদিও আমি এর কিছুই চাইনি
বয়স মাত্র আঠারো তোমার, আমার হচ্ছে ছত্রিশ
তিনটে বাচ্চা আছে আমার, বিয়ে করেছি
সেই কবে, দশ কিংবা বারো বছর
তুমি তখন বাচ্চা কেবল, কিইবা হতো উনিশ বিশ
ভেতর বাড়ির হাঁক এসেছে, বাবুর বাবা এলেন বৃষ্টি ঠেলেই
আমি যাই, তুমি মরো সাঁতরে, তোমার ওই সুঠাম পেশীর
কণায় কণায় ব্যায়াম ঢোকাও, উত্তাপ নাও
আমি যাই, ফিরে তো দেখবে, কি আসে যায় চলে গেলেই
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




