সবকিছুতে আমরা ধর্মকে টানি। অনেকে জানে না টানাটানি করলে যে কানি ছিঁড়ে এবং ছেঁড়াছিঁড়ির জন্য ঝটকানি যথেষ্ট। বেশভূষায় ধর্মগুরু এবং নাচানাচির জন্য ধর্মচারীর অভাব নেই। ভক্তের ভান এবং ভণ্ডের ভণিতায় সাধারণ ধার্মিকরা বিভ্রান্ত। একদল আদা-জল গিলে ইসলাম ধর্মের সাথে লেগেই থাকে।
হত্যা করে হতকে জীবিত করতে পারে না এবং আরো কিছু বিষয় আছে যা মানুষের আয়ত্তের বাইরে। মানুষ খামোখা বকবক পছন্দ করে, যা জানে না তা নিয়ে আরও বেশি মুনশিয়ানা করে। ভাব ধরে ভাবুক এবং বেশ ধরে বিশেষজ্ঞ সাজে। অন্য ধর্ম গোত্র অথবা গোষ্ঠির জন্য হলেও কোরআন এবং ইসলাম ধর্ম সকলের জন্য। রহমত হেদায়াত এবং রোগমুক্তির তথ্য কোরআনে আছে কিন্তু আমরা তা চর্চা করি না। ধার্মিককে নিয়ে হাসাহাসি করলেও তলতলে অনেকে জল গিলে। গুপ্তমন্ত্র, তাবিজ, পানিপড়া, জাদুটুনার জন্য ঠিকই ভণ্ডদের কাছে যায়।
আমি ক্যাবিং করি। একদিন এক ভদ্রমহিলাকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন কথাকথায় ধর্ম প্রসঙ্গ আসলে উনি বলেছিলেন, ধর্মগুরুরা রায় দেয় কে ধার্মিক হবে কে হবে না। তারপর অনেক কথা হয়েছিল, একবার আমি বলেছিলাম নারী কত সাহসী তা কেউ জানে না। আদমের (আঃ) সাহস হয়নি নিষিদ্ধ ফল স্পর্শ করার, হাওয়া তা খেয়েছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন এই জন্য নারীকে mother nature বলা হয়।
খালি গড়গড়া মুখস্ত পড়লে হবে না, কোরআন পড়ে বুঝতে হবে। কোরআনে গূঢ়তত্ত্ব এবং নিগূঢ় রহস্য আছে। সুখ-শান্তি-স্বস্তি, আরোগ্যপ্রাপ্তি, সম্পদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সূত্র সংক্ষেপ বর্ণিত আছে। গুপ্তসম্পদের জন্য মানুষ অভিযানে বেরিয়ে অভিযাত্রী হয়। কিন্তু আত্মিক শান্তি-স্বস্তির জন্য কোরআন পড়ার ফুরসত নেই। গভীর তৃপ্তির জন্য যা তা করতে রাজি হলেও গভীর তত্ত্ব বুঝার জন্য কোরআন পড়ে না, বলে কোরআনের বিষয় বেশি গভীর। যে কিচ্ছু মানে না সে-ও জানে মৃত্যুর হাত থেকে কেউ নিস্তার পাব না। পারমাণবিক হলেও অনেক জীবাণু জীবননাশক, প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিস্তারের উপায় হলো শান্তিস্বস্তির সাথে পারমার্থিক চিন্তা করা, জ্ঞানীগুণী এবং বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞদের আদেশে আদিষ্ট এবং উপদেশে উপদিষ্ট হতে হবে নইলে অনেকের মৃত্যু হবে, এবং তা হবে আত্মহত্যা।
আমার বিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা আমি সকলের সাথে ভাগ করি।
সকলের মঙ্গল হোক।
স্বত্ব.মো.আ.হা
ছবি নেট থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৫