somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কবি আকাশ
কথা বলার মাধ্যমে কাছে আসা যায় । হৃদয় দিয়ে সবকিছু যারা বিচার করেন তাদের এই পৃথিবী বুদ্ধিহীন বলতে পারে তবে তারাই কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নির্মলতার সহীত এই পৃথিবীতে জীবন যাপন করে । কথা বলে কাছে আ

ছোটগল্প : আরাম বাগ ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বৃক্ষের তলের এই মনোরম বাতাসটার জন্যই আমি এখানে । কী আরাম , কী আরাম । যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয় ।যেন দু‘চোখে ঘুমের জোয়ার নেমে আসে । ইস যদি এখানটাতে কিছুসময় ঘুমাতে পারতাম ।

--লোকে কী ভাববে ! পাশ থেকে আল-আমিন বলে উঠল ।
যা ভাবার ভাবুক গিয়ে লোকেরা।আমি তো ঠিক করেই নিয়েছি একদিন এই কালর্ভাট টাতে আরামসে ঘুমাবো । দেখি কে বাধা দেয় আমাকে ।

কথাগুলো বলে আকাশ ,আল-আমিনের দিকে খানিক তাকালো । দেখলো আল-আমিন ও আকাশের দিকেই তাকিয়ে আছে ।
আকাশ আল-আমিনের মুখের ‍দিকে তাকিয়ে আল-আমিন কী ভাবছে বোঝার চেষ্টা করছে ।

--কীরে রাগ করলি নাকী?

আরে না ! রাগ করবো কেন ! ভাবছিলাম সেদিন আমিও তোমার সাথে একসাথে মিলে ঘুমাবো ।

--আচ্ছা সে দেখা যাবে ।

আল-আমিন ছেলেটার সাথে আকাশের পরিচয় একটা ট্রেনিং সেন্টারে ।ছেলেটার কথা-বার্তার ধরণ দেখে তাকে ভালো লেগে গেল আকাশের ।
পৃথিবীর মানুষগুলো আজকাল বরই স্বার্থপর । তার মধ্য হতে দু‘একজন নিস্বার্থপর মানুষ থাকা নিতান্তই আনন্দের বিষয়।পৃথিবীতে যে জিনিসগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায় বা বিলুপ্তির পথে সেই সব জিনিসদের কে জাদুঘরে রাখে মানুষ । সেই দিক থেকে ভালো মানুষগুলোকেও জাদুঘরে রাখা দরকার । যাতে অন্যান্য মানুষগুলো তাদের দেখতে পায় এবং খাঁচার পাশের বোর্ডে লেখা তাদের বিবরণ গুলো থেকে তাদের পরিচয় জানতে পায় ।
আল-আমিন ও সেইসব ভালো মানুষগুলো থেকে একজন ।অন্তত্য আকাশের কাছে যা মনে হয় আরকী । সেতো আর আল-আমিনের মনের ভিতর গিয়ে দেখে নাই তার চিন্তা-ভাবনা কেমন ।পৃথিবীতে মানুষ সকল আরেকজনকে বিবেচনা করে তাদের অবয়ব-বেশভুষা আর অন্যের কাছে সে কীরুপ ভালো তা দেখে ।
আল-আমিনের ক্ষেত্রেও তাই । তবে আল-আমিন নামের অর্থও কিন্তু বিশ্বাসী ।

আল-আমিন আজ পযন্ত আকাশকে তুই বলে ডাকেনাই । সে বলে তার নাকী তুই –তোকারী করার অভ্যাস নেই । আজকাল অনেকেই বলে যে সবচেয়ে বেশি আপনতা তুই-তোকারী তেই আছে । অথচ মা-বাবাকে আমরা কখনো তুই বলে ডাকিনা যদিও মা-বাবা অনেক সময় আমাদের তুই বলে সম্বোধন করেন ।
মা-বাবার সাথেই কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বেশি আপনতার সম্পর্ক ।
পৃথিবীতা বড্ড জটিল , আসলে কথাটা ঠিক না । পৃথিবী মোটেও জটিল না ।পৃথিবী হল একটা ত্রিকোনামিতিক অঙ্ক যেটা এরিস্টটলদের কাছে বড্ড সহজ । ।

--সন্ধ্যার নামার ঘনঘটা হতেই আকাশ আর আল-আমিন বাড়ির দিকে রওনা হয় ।

দু‘জন পাশাপাশি দু‘মেসে থাকে । এক মেসের দুইটা সিট খুজে পায়নি বলে এই ব্যাবস্থা । আর কাছের মানুষগুলোকে কিছুটা দুরে দূরে রাখতে হয় যাতে তার সাথের সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হয় ।
প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে এমন কিছু দোষ আছে যার জন্য সবাই তাকে ঘৃণা করতে পারে।

রাত্রে আবার দু‘জনে একসাথে মেসের পাশের রাস্তাটার রেলিংয়ের পাশে আসে ।
এই গলিটার নাম আরামবাগ । রাত-আটটার পর এলাকা খুব নির্জন হয়ে উঠে ।
আর সেই নির্জনতার সীমানায় দাড়িয়ে দুই হিতাকাঙ্খী দাড়িয়ে থাকে ।
তারা দু‘জন যে খুব একটা কথা বলে তা কিন্তু নয় , তারা নির্জন থাকে ।ঠিক এই নির্জন রাতটার মতই ।
তাদের মাঝে কোন রক্তের সম্পর্ক নাই । আসল কথা হল রক্তের সম্পর্ক ই বড় কথা নয় । শুধু বিশ্বাসী হওয়া চাই ।বিশ্বাস জিনিসটার মহত্ত অনেক । সেই আদিম যুগ থেকে মানুষ বিশ্বাসী মানুষের কদর করে আসছে ।
এর একটা উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ‘‘একজন ব্যবসায়ী যখন নতুন ব্যবসা শুরু করে তখন সে চায় তার সাথে কেবল বিশ্বাসী মানুষগুলোর ই সম্পর্ক হোক , যদিও সে নিজে মস্ত বড় অবিশ্বাসী ।
জীবনটা কিন্তু চলতে থাকে । অনন্ত কাল । মানুষটা বেচে না থাকুক তবে পৃথিবী যতদিন থাকবে সেই মানুষটার নাম ততদিন কত মুখে যে উচ্চারিত হবে তার ইয়ত্তা নাই ।
------------------------------------------------------

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×