সর্বজনীন শিশ্ন
আখতারুজ্জামান আজাদ
পরশু কিছু পুরুত ফেঁসেছে ভারতমাতার আশ্রমে,
গতকাল কিছু ফাদার ফেঁসেছে বেলজিয়ামের গির্জায়,
আজকে কিছু ইমাম ফেঁসেছে বাংলাদেশের মাদ্রাসায় --
বলাত্কারের দায়ে...!
কিতাবীয় ক্লোরোফর্মে অবশিষ্ট পুরুষদের নপুংসক বানিয়ে,
অবশিষ্ট শিশ্নদের নিষ্ক্রিয় রেখে
ওরা সক্রিয় রেখেছে নিজেদের শিশ্ন!
ভারত থেকে বেলজিয়াম, বেলজিয়াম থেকে বাংলাদেশ --
পুরুত কিংবা ফাদার,
ফাদার কিংবা ইমাম --
বিশ্বজুড়ে ওদের একটিই শিশ্ন;
প্রতি ইঞ্চি জমি ওরা একাই চষছে গায়েবি লাইসেন্সপ্রাপ্ত লাঙল দিয়ে...!
আশ্রমে যে শিশ্ন উত্থিত হয়েছে শিল্পা শেঠির বিভঙ্গে,
গির্জায় যে শিশ্ন সচল হয়েছে বালকের সংকীর্ণ গুহ্যদ্বারে,
মাদ্রাসায় ওই একই শিশ্ন সহবত করেছে বালিকার অপ্রস্তুত যোনিপথে।
স্বর্গের সোল এজেন্টরা যতটা স্বর্গান্বেষী, ততধিক ছিদ্রান্বেষী !
ফতোয়া-কেতাব যখন ওদের হাতে,
পাথর-দোররা যখন ওদের হাতে,
সর্বজনীন শিশ্নখানাও যখন ওদেরই হাতে,
মানবিক সঙ্গম তখন বন্দি রয় পুরোহিতের একচেটিয়া বাজারে,
১০১ দোররা খেয়ে মানবতা ডুবে রয় আকণ্ঠ পাথরে...!
২৫ জুন ২০১০
কাব্যগ্রন্থ : পর্দা ছেঁড়ার স্পর্ধা