এই হেমন্তে একটা সুকঠিন হাতছানি আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পাতাল থেকে পাতালে। জাগতিক প্রলোভন, হৃদয়িক মায়া আর শারীরিক মোচড় (যা ঈর্ষার মতো সুন্দর), প্রবল থেকে আজ এতোটাই প্রবলতর- মৃত মানুষের গভীর দিয়ে পালানোর আগে একবারও এ জীবন থমকে দাঁড়াতে জানেনা, বরং আরও কিছুকাল শুয়ে থাকতে চায় সুন্দরে, আরও কিছুকাল নরকভোগে জেনে নিতে চায় বিচ্ছুরিত আলোর মহিমা। অন্তর্গত স্বত্ত্বার এই টানাপোড়েন- কিসের ইংগিত বহন করে জেনে ফেলবার আগে শক্ত কর পদতলের মাটি, নম্র কর চোখের বরফজল। কেননা ভেজাপাতার ওপর বেদনামিশ্রিত কথা- কতোটা গচ্ছিত, এখনো জানিনি আমি। হাত রেখে শুকনো খড়ের ওপর- হৃদয়ের মর্মরতা কতোটা গভীর অনুভূত আমি বুঝিনি এখনো। চোখ ছেনে আলো-পাচারের ঘটনায় আমিও অভিযুক্ত বলে ভেবোনা কাউকে ভালোবাসার সাধ্য আমার পরম অনায়াত্ত্বে। ভেবোনা পাথর থেকে কথা খুলে আমি আর গাইতে পারিনা স্বপ্নের গান!
ভিন্নঘাটের স্নানার্থী আমি সহস্র বিনিদ্র রাতের অবসরে খুলে ফেলেছি সব ছায়া, জেনে নিয়েছি আলো আঁধারীর নিটোল দ্বন্ধ, নিশ্চিত জানো তুমি তার সরল বিশ্লেষন।
ভিন্নজন আরও গভীর ভাবে ভিন্ন হবার লোভে সামনে থেকে নয়, পাশ থেকে খুলে দেয় সব অবরোধ আর ছোট ছোট পা’য় নেমে যায় ভিন্ন কোনও খাদে - যা কেবলই মায়া- বিভ্রম আর পোড়া ক্ষতের নিস্তব্দ জ্বলন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




