somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরিচঝাঁ‍‌পি

০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা সুন্দরবনের বাঘ নাকি মানুষ খেত না!
অনিকেত চক্রবর্তী

জিজ্ঞাসা শুনে রেগে যাবেন না প্লিজ। হাসবেনও না অনুগ্রহ করে। গালমন্দ করবেন না একদম।
সুন্দরবনের বাঘ মানুষ খেতে শিখলো কবে? এরাজ্যে কংগ্রেসী জমানায়? নাকি, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে?
পাগল ভাবছেন প্রশ্ন শুনে? ভাবছেন মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
ঠিক ভাবছেন না। আপনাকে পড়ে শোনাই একটি গবেষণাপত্র থেকে। গবেষক লিখেছেন, ‘... একদিন সন্ধ্যের দিকে ছেলেদের খেলা দেখতে যাওয়ার পথে আবার আমার কাছে জানতে চাওয়া হলো। এই নিয়ে অন্তত একশোবার আমাকে শুনতে হলো প্রশ্নটা যে, বাঘ সংক্রান্ত আমার পড়াশুনার বিষয়টা ঠিক কী। তখন আমি মাত্র কয়েকদিন হলো সুন্দরবনের এই দ্বীপটিতে এসে বাসা নিয়েছি। গ্রামবাসীরা সবসময়ই ভাবতেন আমি বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজকর্ম করতে এসেছি। প্রতিবারই তাদের বলতে হতো, বাঘ নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথাই নেই। সুন্দরবনের মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানাই আমার উদ্দেশ্য।... ওখানে উনিশ মাস বসবা‍‌সের অভিজ্ঞতা থেকে একটা বিষয়ই আমি এখানে উল্লেখ করবো। তা হলো, মরিচঝাঁপির ঘটনাকে এখানকার মানুষ কীভাবে দেখেন। তাঁদের ভাবনার যোগসূত্রটি হলো, মরিচঝাঁ‍‌পির ঘটনার আগে সুন্দরবনের মানুষ বাঘ খেত না। ওই ঘটনার পরেই সুন্দরবনের বাঘ মানুষখেকো হয়ে উঠলো।’’
কী বলছেন? মরিচঝাঁপির কোন ঘটনা?
এখানে বিশদে আপনাকে বলার পরিসর নেই। কারণ, যে বিষয়টা নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি, তাতে মরিচঝাঁপি একটা উদাহরণ মাত্র। তবুও বলি, ১৯৭৭সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৮সাল নাগাদ মধ্য প্রদেশ-ওড়িশার দণ্ডকারণ্য থেকে কেউ বলেন ৫০-৬০হাজার, কেউ বলেন প্রায় ১লাখ শরণার্থী চলে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তারা সুন্দরবনের মরিচঝাঁপির মতো দ্বীপে পুনর্বাসন চেয়েছিলেন। বলা ভালো, তাদেরকে ওই কথা বলে আনানো হয়েছিলো দণ্ডকারণ্য থেকে। কিন্তু মরিচঝাঁপিতে তাঁদের পুনর্বাসন দেয়া সম্ভব ছিলো না বামফ্রন্ট সরকারের পক্ষে। বুঝিয়ে-সুজিয়ে তাই রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিকভাবে সেই শরণার্থীদের দণ্ডকারণ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য ধৈর্যশীল প্রয়াস নেয় প্রথম বামফ্রন্ট সরকার। বেশিরভাগ মানুষ ফিরেও যান। কিন্তু ৯-১০হাজার মানুষ মরিচঝাঁপিতে ঢুকে প্রায় সমান্তরাল প্রশাসন চালু করার চেষ্টা করেন কিছু ষড়যন্ত্রী মহলের মদতে। প্রায় এক বছর ধরে চেষ্টা করে বামফ্রন্ট সরকারের প্রশাসন ১৯৭৯সালের মে মাসে তাঁদেরকে শেষপর্যন্ত মরিচঝাঁপি থেকে ফেরাতে সমর্থ হয়েছিলো। কোনও রক্তপাত ঘটেনি সেইদিন। কিন্তু ষড়যন্ত্রীরা নানা অভিযোগ তু‍‌লেছিলো প্রশাসনের বিরুদ্ধে। লাঠি, গুলি চালাবার দমনপীড়নের অভিযোগও ওঠে। সেই সময় সবচেয়ে পরিচিত যে কথা প্রচার করা হয়েছিলো, তা হলো ‘আগুনে পুড়িয়ে, গুলি করে কত শত নাকি হাজার মৃত, অর্ধমৃত উদ্বাস্তুর দেহ নিয়ে লঞ্চে করে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো গভীর জঙ্গলে। বাকি দেহ ফেলা হলো গভীর সমুদ্রে। মরিচঝাঁপি এভাবেই উদ্বাস্তুশূন্য হলো।’
কী বলছেন? শুনে আপনার নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ছে? ওই যে নন্দীগ্রামে ২০০৭সালের মার্চে নাকি শত শত মৃতদেহ পুলিস হলদি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো? লরিতে করে বোঝাই মৃতদেহ পাচার করেছিল? পুকুরের জল নাকি রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিলো? শিশুদের দু’পা ফাঁক করে চিরে চিরে না‍‌কি হত্যা করা হয়েছিলো? সেই প্রচারের কথা তো?
স্বাভাবিক। নন্দীগ্রামকে ঘিরে এইভাবেই যে ভয়ঙ্কর অপপ্রচার চলেছে, এখনও চলে, তেমনই কায়দায় ১৯৭৯সালেও মরিচঝাঁপির ঘটনায় ভয়ঙ্কর অপপ্রচার চালানো হয়েছিলো ওই সময়।
ওই সময় আমি আপনি অনেকেই কেউ হয়তো শৈশবের বড় হওয়ার পথে হাঁটছি। কেউ কৈশোরে পা দিয়েছি। কেউ জন্ম নেব বলে মায়ের পেটে দাপাদাপি করছি। কেউ জন্ম নিয়ে ঠাঁই নিয়েছি মায়ের কোলে। তারপর কেটে গেছে ত্রিশটা বছর। এতোদিন কেউ আমাদের কাছে বলেনি মরিচঝাঁপির কথা। বয়স বিচার করলে রাজ্যের জনবিন্যাসে আমাদের সংখ্যা বিশাল। আমরা ভোটারও। এতোদিন মরিচঝাঁপি নিয়ে কোনও কথা না শোনানো হলেও, এখন কোনও কোনও মহল নড়াচড়া শুরু করেছে।
ওই যে আপনাকে শুরুতে যে গবেষণাপত্র থেকে অংশবিশেষ পড়ে শুনিয়েছি, সেটা কবে প্রকাশিত হয় শুনবেন?
২০০৩সালের ২২শে নভেম্বর শিকাগোয় অনুষ্ঠিত আমেরিকান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেন্স-এ ‘বিস্মৃত বাংলা’ (Forgetting Bengal) স্মারকসূচীতে পেশ করা হয়েছিল ওই গবেষণাপত্রটি। আর এই বছর, ২০১০সালে কলকাতা থেকে মরিচঝাঁপি নিয়ে প্রকাশিত একটি সঙ্কলনে গবেষণাপত্রটির বাংলা অনুবাদ ‘সুন্দরবনের বাঘ নরখাদক হলো কীভাবে’ ‍‌শিরোনাম দিয়ে ছাপানো হয়েছে। শুরুতেই ‘সারমর্ম’ হিসাবে তাতে লেখা হয়েছে, ‘এই গবেষণাপত্রটির মূলে আছে সুন্দরবনের জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহুল প্রচারিত একটি বিশ্বাস যে মরিচঝাঁপিবাসী শরণার্থীদের ওপর প্রশাসনের পাশবিক অত্যাচারই সুন্দরবনের বাঘকে মানুষখেকো বাঘে পরিণত করেছে।’
হাসছেন আপনি? বলছেন যে, মানুষ খাওয়া তো বাঘের সহজাত অভ্যাস? বলছেন যে, তাহলে যেখানে মরিচঝাঁপি নেই, সেইসব এলাকার বাঘ মানুষখেকো নয়? উপহাস ছাড়ুন। বরং পালটা প্রশ্ন করুন, আজ থেকে ৩০-৩১বছর আগে মরিচঝাঁপিতে যা হয়েছিলো, তা নিয়ে এখন যাঁরা যে গবেষণাই করে থাকুন, তাতে যত হাস্যকর উপস্থাপনাই থাকুক না কেন, যেমন উপসংহারই টানা হোক না কেন, হঠাৎ করে তাতে এতো গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার আছে কি?
আছে। কারণ, ১৯৭৯সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের মাত্র দেড়-দু বছরের মাথায় মরিচঝাঁপি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, যা কী না বলা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ষড়যন্ত্র, সরকারকে উৎখাত করার কিংবা সরকারের প্রধান শরিক সি পি আই (এম)-র বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরি করার প্রথম প্রয়াস, তা নিয়ে এতদিন পর ফের কোনও কোনও মহল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই নড়াচাড়া শুরু করেছেন। অদ্ভুত ওইরকম গবেষণাপত্র অনুবাদ করে এই সময় সঙ্কলন প্রকাশিত হচ্ছে, এটাও কোনও বিচ্ছিন্ন নড়াচাড়া নয়।
আপনাকে দিই আরেকটি তথ্য। ষষ্ঠ বামফ্রন্ট সরকারের যখন সপ্তমবারে পা, যখন নন্দীগ্রাম নিয়ে খণ্ড সত্যকে ঘিরে তুমুল অপপ্রচার বামফ্রন্ট সরকার এবং সি পি আই (এম)-র বিরুদ্ধে, বলা ভালো ঘৃণার উদগ্র অভিযান চলছে, ঠিক তখনই ৩০বছর আগেকার সেই মরিচঝাঁপি নিয়ে একেবারে সম্প্রতি চার-চারটে বই প্রকাশিত হয়েছে। তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্রের সিডি। বেসরকারী টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার হয়েছে মরিচঝাঁপি নিয়ে প্রতিবেদন। এইসব উপস্থাপনাগুলি সবকটাই ১৯৭৯সালের সেই সময় যে অপপ্রচার হয়েছিল, তাতে আরও মিথ্যা ও অতিকথনের রঙ চড়িয়ে নির্মিত। গবেষণাপত্রে তাই অনায়াসে বলা হয়, ‘....মরিচঝাঁপির ঘটনার পরেই সুন্দরবনের বাঘ মানুষ শিকার করতে শুরু করে। তার আগে সুন্দরবনের মানুষ ও সুন্দরবনের বাঘ নির্বিরোধ সহাবস্থানে ছিল।.... কিন্তু সত্যিকারের ভদ্র ও নির্বিরোধী আচার-আচরণ ভুলে গিয়ে মরিচঝাঁপির ঘটনার পর চিরকালের মতো তারা মানুষখেকো হয়ে উঠেছে। ....পুলিস কয়েকশো নারী-পুরুষ-শিশুকে সেই সময় হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় মৃতদেহগুলি। জঙ্গল এই ব্যাপক হিংসা হানাহানি রক্তপাতের ফলে বিরক্ত হয়ে বাঘ মানুষ মারতে শুরু করে। সেই থেকেই প্রথম তারা মানুষের রক্তের স্বাদ পায়। তাদের ‘স্বভাব’ পরিবর্তনে মরিচঝাঁপিই সেই মোড়।’’
আবার হাসছেন? নাকি হাসতে হাসতে আরেকটা কথাও ভাবছেন?
নিশ্চয়ই ভাবছেন, এই সময় যখন নন্দীগ্রাম নিয়েও একই কায়দায় প্রচার চলে, তখন যে শিশু এখন সদ্যোজাত, কিংবা হাঁটি হাঁটি পা পা, এখন তেমন বলা না হলেও, আজ থেকে ৩০/৩৫বছর পর সেই শিশুদের যৌবন বয়সের সামনে নিশ্চয়ই এভাবেই কোনও গবেষণাপত্র পেশ করা হবে। নন্দীগ্রাম নিয়ে গবেষণাপত্র। তাতে বলা হবে, ‘‘....নন্দীগ্রামের কাছেই হলদি নদী। এই নদীতে কুমির দেখেননি কেউ কোনওদিন। শুশুকরা থাকতো। কিন্তু ২০০৭সালের মার্চ মাসের পর সেই হলদি নদীতে কুমিরের দাপাদাপি। কেন না, যে শত শত মৃতদেহ পুলিস হলদি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল, কুমির সেই স্বাদ পেয়ে হলদি নদীতে দাপাদাপি শুরু করে।’’ কিংবা গবেষণায় বলা হবে, ‘‘....একটা প্রজন্মের মা-বোনেরা নন্দীগ্রামে কেউ সন্তানের জন্ম দেননি। কেন না, সি পি এমের হার্মাদরা তাদের স্তন কেটে নিয়েছিল। স্তন না থাকলে শিশুকে বুকের দুধ দেবেন কিভাবে? তাই তারা সন্তানের জন্ম দিতে চাননি সেই একটা প্রজন্মে।’’
অথচ নন্দীগ্রামে ১৪ই মার্চ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪জনের। তার মধ্যে একজনের পরিচয় আজও কেউ দেয়নি। বাকি ১৩জনের মধ্যে ৮জন পুলিসের গুলিতে মারা গেলেও, ৬জনের দেহে ছিল বোমা বা অন্য অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন! প্রশ্ন উহ্য থাক। কিন্তু সেইসব চেপে রেখে শত শত মৃতদেহ পাচার কিংবা ভাসিয়ে দেওয়ার গল্প ছড়ানো হচ্ছে এখনও। অথচ কারো নাম ঠিকানা দিতে পারেনি অভিযোগকারীরা। কোনও শিশু নিখোঁজ বলেও মা বোনেদের কোনও অভিযোগ নেই থানায় কিংবা নেই চিহ্ন চোখের জলের।
মরিচঝাঁপিতেও শত শত বা হাজার নয়, মারা গিয়েছিল দু’জন। তা-ও ১৯৭৯সালের মে মাসে যে সময়ে মরিচঝাঁপিতে প্রশাসন ঢোকে, তখন নয়। ছয় মাস আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। ইতিহাস জানাচ্ছে, জানুয়ারিতে মরিচঝাঁপির অপর পাড়ে খেয়াঘাট ক্যাম্পে পুলিসকে আক্রমণ করেছিল একদল। পুলিস গুলি চালায়। তাতেই দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা কেউ মরিচঝাঁপির উদ্বাস্তু নন। কুমিরমারীর বাসিন্দা। এছাড়া কোনও গুলি চলেনি আর। অথচ সেদিন ঘটনার বর্ণনায় লেখা হয়েছিল, ‘...সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠলো তিনটি ব্যাটেলিয়ানের ৪টি কোম্পানির রাইফেল।’ যাঁরা জানেন, ৪টে কোম্পানি মানে ৪০০জন পুলিস। ৪০০জন পুলিসের ৪০০টি রাইফেল গর্জে উঠেছিল? গল্পের গোরু গাছে ওঠার মতো বিষয় নয় কি? শত শত হাজার হাজার মৃত্যুর গল্প লেখার মাঝেই সেই সময় বিধানসভায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু মরিচঝাঁপি নিয়ে বিবৃতি ও বিতর্ক শেষে জবাবী ভাষণে কী বলেছিলেন, আসুন, পাতা উলটে একবার দেখে নিই। জ্যোতি বসু জবাবী ভাষণে বিধানসভায় তৎকালীন বামফ্রন্ট বিরোধী জনতা দলের বিধায়ক দিলীপ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘‘...দিলীপ চক্রবর্তী নাকি বলেছেন ৭৭জন ওখানে মরেছেন। ৭৭জন, কি ১০৭জন, কি ১৮০জন, কেন হলো না, আমি জানি না, তবে আমরা বলছি ২জন ওখানে মারা গিয়েছেন। দিলীপবাবু আমার ঘরে এসেছিলেন। আমি বললাম,আপনি তো বললেন ৭৭জন মরেছে, সেটা কি আপনার কথা? তাদের নাম কী? তারা কোন এলাকার লোক, স্থানীয় নাকি অন্য কোথাও থেকে এসেছে, এগুলি আমাদের জানান। উনি বললেন, একজন পুলিস অফিসার নাকি তাকে বলেছেন। ... তিনি বলে চলে গেলেন আমার ঘর থেকে। আমি বললাম, নামগুলি বলে যান। উনি বললেন, পরে বলবো।’’
আসলে সেই সময় থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত যে সত্য, তা হলো মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি তখনও যেমনভাবে চালাতেন বামফ্রন্ট-বিরোধীরা, এখনও তাই। আপনি তখনকারটা জানেন না। কিংবা ভুলে গিয়েছেন।
এখন এতদিন পরে যে আবার কখনও মরিচঝাঁপি, কখনও সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়েছে, তার কারণ কী জানেন?
আপনি জানেন। যে ভয়ঙ্কর ঘৃণা তৈরির মরিয়া অভিযান চালু হয়েছে বামফ্রন্ট বা সি পি আই (এম)-র বিরুদ্ধে এখন, তার লক্ষ্য যেমন বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করা, তেমনই প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও একই উদ্দেশ্যে মরিচঝাঁপির ঘটনাকে একইভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। বস্তুত, বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রথম প্রয়াস ছিল মরিচঝাঁপি। এখনকার অভিযানকে আরো তীব্র করতে, আরো বিষাক্ত করতে সেই অতীতের ঘটনার উপর আরো বেশি মিথ্যা ও কুৎসার মোড়ক দিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বর্তমানের সঙ্গে।
আপনার বয়স এখন হয়তো কিছু বছর কম বেশি বামফ্রন্ট সরকারের সওয়া তিন দশকের মতই। ওদের মূল টার্গেট আপনিই। আপনার মতো সবাই।
ঠিক কোনটা, বেছে নিতে হবে আপনাকেই।
আপনি আপনার ছোটবেলায় জানতেন খৈরি নামে একটি বাঘের কথা। গল্প নয়। বাস্তব। সে মানুষের মাংস খেত না। কিন্তু বাকি সব বাঘ জন্ম থেকেই মানুষখেকো। আপনিও তা জানেন জন্ম থেকেই। কিন্তু এত বড় হওয়ার পর আপনার সেই সত্যকেও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে অম্লানবদনে।
কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরির অভিযানে বড় অবলম্বন গোয়েবলসীয় কায়দা।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×