আজ কে মনটা অনেক খারাপ। কিছুক্ষণ আগে দেশে বগুড়ায় মা'র সাথে কথা হলো। প্রায় প্রতিদিন বাসায় কথা হয়। মা'র সাথে প্রতিদিন এর ফোনালাপ অনেকটা গল্পের মতো হয়ে যায়। ইদানিং মা'র মনটা ভালো নেই, কারন বড় মামা গত সপ্তাহে মারা গেছেন। মামা'র চলে যাবার সংবাদ টা আমাকেও অনেক কাদিঁয়েছে।
আজ মা আমাকে বলছিলো এইবার আমাদের আম গাছে নাকি অনেক আম ধরেছে। শুধু আমাদের আম গাছে না, অনেকের কাছে শুনেছি এই বার দেশে নাকি প্রচুর আমের ফলন হয়েছে।
আমি এবং আমার বাবা প্রচুর কাঁচা ও আধ পাকা আম র্ভতা খাই। ছোটবেলা থেকেই বাবার মতো আমিও অনেক টক পচ্ছন্দ করি। আজ সকালে মা অনেক আম র্ভতা করেছে আমাকে ফোনে বলছিলেন। বাবা আম ভর্তা হাতে নিয়ে অনেক কান্না করেছেন। অবশেষে তিনি আর আম ভর্তা খান নি।
লন্ডনে আসার আগে বাবাকে এয়ারপোর্ট এ কাদঁতে দেখেছি আমার জন্য। আমি ছোটোবেলা থেকে কখোনো বাবাকে কাদঁতে দেখিনি। আমার দাদা যখন মারা যান তখন বাবাকে দেখেছি নিস্তব্ধ, নির্বাক, বাবার চোখে তখন জ্বল দেখিনি, পাখরের মত শক্ত হয়ে ছিলেন তিনি। সেই বাবা আমার চলে আসা টা খুব সহজ ভাবে নিতে পারছিলেন না, তা আমি বাবার চোখের জ্বল দেখে বুঝতে পারছিলাম। আসোলে ছেলে হিসাবে তখন বাবাকে কিছু বলার ছিলো না। পারিনি আমার চোখের জ্বল থামাতে।
আজ মা'র কাছে ফোনে শুনলাম, বাবা আমার কথা মনে করে আজকেও অনেক কেঁদেছেন। আমি তখন ট্রেনে ছিলাম, অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলাম। কথাটা শোনার পর আমি তখন আমাকে কোনোরকম কন্ট্রোল করে বাসায় ফিরেছি। এরপর নিরবে বাবা ও মা'র জন্য অনেকক্ষন কেদেঁছি।
আমি কখোনো এই ভাবে কোথাও লিখিনি। আজ প্রথম বোধহয় এমন করে লিখলাম। সত্যি কখাটা হচ্ছে, আমি আমার কষ্ট টা লেখায় বুঝাতে চেয়েছি। প্রথম ব্লগে লিখলাম, তাই হয়তো অনেক ভুল থাকবে। আসা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।
রিয়েল
২৪.০৫.২০১০
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





