somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দি আ র্টি স্ট’- শি ল্পে র স ন্ধা ন (সদ্য অস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দি আর্টিস্ট নিয়ে লেখা)

০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘দি আ র্টি স্ট’- শি ল্পে র স ন্ধা ন

তারিক আল আজিজ


দি আর্টিস্ট এবারের অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে। গত বছর মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই ছবি সমালোচকদের নজর কেড়েছে। অস্কার পাওয়ার পর নিঃসন্দেহে এই ছবি আরো আলোচনার দাবী রাখে।
শুধু রোমান্টিক কমেডি বলে ব্যাখ্যা করলে এই ছবিকে অনেকাংশে খাটো করা হবে। আমার কাছে সবকিছু ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে এসেছে এই ছবির শিল্প সন্ধানের বিষয়টি। পরিচালক হাজানাভিসিয়াস হাস্যরসের মাধ্যমে একটি প্রায় শত বছর আগের এক কাহিনীকে যেমন আমাদের সামনে হাজির করেছেন, তেমনিভাবে নির্বাক ও সবাক ছবির সন্ধিক্ষণকে সংযোজন করে চলচ্চিত্রের শৈল্পিক মাত্রা নিয়ে দর্শক মনে নানান চিন্তা বা প্রশ্নের উদ্রেক করেছেন।
‘দি আর্টিস্ট’ আগাগোড়া সাদাকালো ছবি। তবে এটাকে ঠিক নির্বাক ছবি বললে ভুল হবে। ছবির শেষাংষে চরিত্র মুখে সংলাপ এসেছে। তবে ফরাসী পরিচালক মাইকেল হাজানাভিসিয়াস এই ছবির মাধ্যমে একটা নির্বাক যুগের আবহ তৈরি করেছেন। যারা চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ালেখা করেন বা এর ইতিহাস নিয়ে কিছুটা নাড়াচাড়া করেন এই ছবি দেখে নিশ্চয়ই তারা নষ্টালজিক হয়ে গেছেন। পড়তে গিয়ে মনে জমে থাকা সে সময়ে অবগাহন করার সুযোগ পেয়েছেন।
ছবিতে সব চরিত্রই সমান। তবুও আলোচনার খাতিরে বলছি, ছবিতে আমার দৃষ্টিতে মুখ্য চরিত্র অভিনয়ে ছিলেন তিনজন। তাদেরকে যেমন বারবার পর্দায় দেখা গেছে তেমনিভাবে তাদের অসাধারণ মুখ ও দেহ ভঙ্গি হৃদয়ে দাগ কেটেছে। ১৯২৭ সালের জর্জ ভেলেন্টিনকে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন জিন দুজারদিন। নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন ভেলেন্টিন। যিনি কিনোগ্রাফ মশোন পিকচার কোম্পানীর অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পর্দায় ভেলেন্টিনকে উপস্থাপনে দুজারদিনের অভিনয় দুর্দান্ত। পরিচালক হাজানাভিসিয়াসের সাথে তার জুটি পূর্ব থেকেই। দুজন মিলে টেলিভিশন দর্শকদের মাতিয়েছেন। দুজারদিনের দুর্দান্ত অঙ্গ সঞ্চালনা দেখে বারবার চ্যাপলিনের কথা মনে পড়ছিল।
দুজারদিন ভেলেন্টিনকে রূপদান করে সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পুরস্কার পকেটে পুরেছেন। ক’দিন আগে বিবিসির ‘হাউ টু উইন এন অস্কার’ লেখাটি পড়েছিলাম। এমপায়ার ম্যাগাজিনের হেলেন ও’হারা যেখানে মতামত ব্যক্ত করেছেন। ও’হারা অস্কারে বাস্তব জীবনের চরিত্রের রূপদানকারীদের সেরা অভিনেতা হবার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, অভিনয় একটি শিল্প। এই শিল্পের যথাযথ মূল্যায়ন করা খুবই কঠিন কাজ। যখন বাস্তব জীবনকে অভিনেতা পর্দায় তুলে ধরা হয়, তখন অভিনেতার অভিনয়কে মূল্যায়ন অনেক সহজ হয়ে যায়। কেননা বাস্তব জীবনের ব্যক্তিটি পরিচিত। এ ক্ষেত্রেও ভেলেন্টিনকে পর্দায় তুলে ধরেছেন দুজারদিন। দুজারদিনকে দেখুন, নির্বাক যুগের অভিনেতাদের মতই অঙ্গ সঞ্চালনা ও মুখভঙ্গি। তার পোষাক ও মুখের উপর চিকন করে রাখা গোফ সেই নির্বাক কালকেই উপস্থাপন করেছে। কাজেই অভিনেতা দুজারদিন সত্যিই যোগ্য হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন।
এই ছবির আরেক আলোচিত চরিত্র পেপি মিলার। যাকে রূপায়ন করেছেন বেরেনিকো বেজো। এই অভিনেত্রীর উপস্থাপনাও ছন্দময়। চলচ্চিত্রের অভিনয়কে যথার্থভাবে তুলে আনতে পরিচালক যে যথেষ্ট সফল হয়েছেন তা বলাই যায়। জনপ্রিয় অভিনেতা জর্জ ভেলেন্টিন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলছিলেন। এমন সময় পেপি মিলার ঘটনাক্রমে জর্জ ভেলিন্টিনের সাথে ছবি তোলার সুযোগ পান। ফাঁকে ভেলেন্টিনকে চুম্বন করেও বসেন। এভাবেই আলোচনায় চলে আসে মিলার চরিত্রটি। গণমাধ্যমে আলোচনায় আসার পাশাপাশি সুযোগ পান অভিনয়ে নামারও। যখন মিলারকে প্রযোজক বের বের করে দিতে চান তখন ভেলেন্টিন তাকে সাহায্য করেন। মিলার অভিনয় শুরু করে বাজিমাত করেন, খ্যাতির দিকে এগিয়ে যান।
এই ছবিতে যার অভিনয় আমি আগ্রহ নিয়ে দেখেছি, অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি; তাকে আসলে আমাদের এই মানুষের সমাজে পুরস্কৃত করার কোন ব্যবস্থা নেই। নতুবা কোন অংশে খারাপ করেছে সে? বলছি আগি নামের কুকুরটির কথা। প্রশিক্ষিত কুকুরটির অভিনয় দেখে বিমোহিত হয়েছি। নিশ্চয়ই ছোট খাটো আকৃতির এই কুকুরের অভিনয় ছবির সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ছবিটিকে অন্য একটি মাত্রায় নিয়ে গেছে। যখন কুকুরটি ভেলেন্টিনকে আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে দৌড় দেয় বা যখন রিভলবার করে আত্মহত্যা করতে যাওয়ার সময় বাঁধা দেয়, তখন এই কুকুরের প্রশংসাযোগ্য কাজ সত্যিই মনকে আনন্দিত করে।
যে সময়ের গল্প, সে সময়টা নির্বাক ও সবাক ছবির সন্ধিক্ষণ। সবাক ছবিকে অনেক চলচ্চিত্র বোদ্ধাই শিল্প বলে মানতে নারাজ ছিলেন। চার্লি চ্যাপলিনও কিন্তু সবাক ছবির বিপক্ষে ছিলেন। সবাক ছবিকে বলা হতো ‘টকিজ’। সবাক ছবি বিরোধীদের কথায় যুক্তিও ছিল। তারা বলতেন, কথা বলেই যদি অভিনেতাকে সব বুঝাতে হয় তাহলে আর অভিনয়ের থাকলো কি। দর্শক দেখবে ভাল অভিনয়, কথা নয়। ‘দা আর্টিস্টের ভেলেন্টিনও কিন্তু তাই মনে করতেন। তিনি টকিজ ছবির ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি শুধু অভিনয় দিয়েই মাত করতে চেয়েছিলেন। তাই কিনোগ্রাফ টকিজের দিকে গেলেও তিনি যাননি। তিনি নিজে নির্বাক ছবি বানান। দুঃখজনক হলেও সত্য তার ছবি চলেনি। তার পূর্বেই শেয়ার মার্কেটে ধস নামে, ভেলেন্টিন আর্থিক বিপর্যয়ে পরে জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেন।
সবাক-নির্বাক বিতর্কের সমাপ্তি আগেই ঘটেছে। কিন্তু এখানে একটি কথা প্রণিধানযোগ্য। সত্যিই নির্বাক যুগের অভিনেতারা কি অনেক শক্তিশালী ছিলেন না। পৃথিবীতে ২৫ হাজার মুখভঙ্গি আছে। তার যতটা নির্বাক যুগের অভিনয়ে ব্যবহৃত হয়েছে, সবাক যুগে তা অনেক কম। অনেক কাঁচা কাজকে কথা দিয়ে বলিয়ে পার করা হচ্ছে। শিল্পিত রূপটা কিন্তু তখন মার খাচ্ছে। এটা সত্য যে ভাল পরিচালকরা কথাকে পরিমিতভাবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু অনেক পরিচালকই আজকাল চরিত্রের মুখ দিয়ে কথা বলিয়ে বলিয়ে কাহিনীকে টেনে নেয়ার প্রয়াস পান। কাজেই এইসব ছবি দেখার পর নিরেট অভিনয় মুগ্ধতার অবকাশ থাকে না।
নির্বাক-সবাক তর্কটা অনেকটা ক্লাসিক্যাল ও মডার্ন মিউজিকের তর্কের মত। সেই পুরোনো গান যেমন মনে দাগ কেটে থাকে। যেখানে বাণী, সুর, সঙ্গিত সবটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন কিছু ক্ষেত্রে বাণীটাকে অনেক অগুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। আরো সহজ করে বললে বলা যায় যে, আজকাল অনেক গানের কোন গভীরতা থাকে না।
দি আর্টিস্ট ছবিটি সাদা কালো। যদিও চলচ্চিত্রে রং এসেছে অনেকদিন হলো। রংয়ের ব্যবহার নিয়ে কতজন নানান ধরণের পরীক্ষা করার প্রয়াস পান। কিন্তু সাদাকালোর আলাদা ¯^াদ আছে তা ভুলে গেলেও চলবে না। ছবিটি কিন্তু সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। রংয়ের ব্যবহার আজকাল অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইতো ক’দিন আগে ইয়াইমৌর ছবি দেখতে বসে রংয়ের কাজ দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম।
যে বিষয়টি আমাকে নাড়া দিয়েছে তা হলো, রং নেই, কথা নেই- এমন একটা ছবি এতটাই আলোচিত হলো কেন। কারণ হিসেবে বলা যায়, সেই পুরোনো কাল থেকে চলে আসা কিছু গুন থাকলে যে কোন ছবি ভাল হিসেবে উৎরে যেতে পারে। ক্লাইমেক্স-এন্টিক্লাইমেক্সে গড়া চমৎকার গল্প, বাস্তব ভিত্তিক অভিনয় মানুষকে কাছে টানবেই। প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় ক্যামেরার কাজের কথা। অনেকেই আজকাল ক্যামেরাকে অস্থির করে তুলেন। ক্যামেরা ধাপাধাপ ঘুরিয়ে অনেকে চোখকে বিরক্ত করে তুলেন। এই সময়ে এসে দা আর্টিস্টের ক্যামেরার কাজও ধ্রæপদী।
যে জায়গায় এই ছবির একটু ফাঁক থেকে গেছে বলে মনে হয়েছে তা হচ্ছে ছবির আবহ সঙ্গীত। ¯^ীকার করতেই হবে আবহ সঙ্গীত শ্রæতিমধুর। কিন্তু আবহ সঙ্গীতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে একটু কথা থেকে যায়। বিভিন্ন সময়ের ক্লাসিক ছবির সঙ্গিত দা আর্টিস্টে উঠে এসেছে। এ নিয়ে অনেকে অভিযোগও তুলেছেন। তবে ঠিক সে সময়ের আবহ সঙ্গিত দিয়ে সাজালে বিশ্বাসযোগ্যতাটা আরেকটু বাড়তোই বৈকি। তবে এটা সত্য যে, আবহ সঙ্গীত ছবির দৃশ্যকে আরো জীবন্ত করতে ভালভাবেই ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন শেষ দৃশ্যে, যখন ভেলিন্টন ও মিলার নাচছিলো, তখন তালে তালে চলা আবহ সঙ্গীত মনকে দোলা দিয়েছে।
আমার এ আলোচনায় পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, এডিটর সবার কাজকে নিয়ে আলাদা করে বলবার প্রয়োজন বোধ করছি না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো পরিচালক ছবি নির্মানে পরিমিত বোধের পরিচয় দিয়েছেন। প্রয়োজন সাপেক্ষেই সব এসেছে। বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন ভেলেন্টিন নিজেই ছবি তৈরিতে নামলেন সে সময়ের দৃশ্যকে পানির মত টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝাতে ডিজলভের ব্যবহার করে পর্দায় একসাথে ভিন্নভিন্ন শটের উপস্থিতি অর্থবহ লেগেছে।
ছবিতে ডিটেইলের কাজের অনেক উদাহরণ দেয়া যায়। যেমন ভেলেন্টিনের ফটোগ্রাফে তার স্ত্রী বিকৃত করে। আবার স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ভেলেন্টিন এসে স্ত্রীর দেয়া চিঠি পড়ে। পর্দায় ফটোগ্রাফের উল্টো পিঠে স্ত্রী’র বিকৃত করা ভেলেন্টিনকে দেখা যাচ্ছে। আবার ভেলেন্টিনের বানানো সিনেমা চলছে না, সেই অবস্থাকে আরো গভীরভাবে বুঝাতে ভেলেন্টিনের পড়ে থাকা পোষ্টার সবাই মাড়িয়ে যাওয়াটাও ছবিতে গভীরতা এনেছে।
এই ছবি প্রেমের কথা বলে, ভালোবাসার কথা বলে। প্রেমটা পূর্নাঙ্গ হয়ে ধরা দেয় যখন ভেলেন্টিন মিলারের মুখের সামান্য উপরে একপাশে পেন্সিল দিয়ে একটা তিল এঁকে দেয়। তার আগে ভেলেন্টিনের বলা কথার ইন্টারটাইটেল উঠে। যার অর্থ দাঁড়ায়- অভিনেত্রী হতে গেলে তোমার কিছু’র দরকার আছে, অন্যদের যা দরকার হয় না।
তিল এঁকে দেয়ার পর কেমন লাগছে দেখতে আয়নায় তাকায় দুজনই। তাকিয়ে থাকতে থাকতেই একে ওপরের প্রতি ভালোবাসা টের পায়। অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি, যা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। এখানেও ডিটেইলের ব্যবহার করা হয়েছে। বুঝদার কুকুরটি মুখ লুকিয়েছে।
ভালোবাসার পাশাপাশি কমেডির কথাও না বললেই নয়। চলচ্চিত্রের শুরু হয়েছিলো একটি থিয়েটারে চলা ভেলেন্টিনের ছবির দৃশ্য দিয়ে। খানিকবাদে ছবি শেষ হলে ভেলেন্টিন দর্শকদের সামনে হাসিমুখে হাজির হন। তার হাটাচলা দর্শককে আনন্দিত করতে বাধ্য। ফায়ার করার মত আঙ্গুল তুললে কুকুরের পরে যাওয়ার দৃশ্য অ™ভুত সুন্দর। এরকম ছোট ছোট হাসির তৃপ্তিদায়ক খোরাক পুরো সিনেমা জুড়েই।
চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও পরিচালনা দুটোই মাইকেল হাজানাভিসিয়াসের। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১১ সালের অক্টোবরে। বক্স অফিসেও সাড়া ফেলেছে এ ছবি। এই ফেব্রয়ারির শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ছবিটি সাড়ে সাত কোটি ডলারেরও বেশি আয় করেছে। ছবিতে গাওয়া একমাত্র গানটিও বাজারে আলাদা করে ছাড়া হয়। ছবিটি ১৯২৭ থেকে ১৯৩২ সালের কথা বললেও গানটি ১৯৩৬ সালের। ছবিটির চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে ৩৫ দিনে। ছবিটির স্ক্রিন রেশিও ১.৩৩:১। যে রেশিও সাধারণত নির্বাক যুগের ছবিতে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানের স্ট্যান্ডার্ড সেকেন্ডে ২৪ ফ্রেমের বিপরীতে এই ছবিতে সেকেন্ডে ২২ ফ্রেম। ছবির কস্টিউম ডিজাইনার মার্ক ব্রিজেস ছবিটির কস্টিউম সংরক্ষণের জন্য একটি ওয়ারড্রোবও বানান।
ছবিতে হাস্যরস থাকলেও শিল্পী ভেলেন্টিনের আর্থিক দৈন্যদশা দুঃখ হয়ে ছুয়েছে দর্শককে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখার সময় ধারণা করেছিলাম, ছবির শেষটা সম্ভবত বিয়োগন্তুক হবে। কিন্তু না। ছবির শেষটা বরং তৃপ্তিদায়ক মিলনের মধ্য দিয়েই শেষ হয়। ছবিতে যেমন ভেলেন্টিনের টকিজে কাজ না করার পুরুষালী গর্ব প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি মিলারের অনবদ্য প্রেমও প্রকাশ পেয়েছে।
৮৪তম অস্কারে ছবিটি দশটি বিভাগে নমিনেশন পায়। সেরা ছবি, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেতাসহ পাঁচটি পুরস্কার জিতে নেয়। এছাড়া ছবিটি গোল্ডেন গ্লোব ও ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম এওয়ার্ডও পেয়েছে।
অভিনেত্রী কিম নোভাক চলচ্চিত্রটির মিউজিক নিয়ে অভিযোগ তোলার প্রেক্ষিতে পরিচালক হাজানাভিসিয়াস একটি মতামত দেন। তিনি বলেন, ‘দি আর্টিস্ট ওয়াস মেড এ লাভ লেটার টু সিনেমা’। বড় সত্য কথা। আমি নিশ্চিত ছবিটি দেখার পর আমার মত অনেক দর্শকের তাই মনে হয়েছে।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া। লেখার আগে গার্ডিয়ান ও নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত দুটি রিভিউ পড়েছিলাম।
[email protected]

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×