বাসটা প্রায় খালি। উঠে পড়লাম তবু। আমার পছন্দ খানিকটা সামনের দিকের সিট, কেননা নামতে হবে যতটা কাছে নামা যায় গন্তব্যের পথে। কিন্তু সামনের দুটো সিটই দখল, ডান পাশেরটায় দুজন মেয়ে, বামে সামনে একজন, পরেরটায় আরেকজন। চারজনই জামার রং মেলানো, ঈদের উৎসব তাদের কাটেনি একনো বোঝা যায়। আমি ৩য় সিটটাতে বসতে যেতেই ২য় সিট থেকে ১মটায় চলে এলো একজন, তার মুখোমুখি বসতে চাওয়া যুবকের আদেশ বা অনুরোধে। আর তাই পাশাপাশি পরস্পর অতিক্রম, আমি আর মেয়েটি, আর ঠিক তখনই উপলব্ধি, 'না, মেয়েটা সুন্দর খুব'। তবু ৩য় সিটটাতেই বসলাম। কি দরকার কাছে থাকার চেষ্টায়, সে তো আর আমার কাছের মানুষ না।
বাস থেকে নামার আগেই মনে হচ্ছিলো ওদের আর আমার গন্তব্য পথ একই। নেমে বুঝতে পারলাম ধারনা ভুল নয়। ওরা আগে নেমেছিলো, আমি পরে। ওভার ব্রীজে আবার দেখা আর সুযোগে ওভার টেকিং। পেছন থেকে সুন্দর মুখটা দেখা যাবে না বলেই এগিয়ে গেলাম। খানিকটা অগোছালো আমি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ই বুঝলাম ওরা আমাকে দেখছে। আমি নিজের দিকে মনোযোগি হলাম। পরনে অফিস পোষাক, অগোছালো। ফরমাল পোষাকে ইনফরমাল সাজ। গাঢ় সাদা রংয়ের জামা, সাদা আলোয় নিশ্চয়ই আরও উজ্জল। আর তীব্র আলোর পাশে তীব্র অন্ধকারে আমার এ বদখদ চেহারাটা নিশ্চয়ই ওরা দেখেনি। আমি আরও খানিকটা স্মার্ট ভাবে হাটার চেষ্টা করি। হয়তো রাধা আমায় দেখছে।
সিগারেট কিনতে দাড়িয়ে গেলাম সামনে। ওদের ফেলে এসেছি খানিকটা পেছনে। একটু পরেই পাশ দিয়ে চলে গেলো তারা, সে সুন্দরীর হাত ধরে আছে সে যুবক। আমি নিরাশ হলাম, যদিও জানি রাধা তো হাত ধরে যেতেই পারে অন্যকারও। আমার যদি দিব্য চোখ থাকতো, তবে তো দিব্য চোখেই দেখে নিতাম রাধা-কৃষ্ণের হোলি খেলার প্রেম, এ আপাত দৃশ্য মন খারাপ করতে পারতো না আমার। কিন্তু আমার মন খারাপ হয়, হাজার চেষ্টা করেও এখনো কৃষ্ণ হওয়া হলো না।
তাড়াহুড়া করলাম না আর। ধীরে সুস্থে রিকশা নিলাম একটা। একটু এগিয়ে পাশের রিকশাটা পেড়িয়ে যেতেই এদিকে মুখ ঘুরালো ডানপাশে বসা মেয়েটি, বা পাশে হ্য়তবা তার বর। আমার হাত আকড়ে ছিলো রিকশা, ভাঙা রাস্তায় পরে যাওয়ার ভয়ে। আমি রিকশা ছেড়ে দিলাম। সাহসী ভঙ্গিতে পায়ের উপর ভর করেই বসলাম, হাজার হোক হয়তো রাধা আমাকে দেখছে। আরও ভাঙা রাস্তা এলে আমি হাত দুটো সিটে রাখি গুছিয়ে, ধরে রাখি আরেকটু শক্ত করে, তবু আকড়ে ধরি না ভয়ে, হয়তো রাধা আমায় দেখছে।
(লেখা ভুল নিকে, পোস্ট আসলে: খানিকটা কৃষ্ণ হবার চেষ্টা)
ছবি: http://www.hknet.org.nz/SriRadha.jpg
আলোচিত ব্লগ
হাদিকে গুলি করলো কে?
হাদিকে গুলি করলো কে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইতিহাসের সেরা ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।