somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার গ্রামের জীবন (পর্ব-২)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‌টিউশ‌নি করা একদম বন্ধ ক‌রে দিলাম, য‌দি কোন ছে‌লে বা মে‌য়ে ব‌‌্যক্তিগত ভা‌বে আ‌সে কোন সমস‌্যা নি‌য়ে তখন তা‌তে সাম‌য়িক ভা‌বে সমাধান ক‌রে দি‌য়ে বি‌দেয় ক‌রে দি‌য়ে বা‌চি। আমার মেজ ভাই‌কে ফ‌লো করার চেস্টা করলাম, কিন্ত তার মত হারা‌মিপনা করা আমার দ্বারা অসম্ভব হ‌চ্ছে। তাই বাধ‌্য হ‌য়ে তা‌তে অনুসরন করা বাদ দিলাম, একান্ত একঘ‌রে হ‌য়ে বসবাস করার চেস্টা কর‌ছি, এখন সময় কাট‌ছে না, সমায় পার করার জন‌্য বই পড়া‌কে বে‌ছে নিলাম, আলহামদু‌লিল্লাহ সময় বেশ কে‌টে যা‌চ্ছে

এক‌দিন ঘ‌রের কিছু প্রয়োজনীয় কাচাবাজার আনার জন‌্য গ্রা‌মের বাজা‌রে গেলাম, অ‌নেক বাজার সওদা ক‌রে ফির‌ছিল বাড়ী কা‌ছেই একজন প্রতি‌বেশীর রাস্তায় আমার এক পরি‌চিত, সম্প‌র্কে বেয়াই হয়, হঠাৎ লোকটা রাস্তায় মাথাঘু‌রে প‌রে গে‌লো, দৌ‌ড়ে তা‌কে ধরার চেস্টা করলাম, তার মাথায় পা‌নি দিলাম ও স‌হো‌যো‌গিতা করা চেস্টা করলাম, প্রায় ২০ মি‌নিট পর হুস হ‌লো, তার সা‌থে কথার ফা‌কে বুঝ‌তে পারলাম, এই সমস‌্যাটা আঘা‌তের কার‌নে হ‌য়ে‌ছে, আ‌মি তামওক আমার বাড়ী‌তে ব‌সে যাওয়ার জন‌্য অনু‌রোধ করলাম। এক পর্যায় সে আস‌তে বাধ‌্য হই‌লেন। আ‌মি আমার জীব‌নের অ‌ভিজ্ঞতা ও শিক্ষা এই দু‌ট্রে প্রয়োগ একা‌ত্রিত ক‌রে, একটা হো‌মিও ঔষধ দিলাম, মহান আল্লাহুর মে‌হেরবানী‌তে তি‌নি সুস্থ‌্যতা লাভ কর‌লেন, আস‌লে এই অবসর সময়টা আ‌মি হোমিও নি‌য়েই বেশী সময় নস্ট ক‌রে‌ছিলাম, আমার উ‌দে‌্যশ ছি‌লো করোনা কেন হয়, এবং ক‌রোনা রোগীর কি ঔষধ দি‌লে এই রোগী একটু সুস্থ‌্য থা‌কে এটাই ছি‌লো আমার প্রধান পড়া‌শোনা, জা‌নি না আ‌মি কতটা সফল, ত‌বে যে লো‌কেরই জ্বর হ‌তে দে‌খে‌ছি, তা‌কেই হো‌মিও ঔষধ দি‌য়ে জ্বর ভা‌লো করার চেস্টা চা‌লি‌য়ে‌ছি, আ‌মি কিন্ত জা‌নি না, কার করনা বা কার ক‌রোনা না এটা আমার আ‌দৌ জানা নাই।

এই প্রতি‌বেশী সুস্থ‌্য হওয়ার পর, আমার গ্রা‌মের পা‌র্শ্বের গ্রাম এম‌নি ক‌রে চা‌রি দি‌কে ছ‌রি‌য়ে যা‌চ্ছে, যা‌কেই ঔষধ দি‌চ্ছি তি‌নিই সুস্থ‌্য হ‌চ্ছেন, এটা মহান আল্লাহুর মে‌হেরবানী ছাড়া আর কিছুই না। আল্লাহু আকবর, মানু‌ষের সেবায় নি‌জে‌কে বি‌নি‌য়োগ কর‌তে পারায় আমার খুবই ভা‌লো লাগ‌তে‌ছে। এখা‌নে একটা কথা না বল‌লেই নয়, যারা আমা‌কে সামান‌্য টাকা দি‌তে পা‌রে ভা‌লো কথা যারা না দি‌তে পা‌রে তা‌দের থে‌কে টাকা নি‌চ্ছি না। ত‌বে আ‌মি কোন ভি‌জিট নেই না,ঔষ‌ধের সামান‌্য প‌রিমান খরচ রা‌খি।

এক‌দিন এক ম‌হিলা অ‌নেক দুর থে‌কে এ‌সে‌ছেন, একঘন্টা সময় নিয়া তার ক‌স্টের কথাগু‌লো সুনলাম এবং রেপাটরী লিখলাম এবং একটা ঔষধ নির্বচন করলাম তা‌কে এক ডোস ঔষধ খাই‌য়ে দিলাম। কিছু সময় বসার অনু‌রোধ করলাম এবং অন‌্য একজন রোগীর রেপাটরী করলাম, প্রথম রোগী‌কে ঔষধ বুঝাইয়া দিলাম এবং একশত টাকা চাইলাম, তি‌নি আমার কথা সু‌নে রে‌গে ঘে‌মে আগুন হ‌য়ে গে‌লেন, "আপনী কি ভিক্ষুক, যে ভিক্ষা চা‌চ্ছেন" আ‌মি তো কিংকর্তব‌্যবিমুড়, কি জবাব দি‌বো বুঝ‌তে পারলাম না, তি‌নি জিজ্ঞসা কর‌লো, আপনার ভি‌জিট কত, আ‌মি বললাম , ৫০০/- টাকা, কিন্তু আ‌মি তো ভি‌জিট নেই না, উ‌নি আ‌রো রে‌গে গে‌লেন, বল‌লেন আমি তো গরীব না, বি‌শেষ ক‌রে উ‌নি এতোট্কো গাড়ী ভাড়া ক‌রে এতদু‌রে এ‌সে ১০০ টাকার ঔষ‌ধে খু‌শি না, তার পর তা‌কে ঠান্ডা মাথায় বুঝা‌তে সক্ষম হ‌লেম, যে এই ঔষ‌ধেই আপনী ভা‌লো হবেন। ঠিক ঔ ম‌হিলা সেই ১০০ টাকার ঔষ‌ধেই ভা‌লো হ‌য়ে গে‌লো, ৬ মাস প‌রে তি‌নি, তার বেশ ক‌য়েক জন আ‌ত্মিয় স্বজন সহ আমার বাড়ী‌তে হা‌জির হ‌লেন, এবার তারা বল‌লো, জরায়ু ক‌্যানসার একশত টাকার ঔষ‌ধে কেম‌নে ভা‌লো হ‌লো, এরা সবাই আমা‌কে দেখ‌তে এ‌লো।

যখন কোন লোক মহান আল্লাহর রহম‌তে সুস্থ‌্যতা লাভ ক‌রেন, আমার তখন বেশ আনন্দ অনুভব ক‌রি এবং মহান আল্লাহর শোকরানা আদায় ক‌রি। আ‌মি কখনও ভা‌বি‌নি সা‌র্টিফি‌কেট‌টি শেষ বয়‌সে এসে কা‌জে দি‌তে পা‌রে, আ‌মি সবার কা‌ছে দোয়া চা‌চ্ছি। আ‌মি যেন সাধারন মানু‌ষের সেবা ক‌রে বা‌কি জীবনটা কাটা‌তে পা‌রি। আ‌মিন।

চল‌বে
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×