সূরা আন নিসা
(০৪:০৩) وَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تُقْسِطُواْ فِي الْيَتَامَى فَانكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاء مثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تَعْدِلُواْ فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلاَّ تَعُولُواْ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphangirls, then marry (other) women of your choice, two or three, or four but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one or (the captives and the slaves) that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice.
প্রথম আয়াতের প্রথম অংশে আল্লাহ কি বললেন
"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না"
এখানে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলছেন প্রত্যেককে নিজের বিচারক হিসাবে বিচার করতে যে যদি নিজে মনে করে এতীম মেয়দের হক যথাথভাবে আদায় করতে পারবে না। এখানে হক বলতে আল্লাহ একজন মানুষের উপর অপর একজন মানুষের হকেই বুঝিয়েছেন।
এবার দেখুন প্রথম আয়াতের দ্বিতীয় অংশে আল্লাহ কি বললেন
"তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।"
এখানে আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বলছেন "যাদেরকে তোমাদের ভাল লাগে তাদের মাঝ থেকে বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত"। এখানে আল্লাহ কি চারটা পর্যন্ত বিবাহ যায়েয করলেন না, অবশ্যই করলেন। দ্বিতীয় অংশের "তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে" এই আয়াত দিয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আংশের এতীম মেয়েদেরকে বোঝান নি বরং স্বাধীন মেয়েদেকেই বুঝিয়েছেন যে কথায় আল্লাহ একসাথেই বলে দিয়েছেন যে "যাদের তোমাদের ভাল লাগে" একথা একারনেই আল্লাহ পাক বলেলন কারন স্বাধীন মেয়েদের বিয়ে করলে তার মহর সহ স্ত্রীর সকল হক ঠিকমতো আদায় করতে বাধ্য থাকে।
এবার দ্বিতীয় আংশে আল্লাহ পাক বিবাহ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রথম অংশটুকু স্পষ্ট করছেন যে তোমরা যদি এতীম মেয়েদের বিবাহ করতে চাও তাহলে নিয়মানুযায়ী তাদেকে মহর প্রদান করতে হবে এবং একজন স্বাধীন নারীরকে বিয়ে করে যে হক আদায় করতে হয় সেগুলো এতীম মেয়েদের জন্যও করতে হবে। আল্লাহ এতীম মেয়েদের এই হকেই ভয় করতে বলেছেন একদম প্রথমে। এই আয়াতের এই বিধান আল্লাহ নাজিল করেছেন যে এতীমের বাবা নেই বলে তার সঙ্গে যেমন খুশি আচারন করা যাবে না।
এবার দেখুন আল্লাহ দ্বিতীয় আয়াতে কি বলেছেন
"আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"
এখানে আল্লাহ তায়লা প্রথম অংশে বললেন "আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না," এখানে আল্লাহ তাদের বলতে কাদের কে বোঝালেন? আল্লাহ বিবাহীত স্ত্রীদেরকেই বুঝিয়েছেন যদি আল্লাহ একাধিক বিয়ে যায়েজ না করতেন তাহলে এই আয়াতের প্রয়োজনই ছিল না। এখানে আল্লাহ যে বিধান নাজিল করলেন সেটা হল একজন মানুষ তখনই একের অধিক বিবাহ করতে পারবে যখন সকল স্ত্রীদের সাথে মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ করতে পারবে। না পরলে তার জন্য একের অধিক বিবাহ করা যায়েজ না। আর ন্যায় সঙ্গত আচরণ করতে পারলে কোন সমস্যা নাই। এটাই আল্লাহ আমাদেকে বলেছেন।
সূরা আন নিসা
(০৪:০৩) وَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تُقْسِطُواْ فِي الْيَتَامَى فَانكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّساء مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلاَّ تَعْدِلُواْ فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلاَّ تَعُولُواْ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphangirls, then marry (other) women of your choice, two or three, or four but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one or (the captives and the slaves) that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice.
প্রথম আয়াতের প্রথম অংশে আল্লাহ কি বললেন
"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না"
এখানে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলছেন প্রত্যেককে নিজের বিচারক হিসাবে বিচার করতে যে যদি নিজে মনে করে এতীম মেয়দের হক যথাথভাবে আদায় করতে পারবে না। এখানে হক বলতে আল্লাহ একজন মানুষের উপর অপর একজন মানুষের হকেই বুঝিয়েছেন।
এবার দেখুন প্রথম আয়াতের দ্বিতীয় অংশে আল্লাহ কি বললেন
"তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।"
এখানে আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বলছেন "যাদেরকে তোমাদের ভাল লাগে তাদের মাঝ থেকে বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত"। এখানে আল্লাহ কি চারটা পর্যন্ত বিবাহ যায়েয করলেন না, অবশ্যই করলেন। দ্বিতীয় অংশের "তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে" এই আয়াত দিয়ে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আংশের এতীম মেয়েদেরকে বোঝান নি বরং স্বাধীন মেয়েদেকেই বুঝিয়েছেন যে কথায় আল্লাহ একসাথেই বলে দিয়েছেন যে "যাদের তোমাদের ভাল লাগে" একথা একারনেই আল্লাহ পাক বলেলন কারন স্বাধীন মেয়েদের বিয়ে করলে তার মহর সহ স্ত্রীর সকল হক ঠিকমতো আদায় করতে বাধ্য থাকে।
এবার দ্বিতীয় আংশে আল্লাহ পাক বিবাহ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রথম অংশটুকু স্পষ্ট করছেন যে তোমরা যদি এতীম মেয়েদের বিবাহ করতে চাও তাহলে নিয়মানুযায়ী তাদেকে মহর প্রদান করতে হবে এবং একজন স্বাধীন নারীরকে বিয়ে করে যে হক আদায় করতে হয় সেগুলো এতীম মেয়েদের জন্যও করতে হবে। আল্লাহ এতীম মেয়েদের এই হকেই ভয় করতে বলেছেন একদম প্রথমে। এই আয়াতের এই বিধান আল্লাহ নাজিল করেছেন যে এতীমের বাবা নেই বলে তার সঙ্গে যেমন খুশি আচারন করা যাবে না।
এবার দেখুন আল্লাহ দ্বিতীয় আয়াতে কি বলেছেন
"আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"
এখানে আল্লাহ তায়লা প্রথম অংশে বললেন "আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না," এখানে আল্লাহ তাদের বলতে কাদের কে বোঝালেন? আল্লাহ বিবাহীত স্ত্রীদেরকেই বুঝিয়েছেন যদি আল্লাহ একাধিক বিয়ে যায়েজ না করতেন তাহলে এই আয়াতের প্রয়োজনই ছিল না। এখানে আল্লাহ যে বিধান নাজিল করলেন সেটা হল একজন মানুষ তখনই একের অধিক বিবাহ করতে পারবে যখন সকল স্ত্রীদের সাথে মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ করতে পারবে। না পরলে তার জন্য একের অধিক বিবাহ করা যায়েজ না। আর ন্যায় সঙ্গত আচরণ করতে পারলে কোন সমস্যা নাই। এটাই আল্লাহ আমাদেকে বলেছেন।
আল-কোরআনের কাঠ-গড়ায় একাধিক বিয়ে- বৈধ কি??