... আমাদের দেশের সব থেকে সম্ভবনাময় দিকটি হচ্ছে এ দেশের বিশাল জনসংখা। যদি আমরা এটাকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান শর্ত হচ্ছে কমিউনিকেটিভ ইংলিশে দক্ষ করা। শুধু ইংরেজি কথোপকথনে পারদশর্ী না হওয়ার ফলে ইংলেন্ডসহ ইওরোপের বিভিন্ন দেশে আমরা দক্ষ শ্রমিক, নার্স, কুক, মেক আপ আর্টিস্ট, প্লাম্বার ইত্যাদি যথেষ্ট সংখ্যক পাঠাতে পারি না। এ সমস্ত অর্ডারগুলো যায় ইন্ডিয়ায় তাদের ইংরেজি দক্ষতার কারনে এবং সেক্ষেত্রে দেশের আপামর জনসাধারনকে ইংরেজিতে দক্ষ করার লক্ষে সে দেশের সরকারের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। অথচ আমাদের দেশেও এটি করা খুবই সম্ভব যদি সরকার চায়।
কমিউনিকেটিভ ইংলিশে প্রকৃতপক্ষে দক্ষ একশ টিচার দিয়ে বছরে হাজার নার্স, কুক, ইলেকটৃশিয়ান, প্লাম্বার- এদের দ করে বিদেশে পাঠিয়ে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। এতে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বাড়বে এবং হাজার হাজার নিম্নবিত্ত পরিবারের চেহারা রাতারাতি বদলে যাবে। গ্যাস এবং কয়লা থেকেও সম্ভাবনাময় এই সম্পত্তিকে আমরা যতো তাড়াতাড়ি কাজে লাগাবো ততোই মঙ্গল। শুধুমাত্র ইংরেজিতে দক্ষতার কারনে হাজার হাজার ইন্ডিয়ান নাগরিককে ক্রমেই ঢাকা ছেয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের জনসাধারণ চাকুরী হারাচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর পরিসংখ্যান মতেই প্রায় দুলাখ ইন্ডিয়ান অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকুরী করছে। ডাবলিউটিও, সাফটা ইত্যাদি চুক্তি বাস্তবায়নের পর এ সমস্যা আরো ভয়াবহ আকার ধারন করবে। ইংরেজি দক্ষ মানব শক্তির অভাবে আমরা শুধু বিদেশে চাকরির সুবর্ণ সুযোগই হারাচ্ছি না, দেশে চাকুরীর বাজারও কঠিনতর হয়ে পড়ছে।... (যাযাদি,07.02.2006; জিয়া হাসান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




