লোড শেডিং এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। এ নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে এবং হচেছ। ভবিষ্যতেও হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। কিন্তু কার্যকরী কিছুই হয়নি এবং হচেছ না।
যেখানে আমরা বর্তমান নিয়ে হিমশিম খাচিছ, সেখানে উন্নত বিশ্ব যাদের বিদ্যুত নিয়ে কোন সমস্যাই নেই তারা ভবিষ্যতের কথা চিনতা করে সে সময়াপোযোগি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচেছ। কি হবে ভবিষ্যতের বিদ্যুত শক্তি উৎপাদনের মাধ্যম? বাংলাদেশ বিমানের শ্লো্লগান 'ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী'র মতো সব কিছু ছোট হয়ে যাচেছ। তেমনি বিদ্যুত শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমও ছোট হয়ে যাবে। রেফ্রিজারেটরের মতো ছোট টারবাইন বাসার বা অফিসের পেছনে স্থাপিত হয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বিদ্যুত তৈরী করবে। এরূপ 'ছোট টারবাইন' এবং 'জ্বালানী কোষ' যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিদ্যুত ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটাবে।
এর পর বিদ্যুতের জন্য পিডিবি, পল্লী বিদ্যুত বা ডেসার মতো প্রতিষ্ঠানের মুখপানে কাউকে চেয়ে থাকতে হবে না। প্রতিটি বাসা বা অফিসের কর্তাব্যক্তিই তার প্রয়োজনানুযায়ী বিদ্যুত শক্তি উৎপাদনকারী হয়ে উঠবে। এই সর্বশেষ প্রযুক্তিতে 'ছোট টারবাইন' এবং 'জ্বালানী কোষ' প্রকৃতিক গ্যাস না পুড়িয়েই বিদ্যুত উৎপাদন করবে। এই ুদ্র বিদ্যুত শক্তি উৎপাদনকারী যনত্র স্থানীয় বিদ্যুত বিতরনকারীর চেয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যের বিদ্যুত দিনে চৌবি্বশ ঘন্টা এবং সপ্তাহে সাত দিন অবিরাম সরবরাহ করবে। তার মানে আপনার যখন যতটুকু বিদ্যুতের প্রয়োজন আপনি নিশ্চিনতে তা পাচেছন। এমন কি প্রয়োজনে আপনার প্রতিবেশীর কাছে বিদ্যুত বিক্রি করে কিছু টাকা রোজগারও করতে পারছেন।
যেহেতু আমাদের ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের উপর নির্ভরতা বেড়ে যাচেছ, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্টস, শিল্পকারখানা, হাসপাতাল, টেলিযোগাযোগ সংস্থা ইত্যাদি তথা সকল গ্রাহকদের নিরবচিছন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত শ্রেষ্ঠ্য উপায় হলো, নিজেই বিদ্যুত উৎপাদন করা। ইদানিং বেশ কিছু শিল্পকারখানা নিজেদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুত ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে নিজেরাই তৈরী করছে। কিনতু অনেক আবাসিক ও ব্যবসায়িক ব্যবহারকারীরা এভাবে তাদের প্রয়োজন পুরন করতে পারছে না। ডিজেল জেনারেটর প্রচুর শব্দ উৎপাদনকারী পরিবেশ দুষনকারী ও নোংরা। সৌর শক্তি থেকে শসতায় বিদ্যুত উৎপাদন করা গেলেও নিরবচিছন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিতে সম নয়। তা ছাড়াও সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রচেষ্টা দেশে প্রায় শুন্য।
বিদ্যুত উৎপাদনের গতানুগতিক ধারার বাইরে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং হচেছ।কিন্তু সবই দেশের বাইরে। বাংলাদেশে শুধু গ্রামীণ শক্তি ও ব্রাকসহ কিছু এনজিও বিদেশী সাহায্যে সৌর শক্তি নিয়ে কাজ করছে। আশার কথা, বাংলাদেশ এডভান্সড ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি সবুজ শক্তি বা বিকল্প শক্তি (সৌর, বায়োমাস, বাতাস, সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদি) নিয়ে সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থে গবেষণা করছে যেন কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের বিদ্যুত নিজেই প্রয়োজন অনুসারে তৈরী করতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুত, যদি থেকে থাকে, অন্যের কাছে বিক্রি করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ভোর ৪:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




