উনিশ শ একাত্তরে পাকিস্তানীবাহিনীর বিরুদ্ধে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ে এই প্রতিবেদন। এসব স্থানে গেলে হয়তো আপনিও হারিয়ে যাবেন সেই সব দিনগুলোতে...
জাফলং, সিলেট
মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল জাফলংয়ের ওপারে ভারতের ডাউকিতে। ১৩ জুলাই ইপিআর ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের একটি গ্রুপ জাফলংয়ে ঢোকে। পিয়াইন নদীর এপারে রাজাকার আজিরউদ্দিনের বাড়িতে ছিল একদল পাকিস্তানীসেনা। ওরাই প্রথম আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারাও লড়তে থাকেন। এক ঘণ্টা চলে যুদ্ধ।
তারপর দুই দলই নীরব থাকে। ভোর ৫টায় পাকিস্তানীবাহিনী আবার আক্রমণ চালায়। জবাব দেন মুক্তিযোদ্ধারাও। পাঁচ সেনা মারা পড়লে পাকিস্তানিরা পালায়। দুজন মুক্তিযোদ্ধা এ যুদ্ধে আহত হন। শত্রুমুক্ত হয় জাফলং। জাফলংয়ের পাশে সারি নদীতেও বড় যুদ্ধ হয়।
সিলেট শহরের ধোপাদিঘির উত্তর পাড় থেকে জৈন্তা-জাফলংয়ের বাস যায়। ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সময় লাগে ১ ঘণ্টার কিছু বেশি।
সমাদ্দার ব্রিজ, মাদারীপুর
৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার এসডিও মতিন সাহেবের ড্রাইভার আলাউদ্দিন মিয়া (মুক্তিযোদ্ধাদের সোর্স) চৌহদ্দি ক্যাম্প, আমগ্রাম ক্যাম্পসহ সব ক্যাম্পের পাকিস্তানি সেনাদের ফরিদপুর সেনানিবাসে যাওয়ার গোপন সংবাদটি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেন।
মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুতগতিতে মেজর খলিলের নেতৃত্বে ঘিরে ফেলেন সমাদ্দার ব্রিজ এলাকাটি। পাকিস্তানীসেনারা ব্রিজটি পার হয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার পাঁয়তারা করছিল।
পাকিস্তানি বাহিনীর প্রথম গাড়িটি ব্রিজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিট্যাঙ্ক মাইনের আঘাতে ব্রিজটি ভেঙে পানিতে পড়ে যায়।
পাকিস্তানীসেনারা পূর্ব দিকে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা ছয়টি বাংকারে আশ্রয় নেয়। ৯ ডিসেম্বর সারা দিন সারা রাত তুমুল যুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনাদের বাংকারের রসদ ফুরিয়ে গেলে তারা সাদা পতাকা তুলে সন্ধির প্রস্তাব দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সিজ ফায়ারের সুযোগে গাড়িতে রাখা খাদ্য দ্রুতগতিতে তারা বাংকারে নিয়ে আসে।
এক ঘণ্টা বিরতিতে পাকিস্তানি সেনারা আবার ফায়ারিং শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মেজর খলিল যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করেন। উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেন। দলের সবচেয়ে ছোট সদস্য সরোয়ার হোসেন বাচ্চু ৩৯তম গ্রেনেড চার্জের সময় পাকিস্তানীসেনাদের গুলিতে নিহত হন।
ওই দিন বিকেলেই পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। মুক্ত হয় মাদারীপুর। সমাদ্দার ব্রিজটি মাদারীপুর সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় অবস্থিত। ঢাকার গাবতলী থেকে বরিশালগামী যেকোনো পরিবহনের বাসে সমাদ্দার ব্রিজে এসে নামা যায়।
কামালপুর, জামালপুর
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর সীমান্তে ভারতের মেঘালয় রাজ্যসংলগ্ন কামালপুর রণাঙ্গনে ১১ নম্বর সেক্টরের ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এই রণাঙ্গনে ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম শত্রুপক্ষের মর্টার শেলের আঘাতে পা হারিয়েছিলেন।
কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ১৩ নভেম্বর শত্রুর ঘাঁটির ওপর আক্রমণ করেন। এই আক্রমণে শত্রুপক্ষের এক মেজরসহ দুই কম্পানি পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ১৪ নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বাঁ পায়ে আঘাত পান।
সেক্টর কমান্ডার গুরুতর আহত হওয়ার পরও পেছনে হটেননি মুক্তিযোদ্ধারা। পরদিন ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানীসেনারা আত্মসমর্পণ করে। এর পরই হানাদারমুক্ত কামালপুরে বিজয়ের পতাকা ওড়ে। কামালপুর রণাঙ্গনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
স্তম্ভের ফলকে শহীদ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অঙ্কিত রয়েছে। ঢাকার মহাখালী থেকে বৈশাখী, রিফাত ও সিয়ামসহ আরো কিছু পরিবহনের বাসে ২৮০ টাকা ভাড়ায় কামালপুর যাওয়া যায়।
মুক্তিনগর, যশোর
'তোমাকে পাওয়ার জন্য আর কতকাল ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়?' কবি শামসুর রাহমানের 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা'- এই কবিতাটি মুক্তিনগরের রণাঙ্গনের স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২১ ও ২২ নভেম্বর এখানে বড় যুদ্ধ হয়েছিল।
বিমান, ট্যাঙ্ক, কামান, বন্দুকের গুলি- শেষ পর্যন্ত হাতাহাতির ওই যুদ্ধে সামরিক-বেসামরিক মিলে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছিলেন। চৌগাছার জগন্নাথপুরের নামই মুক্তিনগর। গ্রামের পশ্চিমে বেড়ি গোবিন্দপুর বাঁওড়। সবুজ-শ্যামল গ্রাম। মিত্রবাহিনী আর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদারদের এই যুদ্ধ পুরো গ্রামে ছড়িয়ে গিয়েছিল।
এরপর গুলি ফুরিয়ে গেলে দুই পক্ষ স্থানীয় স্কুলমাঠে হাতাহাতি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে গ্রামের মহিলারা এসে পাকিস্তানীসেনাদের ঝাঁটাপেটা করেন। পাকিস্তানীদের চৌগাছা দুর্গের পতন হয়। এরপর তারা গিয়ে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত হামলার কারণে ৬ ডিসেম্বর শত্রুরা যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়। দিনটি যশোর শত্রুমুক্ত দিবস। স্বাধীনতার পর জগন্নাথপুরের নাম হয় মুক্তিনগর। স্থানীয় মুক্তিনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই মাঠে রণাঙ্গনে গড়ে তোলা হয় একটি যুদ্ধের স্মৃতিফলক।
আর মশিউরনগর থেকে মুক্তিনগরে যাওয়ার রাস্তাটির নামকরণ হয় স্বাধীনতা সড়ক। যশোর বাস টার্মিনাল থেকে চৌগাছার বাসে ২২ কিলোমিটার দূরের মশিউরনগর যেতে ১৫ টাকা খরচ হবে। মশিউরনগর থেকে স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে দুই টাকা ভ্যান ভাড়ায় আধা কিলোমিটার দূরে মুক্তিনগর।
ঘোষবাগ, সাভার, ঢাকা
সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার জিরাব এলাকার ঘোষবাগ-গঙ্গাবাগ গ্রামে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গেরিলা দল সম্মুখযুদ্ধের মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর সাভারকে শত্রুমুক্ত করেছিল। ওই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহের আলী মিয়া।
তিনি বলেন, "১৯৭১ সালের শেষের দিকে পাকিস্তানীবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বিভিন্ন এলাকায় নাস্তানাবুদ হচ্ছিল। তাই তারা পিছু হটে ঢাকার দিকে ফিরছিল। এ সময় ঢাকা উত্তর গেরিলা ইউনিটের প্রধান শহীদ রেজাউল করিম মানিকের গেরিলা গ্রুপটির মূল দায়িত্ব ছিল ঢাকার উত্তরাঞ্চলের সেতু উড়িয়ে দিয়ে, ব্যারিকেড দিয়ে অথবা রাস্তা কেটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শত্রুবাহিনীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো।
এমনই এক অভিযানে ধামরাইয়ের কালামপুরের অদূরে ডাউটিয়া সেতুটি ডিনামাইটের সাহায্যে ধসিয়ে দেওয়ার অপারেশনে গ্রুপ কমান্ডার মানিকসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ১৩ নভেম্বর শহীদ হন। এরপর শত্রুমুক্ত হওয়া পর্যন্ত গ্রুপটির কমান্ডার ছিলেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
১৪ ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানীবাহিনীর ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত হয়ে ঢাকার পথে জিরাব এলাকার ঘোষবাগ গ্রামে এসে পৌঁছলে ঝাঁপিয়ে পড়ে 'বাচ্চুর বিচ্ছু বাহিনী'। শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ। এ সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানীসেনাদের কয়েকজন নিহত হয় এবং কয়েকজন পালিয়ে যায়।
এ-যুদ্ধে মানিকগঞ্জের উত্তর শেওতা গ্রামের তৎকালীন ন্যাপ (মোজাফফর) নেতা গোলাম মোস্তফার ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটু শহীদ হয়। তাকে সাভার ডেইরি ফার্ম গেটের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধার ঘেঁষে সমাধিস্থ করা হয়।" ঢাকার গুলিস্তান থেকে সাভার ডেইরি ফার্মগেট পর্যন্ত বাস ভাড়া ৩৫ টাকা।
নাজিরহাট, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে পাকিস্তানীহানাদার বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে দূর-দূরান্তে।
ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানরা চাঁদের গাড়িতে করে কামান এবং অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে দেশের মানচিত্র অঙ্কিত পতাকা নিয়ে নাজিরহাটে সমবেত হন।
সংবাদ পেয়ে পলাতক পাকিস্তানীহানাদার বাহিনী সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে তিন-চারটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে নাজিরহাটে এসে উল্লাসরত মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধে ১১ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এ স্থানে এখন একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর থেকে নাজিরহাট বাসস্টেশন যেতে ভাড়া ৩০ টাকা। সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
টগরাইহাট, কুড়িগ্রাম
১৪ এপ্রিল পাকিস্তানীবাহিনী রংপুর ও লালমনিরহাট থেকে এসে কুড়িগ্রাম নতুন স্টেশন এলাকায় আস্তানা গাড়ার চেষ্টা করে। মুক্তিবাহিনী প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পাকিস্তানীবাহিনী পিছু হটতে থাকে। টগরাইহাট বড় পুলের কাছে একটি ইটভাটায় গিয়ে অবস্থান নেয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকিস্তানীবাহিনীকে ঘিরে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। এতে আন্নাল, জয়নাল, আনছার, হাছিমুদ্দিনসহ ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। প্রায় ৪০০ মুক্তিযোদ্ধা এ যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানীবাহিনী তিস্তার দিকে চলে যায়।
কুড়িগ্রাম শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কের পাশের টগরাইহাট রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় জায়গা হিসেবে পরিচিত। কুড়িগ্রাম শহর থেকে রাজারহাট যাওয়ার পথে অটোরিকশা বা রিকশায় টগরাইহাট যাওয়া যায়। ভাড়া ছয় থেকে ১৫ টাকা।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত..........................
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা
বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।