অবিশ্বাস্য হলেও সত্য কোটি মানুষের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলন হলেন দেশের দুই নেত্রীর। তাও কোনো সংলাপ বা চুলাচুলির উদ্দেশ্যে নয়। আজব এক কেরামতিতে তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠের পরস্পরকে দেখার জন্য।
তবে ঘটনার সুত্রপাত ঘটিয়েছেন সরকার প্রধান নিজেই। শুক্রবার রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যান সরকার প্রধান। ঠিক নিজের কাজ কর্ম সেরে বিরোধী দলীয় নেত্রীও শুয়ে পড়েন বিছানায়। তবে আশ্চার্যজনক হলেও সত্য তারা দুজনেরই নাকি রাতে দেখেছেন একই স্বপ্ন।
বিরোধীদলীয় নেত্রী স্বপ্নে দেখেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে উঁকুন বেছে দিচ্ছেন। অনুরূপ স্বপ্নও দেখেন প্রধানমন্ত্রীও। এই আবেগ ধরে রাখতে না পেরে তাই রাতেই প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে একটি মিসকল দেন বিরোধী দলীয় নেত্রী।
বিরোধী দলীয় নেত্রীর মিসকল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি ফোন দেন প্রধানমন্ত্রী। ফোন রিসিভ করতে একে অপরকে বুবু ও বোন বলে সম্মোধন করেন।
তারপর কথপোকথন দেশ নিয়েঃ
দেশের রাজনীতি আমাদের দুই সতিনে পরিণত করেছে। একে অপরকে প্লিজ তুমি আমার বাসায় আসো আজ দুই বোনে এক সঙ্গে কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করবো ইত্যাদি।
এরপর যেমন কথা তেমন কাজ। প্রধানমন্ত্রী হাজির হন বিরোধী দলীয় নেত্রীর বাসায়। দুই বোনে এক সঙ্গে রান্না শেষে একে অন্যকে খাইয়ে দেন। তারপর বেলকনিতে বলে একে অন্যের মাথার উঁকুন বেছে দিয়েছেন।
বিশেষ স্বপ্নে সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী। রাতে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে নাকি স্টার জলসা ইষ্টিকুটুম সিরিয়ালও দেখবেন।
প্রিয় পাঠক, এমন লেখা পড়ে নিশ্চয় আপনারাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। ভাবছেন দেশের বুঝি এবার একটা গতি হলো। দেশ বুঝি নিরার্থক রক্তপাত থেকে রক্ষা পেলো। হ্যা আসলেই দেশ সহিংসতা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে সেটা বাংলাদেশ নয়, এটা একজন চিত্র নাট্যকারের গল্প। যিনি নিজেই স্বপ্ন দেখেছেন এমন একটি ঘটনা। তবে তার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মর্জিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন বেগম মাজেদা।
তবে তাদের চারিত্রিক ও মানসিক এমন পরিবর্তন আপনা-আপনি হয়নি। এর পেছনেও রয়েছে একটা আজব ঘটনা। প্রখ্যাত গুপি গাইন আর বাঘা বাইনেরও স্বপ্নে আবির্ভাব হয়েছিলো। তারা গান গেয়ে ঢোল বাজিয়ে শতবার চেষ্টা করেও দুই নেত্রীকে এক করতে পারেননি।
অবশেষে তারা দুই নেত্রী রাতের খাবারের পর দুজনকেই খাইয়ে দেন একটি করে ঝটিকা ম্যাংগো জুস যা সেইরাম পিওর। আর দুই নেত্রীর ব্যবহৃত দুরে রাখা মোবাইল সিম হারামী ফোনকে পাল্টে দিয়ে সংযুক্ত করেন দেশপ্রেমিক বানানো কবি ফোনের সিম। আর এতেই কেরামতি শুরু।
পাঠক আশা করছি আমাদের দেশের দুই নেত্রীও ১৬ কোটি মানুষের রাতের স্বপ্নে এভাবেই আবির্ভুত হবেন। (কাল্পনিক)
লেখক: পাঞ্জেরী
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।