কি হতো
যদি পুঁজিবাদ নিজেই কোন বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে
ছাত্রছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত এক বক্তৃতা দেয় যার শিরোনাম…
'যদি আমার একটি হৃদয় থাকতো'
হ ঠিকাছে, শরীরের কথা বলি
শরীর একটি হাতিয়ার,
কিন্তু এটি একটি পণ্যও আবার
প্রতিদিন পুনরায়
নিজের শরীরই কিনতে হয়
যে খাবার খাদ্য, যে বিছানায় শয়ন,
তার সবই নিজস্ব অর্থায়ন
যে জামাকাপড় পরিধানে, তবে আরও ভাল
কামানো বগল, কুঁচকি, নাক, ছিদ্র, উল্কি, ভ্রু
এটা সাজসজ্জা, এটা শিল্প, কিন্তু আমাদের সবেমাত্র শুরু
আমরা তোমাদের নতুন শরীর, ভিন্ন রঙের চুল বেঁচতে পারি
আমরাই দেহ টুকরোটাকরা কেটে আবার দেবো সেলাই কারিগরী
জিনিসটা হতেই পারে অদ্ভূত
আর কথাটা খোলাসা করা যাক
শরীর ভেঙ্গে যায়
এবং কখনও কখনও তা ঠিক করতে পারি টুকটাক
আর যখন পারা যাবে না তখন মৃত্যু নির্ঘাত জেনো
কিন্তু ততদিন শরীর ঠিক করা বন্ধ হবে কেন
নতুন শরীর তৈরি,
হ্যাঁ! আমরা্ই পারি
তবে আমরা শুধুমাত্র শুরুর পর্যায়
কিন্তু রকেটটি এখন উড়ার অপেক্ষায়
আর গন্তব্যও সামনে দেখা যায়
নিজেকে মনে করো ধানের টুকরো
প্রকৃতি তৈরি করেছে তোমাকে
এবং সর্বদাই তাই, আমরা শুধু চুরি করেছি প্রকৃতি থেকে
আর সেটা থেকে উপায় চিন্তা টাকা উপার্জন
কিন্তু এলো বিজ্ঞান, আর তাই মানুষের মালিকানাকরণ
ধানচাল ইত্যাদির স্বত্বও আমাদের
ভিতরে যেতে পারি, কেটে ফেলতে পারি, আবার করতে পারি সেলাই
যতক্ষণ আমাদের নির্দেশনা ছাড়া প্রকৃতির কিছুই করার ক্ষমতা নাই
মানুষের ব্যক্তিত্ব এক অসীম পেঁয়াজ
পরতে পরতে ত্বকের খোসা ছাড়ানো যেতে পারে
এবং কখনোই পৌঁছানো যাবে শেষতম স্তরে
অভ্যন্তর চলে চিরকাল ধরে
কিন্তু মানুষের শরীর এমন নয়
এটা ধানের ন্যায়
কিন্তু আরও জটিল, তবে গঠিত একই নীতিতে
আমরা পারি শুধু মানচিত্র আঁকতে
এবং তারপর বাধ্য করি এই অভিশাপের প্রতিটি ইঞ্চি কিনতে
আমরা তোমাদের করুণা করতাম, আমার যদি থাকতো হৃদয়,
জন্মের আগেই সবার মাথা খাওয়া ও বাঁশডলা শুরু হয়
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৩