পত্রিকায় দেখলাম ফেসবুক এ রাসুল (সা.) এর কার্টুন আকার প্রতিবাদ স্বরূপ ২৮শে জুন হরতাল ডেকেছে ইসলামী ঐক্যজোট। বিএনপি'র হরতাল নিয়ে যতই মত পার্থক্য থাক তবুও এই বলে নিজেকে স্বান্তনা দিয়েছিলাম যে তারা দেড় বছর অপেক্ষা করতে পেরেছে, আওয়ামী লিগ গতবার অপেক্ষা করেছিল ৩ মাস। তার মানে দলগুলোর মানসিকাতার হয়ত উন্নতি হচ্ছে। তার উপর বিএনপির হরতালের কারন গুলো অন্ততঃ সাধারন দৃষ্টিতে জনগনের দাবি দাওয়া আদায়ের। কিন্তু ই,ঐ,জো এর হরতাল আহবান (আহবান না বলে ঘোষনা হবে) শুনে কোন হিসাব মিলাতে পারলামনা। কার বিরূদ্ধ্বে হরতাল? ফেসবুক? সরকার? নাকি জনগন?
তারা নাকি সুইডিশ এম্বেসি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে, অন্যথায় ঘেরাও করবে। আমার খুব সখ এইসব লোকদের একবার ক্ষমতায় দেখার, কোন দেশের কয়টা লোম ছিড়তে পারে দেখতাম।
যাই হোক, তাদের মত প্রকাশের অধিকার আছে, রাজনীতি করার অধিকার আছে, নিজস্ব আবেগ অনুভুতি আছে। সেগুলার উপর আঘাত করার অধিকার আমার নাই, যেমন আমি নিজেও ফেসবুকে কিছু লোকের অতি উৎসাহী হয়ে ঐরকম গ্রুপ খোলার পক্ষে না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এর জন্য হরতাল কেন? দেশের ভিতর হরতাল করলে কি সুইডিশ সরকার ঐ কার্টুনিস্টকে গ্রেফতার করবে, তারা কি আদৌ এইসব দলকে খুব একটা গোনায় ধরে? অবশ্যই না। এই হরতাল শুধু কয়েক কোটি গরীব জনগনের একদিনের কষ্ট বাড়াবে আর কিছুই না। এই কথা হরতাল ডাকা দলটাও জানে। আর হরতাল এমন সময় ডাকা হয়েছে যখন ফেসবুক এর পেজটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমার ধারনা দলটার ৫ শতাংশ কর্মীও জানে না আসলে ফেসবুক কি, বা কোন বিষয়ের বিরূদ্ধে এই হরতাল।
ই,ঐ,জো এর কাছে আমার জিজ্ঞাসা, মহানবীর জন্মস্থান মধ্যপ্রাচ্যের কয়টা দেশ সুইডিশ এম্বেসী বন্ধ করেছে? কয়টা দেশে এমন হরতাল আহবান করে দেশের মানুষকে কষ্ট দেয়া হয়েছে?
জনগনকে জিম্মি করে এই রাজনীতি করে আপনারা মানুষের সমর্থন চান? ভোট এর হিসাবে তো আপনাদের দেশে রাজনীতিই করতে দেয়া উচিৎ না। কয়জন ভোটার আপনাদের মত নাম স্বর্বস্য দলকে অধিকার দিয়েছে দেশের মানুষ এর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




