আমার এপার্টমেন্টমেইট- সাঈদ, ইরান থেকে। ওর মাঝে মধ্যে বাতিক হয় শপিং করার। না কিনলেও দেখার শখ। একদিন ইফতারীর এক দাওয়াতের পরে তার সেই বাতিক উঠলো। কাছেই ইকিয়া। চলো দেখি কি কি অফার দিচ্ছে। আমরা দাওয়াত থেকে আরো দুজনকে গন্তব্য না বলে বাগালাম যে চলো ঘুরে আসি। তারা মুখে প্রশ্ন বোধ চিহ্ন এঁটে রওনা দিলো। বারবার জিজ্ঞেস করে কোই যাও। আমি আর সাঈদ দুজনেই এড়াই। অর্ধেক পথ যাওয়ার পরে যখন বললাম ইকিয়া, দুইজনেই সোজা দাড়িয়ে গ্যালো। অনেক ইফতার করেছে, টায়ার্ড, রোজা ছিলো ইত্যাদি অযুটাতে টপাটপ বাসে উঠে পড়লো।
অত:পর পুরাতন দুই বন্ধুরই যেতে হলো। ইকিয়ায় গিয়ে দুইজন দুইদিকে, কারন জায়গাটা এত বড়, ঘুরে ঘুরে স্বাধীনভাবে দেখতে গেলে হারাতেই হবে। ইচ্ছে করেই হারালাম। আমি আমার মতো ঘুরছি। পিচ্চিদের সেকশনগুলো জোশ। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ছোটদের ঘর বানিয়ে রাখে। দোতলা খাট, খেলনা, হাবিজাবি। লাইট সেকশনটাও আমার পছন্দের। ইন্টেরিয়র ডেকরেশনের প্রতি আগ্রহ ছিলো অনেক, এখনও আছে। তাই ঘর সাজানোর নতুনত্ব দেখলে শিশুতোষ মুদ্ধ হই।
ঘুরতে ঘুরতে খুব সস্তায় চারটুকরো কাঁচের এই আয়নাটা খুব পছন্দ হলো। আইডিয়াটা খুব সিম্পল । ফ্রেম বিহীন চার টুকরো আয়না। পেছনে গাম দিয়ে ইচ্ছে মতো দেয়ালে সেটে দাও যেকোন কম্বিনেশনে। কেউ লম্বালম্বি, আড়াআড়ি , স্কয়ার যা খুশি। ঠিক কত ডলার মনে নেই, তবে সম্ভবত 10 ডলারের নিচের। ভালো লাগায় আরো দুই একটা জিনিসের সাথে এটা কিনলাম। কেবল দেখার জন্য না, সিড়ি বা যেকোন জায়গার দেয়ালে জিনিসটা দারুন মানায়।
ইকিয়ার পুরোটা চক্কর দিতে পা টনটন। ততক্ষনে প্রায় দেড় ঘন্টা কেঁটে গ্যাছে। ইয়া ঢাউস বিলিডংয়ের দুইতলা দেখে দেখে হাটলে আরো অনেক বেশি সময় যায়। ক্যাশে দাম দিয়ে সাঈদের সাথে যখন এক্সিটে দেখা তখন ব্যাটার হাত খালি। সাধারনত এইটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার যে, যার বাতিকে শপিংয়ে যাওয়া হয় সে ঘুরে টুরে ফিরে আসে আর যাকে নিয়ে যায় দেখা যায় সেই একগাদা জিনিস কিনে ফ্যালে। ঘটনা এইখানেও তাই।
ছবি: ছবিটা ওভার এক্সপোজারে দুষ্ট (জানালার পদর্াটা দেখলেই বুঝবেন)। ঘরে আলো কম ছিলো তাই এক্সপোজার বাড়িয়েই তুলেছি। ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে গেলে একটু হাত কাপলেই ঝাপসা হয়। তাই ট্রাইপডের বিকল্প নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৩:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



