এতদিন ধরে যা অনুমান করা হচ্ছিল আজ তাই বাস্তব হলো। এতদিন এই নাটকের কোন পরিচালক খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় পর্ব একের পর পর এক বড় হচ্ছিল। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে কিছু চোরদের হত্যাকরী বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন জানগনের কাছে। আর এখানে র্যাফেল ড্র হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার একটি প্রাইজমানিও ঘোষনা করা হয়েছে। আসলে প্রকৃতখুনীদের প্রভাবশালীরাই যে লালন পালন করে তা এখন পরিষ্কার হয়ে গেল।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই সাতজনের মধ্যে চারজনের নাম যথাক্রমে রফিক, বকুল, মিন্টু ও সাইদ। এরা পেশাগত খুনি ও চিকিত্সক নারায়ণ চন্দ্র দত্তের হত্যাকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ মামলায় খুনের দায়ে তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, ঠিক তেমনি এদের সঙ্গে কর্মরত একজন গাড়িচালক কামরুলকে আটক করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির বাড়ির পাহারাদার রুদ্র পলাশ ও হুমায়ূন ওরফে এনামুলকে এ খুনের মামলায় অপরাধী বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রুদ্র পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হুমায়ূনকে এখনো আমরা ধরতে পারিনি। তবে তার পৈতৃক বাড়ি, আত্মীয়স্বজন, যেখানে সে যেতে পারে, লুকাতে পারে, থাকতে পারে, সব স্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’ এর বাইরে সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু তানভীর সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধের আলামত আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি, তারা পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধীদের ডিএনএ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এর ভিত্তিতেই যেসব অপরাধীর নাম বললাম, কিংবা এর বাইরে যদি কোনো ভিন্ন অপরাধীর নাম তদন্তে উদঘাটিত হয়, তাদের ডিএনএ বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা অকাট্যভাবে আদালতে নিয়ে যেতে সমর্থ হব।’
খুনের মোটিভ কী? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি, তদন্ত চলাকালে এ বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু বলা যাবে না। তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা দেওয়া ঠিক হবে না।’
গ্রেপ্তার হওয়া খুনিরা পরপর দুটি খুন করল, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কিছুই বুঝতে পারল না, এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধী অপরাধ করে ক্ষা›ত হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তত্পর রয়েছে।’
সরকার জনগনের কাছে দাবি করেছে যে তারা উন্নত গবেষনাগারে অনেক কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌছেছে। আরে ভাই রাস্তার ফুটপাতের মালিশ বিক্রেতারাও বলে যে তাদের এই মালিশ বিভিন্ন পরিক্ষাগারে পরিক্ষিত হয়ে কয়েকযুগ ধরে বিশাল জনপ্রিয়তা নিয়ে বাজার ধরে রেখেছে। কিন্তু আসল কাহিনী বিক্রেতাও জানে আর ক্রেতারাও জানে। তারাও বিগত চারদলীয় সরকারের মত জজ মিয়া নামন এক নাটকের মাধ্যমেই যে পার পেয়ে যেতে চাইছে তা এখন পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেল।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের রহস্য ১০ অক্টোবরের মধ্যে উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সরকার সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে এই হত্যাকান্ডের তদন্তের কাজ চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, এর ভিত্তিতে বলতে পারি, আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’
তিনি নিজেকে সাহারা খাতুনের মত করেনা তাই সাহারা খাতুন ৪৮ ঘন্টা বলে যে ভুল করেছিল তা তিনি করেনি। তাই তরিঘরি করেই এক রকমের গা বাচাঁতে কিছুটা পারিবারিক হত্যাকান্ডের ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়ে গেছেন।
মারা যাবার পরও কত কাহিনীই না করল মেঘকে নিয়ে এবং তার পরিবারকে নিয়ে। কিন্তু এত কিছুর পর যখন বের হয় কিছু সিধেল চোর চুরি করতে গিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল তাহলে তা সাধারন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আসলে কে আসল খুনি ? পারিবারিক বন্ধু তানভীরকে যদি সন্দেহ করা হয়, তাহলে তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না ? এতো দিন বলেছে এ টি এন এর মাহফুজ জড়িত তা হলে এখন সে পার পেল কী ভাবে ? আসলে কারা খুন করেছে ? পারিবারিক বন্ধু এবং বাসার দারোয়ান ঘটনা ঘটালে এর রহস্য উদঘাটনে এত দীর্ঘ সময় লাগার কথা নয়। নেপথ্য নায়কদের আড়াল করে চুনোপুটিদের শাস্তি দিলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না।
এরা দুইজনই (সাহারা খাতুন+ মহীউদ্দীন খান আলমগীর) একই পথের পথিক তা আবার প্রমান করলো। একজন ৪৮ ঘন্টা দিয়ে ব্যর্থ আরেক জন ১৫দিন সময় নিয়ে ব্যর্থ। আসলে এরাই কি বোকা নাকি জনগন সবাইকে এরা বোকাভাবে এ প্রশ্ন রয়েই গেল।