সেপ্টেম্বর ২৯-এ প্লেন নামল Zurich এয়ারপোর্ট -এ। আমার বান্ধবি এসেছিলো আমাদেরকে নিতে। ওর বাসায় রাতে এক প্রস্থ আড্ডা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমালাম। পরদিন শুরু হলো স্বর্গ দর্শন
১ম দিনঃ (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০০৯)
বান্ধবী নিয়ে গেল তার ইউনিভার্সিটিতে - ETH University - ওরা বলে ই টি হা, H কে হা উচ্চারন করা হয়!! চমৎকার সাজানো গোছানো ইউনিভার্সিটি! মনে মনে ভাবলাম এত সুন্দরের মাঝে এরা পড়ে কেমনে! আমি হলে হা করে খালি সৌন্দর্য দেখতাম
ETH University ছাদ থেকে জুরিখ শহর:
দুপুরের খাবার ভার্সিটি ক্যামপাসে:
Botanical Garden-এর ডোম:
জুরিখ লেক:
২য় দিনঃ (অক্টোবর ০১, ২০০৯)
পরদিন গেলাম আল্পস পর্বতমালা দেখাতে। প্রথমে Zurich থেকে Luzern যেতে হয় ট্রেনে, ট্রেনে যেতে যেতে দুপাশের যেসব দৃশ্য দেখেছি তা অবর্ননীয়। কত মুভীতে এই অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্যগুলো একসময় দেখেছি!! এরপর Luzern থেকে জাহাজে করে গেলাম Pilatus । জাহাজের সেই journey আরেক অসাধারন অভিজ্ঞতা! এইগুলো আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। আমরা জাহাজের দোতালায় বসে চা কফি খেলাম, কিছু পাখি আমাদের খাবারের লোভে আমাদের পাশে পাশে উড়ছিল, লেকের দুইধারে অপুর্ব সব জায়গা, অদ্ভুত আর কী রোমাঞ্চকর সময় কেটেছে সেদিন!
Pilatus পৌছে আমার সুখ শেষ
এক পর্যায়ে এসে হাত বের করে মেঘ পর্যন্ত ধরা যায়। ৭০০০ ফুট উপরে জায়গাটাকে বলে 'Pilatus Kulm', ওখানে পৌছেই দেখি খুব বিষন্ন সুরে একজন বাশী বাজাচ্ছে! আর এত উপরে হিমশীতল ঠান্ডায় জমে যাচ্ছিলাম, তবু কীযে ভালো লাগছিল!!
Pilatus অনেক ঘুরাঘুরি করে ট্রেনে করে Luzern ফেরত আসলাম, ওখানে একটা খুব চমৎকার ব্রীজ আছে, চারদিক ফুলে ঘেরা, অনেক মুভীর গানের শুটিং নাকি সেখানে হয়। আরো কিছু আশপাশ দেখে বাসা ফেরত গেলাম। ফেরার সময় ট্রেনে বারবার মনে হচ্ছিল নিশ্চয়ই জিবনে কোনো এক ভাল কাজ করেছি, যার জন্য আজ বিধাতার প্রকৃতির এই অপুর্ব রুপ আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে...আমার সেইদিনের সেই মুগ্ধতা এখনো কাটেনি আর এই জীবনে কাটবে বলেও মনে হয়না!!!
Pilatus-এ খাড়া ট্রেন ভ্রমন:
Pilatus-এ যাবার পথে:
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




