[এই পোস্টটা কেবল বিশ্বাসী মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য লিখিত]
বিসমিল্লাহ্ ওয়াল হামদুলিল্লাহ্! ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু 'আলা রাসূলিল্লাহ্!!
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সকল বিশ্বাসী মুসলিমের জানা থাকার কথা যে, আল্লাহ্ ও তার রাসূলকে (সা.) নিজের প্রাণ বা নাফসের চেয়ে বেশী ভালোবাসতে হবে - এটা একজন মুসিলমের ঈমানের শর্ত (এবং কোনভাবেই ব্যাপারটা ঐচ্ছিক নয় - যে তা করতে পারবে না, তার ঈমানের দাবী হাস্যকর)। শুধু তাই নয়, এই মহাবিশ্বে কেবল একজন মানুষের প্রতি আমাদের, মুসলিমদের, আনুগত্য হবে নিরঙ্কুশ - তিনি হচ্ছেন রাসূল (সা.)। একমাত্র যার সম্পর্কে আল্লাহ্ কুর'আনে বলেছেন: "যে তাকে মানলো সে আল্লাহকেই মানলো":
مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
He who obeys the Messenger has obeyed Allah ; but those who turn away - We have not sent you over them as a guardian. (4:80)
আর এজন্যই ব্লগে বা অন্যত্র যখন কেউ আল্লাহ্ বা তাঁর রাসূলকে হেয় করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বা গালি-গালাজ করে, vilify করে - তখন ন্যূনতম বিশ্বাসী প্রতিটি মুসিলমের বুকে লাগে এবং সাধ্যমত সেটার প্রতিবাদ করা তার ঈমানী দায়িত্ব হয়ে ওঠে। এসবের পথ ধরে যেন গণরোষ বা গণ-প্রতিবাদের অস্থির অবস্থা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য (রাষ্ট্রযন্ত্রের ঈমানী অব্স্থা যাই হোক না কেন) আমার জানামতে প্রায় সকল মুসলিম দেশগুলোতে কোন না কোন ফর্মে "Blasphemy Law" রয়েছে। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন: কুর'আনের প্রতিটি শব্দ আল্লাহর কথা বা speech! রাসূল (সা.) কেবল আমাদের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছেন - এখানে একটি শব্দ সংযোজন বা বিয়োজনের অধিকার তাঁরও ছিল না। সেখানে ইউরোপের "মুরতাদ-sanctuary"-তে বসে কোন নাস্তিক যদি বাংলাদেশী ব্লগে লিখে যে, রাসূল (সা.) ঐ নাস্তিকের "মানস-প্রপিতামহের" ধারণা নকল করে কুর'আন রচনা করেছেন, তাহলে তার উদ্দেশ্য নিয়ে ভাববার অবকাশ রয়েছে। সে হয়তো বাংলাদেশের আইনের আওতার বাইরে, কিন্তু আমরা তো নই, এই ব্লগও যে নয়, তা তো আমরা কিছুদিন আগে চরম মূল্য দিয়ে দেখেছি/শিখেছি। যা ইচ্ছা তাই লিখে, ব্লগটাকে একটা virtual "Hyde Park" হিসেবে ব্যবহার করার কি কোন সুযোগ আছে?
একবার ভেবে দেখুন - কোন ধর্মগ্রন্থ নয়, রাষ্ট্রের শীর্ষব্যক্তির লেখা একটা জীবনীগ্রন্থের ব্যাপারেও যদি কেউ কটুক্তি করে বলতো যে, তিনি অন্যের কোন লেখা "নকল" করে তার বই লিখেছেন - তাহলে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হতো না? সেখানে বিশ্বের সকল মুসলিমদের জন্য যার অনুগত্য ফরজ - যাকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসা ওয়াজিব - সেই ব্যক্তিত্বকে ৮৭% মুসলিমের দেশের একটা মাধ্যমে অপমান করে পার পেয়ে যাওয়া কি স্বাভাবিক? এই ব্লগে একজন হিন্দু ব্লগার ধারাবাহিকভাবে দিনের পর দিন মহাভারত নিয়ে লিখেছেন - কিন্তু, (আমিসহ) কোন বিশ্বাসী মুসলিম কি তার সেই সমস্ত লেখার পেইজে গিয়ে ঐ ব্লগারের উপাস্য বা আরাধ্য কারো ব্যাপারে কটূক্তি করেছে? আমরা হয়তো তার সাথে agree করিনি/করিনা - কিন্তু তাই বলে কি তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আমরা আঘাত করতে পারি?
মুসলিমদের তরফ থেকে কোন উস্কানির ফলশ্রুতিতে, এরকম একটা অবস্থার পরিবেশ যেন সৃষ্টিই না হয়, সেজন্যই হয়তো আল্লাহ্ আমাদের আদেশ করেছেন বিধর্মীদের "উপাস্য"কে উদ্দেশ্য করে কটু কথা না বলতে! কুর'আনে আল্লাহ্ বলেন:
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ مَرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Revile not ye those whom they call upon besides Allah, lest they out of spite revile Allah in their ignorance. Thus have We made alluring to each people its own doings. In the end will they return to their Lord, and we shall then tell them the truth of all that they did. (Qur’an, 6:108)
এই আদেশ অনুযায়ী, তাই, কোন বিশ্বাসী মুসলিম কখনোই অন্য ধর্মীয়দের উপাস্যকে গাল-মন্দ করতে পারে না। কিন্তু তারপরেও কিছু নাস্তিক, কাফির, মুশরিক ও মুরতাদ (এগুলোর কোনটাই গালিগালাজ নয় - বরং কারো ঈমানী অবস্থার গুনবাচক নাম। আমাকে যেমন কেউ "মুসলিম" বললে মাইন্ড করার কিছু নেই - তেমনি যিনি কোন ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, তাকেও "নাস্তিক" বললে তার মাইন্ড করার কোন কারণ নেই) গায়ে পড়ে একজন মুসলিমের পোস্টে এসে আল্লাহ্ ও রসূলের (সা.) বিরুদ্ধে blasphemous ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে অনায়াসে পার পেয়ে যায়।
আমি এর প্রতিবাদ তীব্র জানাচ্ছি - এবং প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলিমকে আহ্বান জানাচ্ছি এর প্রতিবাদ জানাতে। রিপোর্ট করে কিছু হয়নি/হয়না। আমি রিপোর্ট করেছিলাম । কিন্তু দেখে আসুন - ২৯শে এপ্রিল, গ্রীনলাভারের পোস্টে করা ঐ নাস্তিকের মন্তব্য এখনো জ্বল জ্বল করছে:
view this link
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৫