somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার "জিজ্ঞাসু মন" সমীপে - একজন প্রতিক্রিয়াশীলের বয়ান

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগার "জিজ্ঞাসু মন",

যে সময়ের অভাবে ব্লগে ঢুঁ মারা হয়ে ওঠে না, ক্ষয়িষ্ণু জীবনের সেই অমূল্য সময়ের অনেকটুকুই যে একজন অপরিচিত সংশয়বাদীর মন্তব্যের উত্তর দিতে চলে যাবে, সেটা ভাবতে খারাপ লাগলেও উত্তর দিতে বসেছি। তার মূল কারণ হচ্ছে: একজন অবিশ্বাসীরও ইসলাম সম্বন্ধে জানার অধিকার আছে। আর তাকে জানানোর জন্য আল্লাহর কাছে আমার জন্য reward রয়েছে – irrespective of the result or output! আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে অনেক কিছু লিখতে হলো। তাই আমার যে পোষ্টে আপনি মন্তব্য করেছেন, সেখানে না লিখে, আলাদা একটা পোষ্ট হিসেবেই উত্তরগুলো প্রকাশ করাটা সমীচীন মনে করছি - তাতে হয়তো অন্য কারোও কিছুটা লাভ হলেও হতে পারে, ইনশা'আল্লাহ্! আর, পর্যাপ্ত সময় বের করে লিখতে বসতে বা লেখাটা সম্পূর্ণ করতে অনেক সময় লেগে গেলো বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

একজন প্রতিক্রিয়াশীলের বয়ান - এই শিরোনামে আমার যে পোষ্ট, তাতে আপনি লিখেছেন:

A)প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি অসাধারণ লেখার সমালোচনা করার জন্য। সামুতে নতুন আমি, লাভ- অবসেশন নিয়ে লেখাটি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। আপনার সমালোচনা দেখে খুঁজে নিয়ে লেখাটি পড়লাম, মুগ্ধ হলাম জাফরুল মবীন এর জ্ঞানের গভীরতা দেখে ,শ্রদ্ধাবনত হলাম আপনার ভিন্ন মতকে কত সম্মানের সাথে তিনি গ্রহন করেছেন তা দেখে।

AA) জনাব জাফরুল মবীনের পোষ্টে আমি ঐ মন্তব্য করেছিলাম একজন co-religionist হিসাবে। উনি যে একজন বিশ্বাসী মুসলিম, তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ তখনও ছিল না, এখনও নেই – কারণ আরবী ভাষা শিক্ষা নিয়ে উনার পোষ্টটাতে ইসলামের প্রতি তার যথেষ্ট ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছিল। দ্বীনের (ধর্মের) ব্যাপারে বা সাধারণভাবে দ্বীনের আওতায় আসে এমন সকল ব্যাপারেও, একজন মুসলিম অপর যে কোন মুসলিমের “আয়না” স্বরূপ হবে। কেউ ভুল করলে, তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন – কুর’আনে আল্লাহ্ মুসলিমদের মানবকুলের মাঝে শ্রেষ্ঠ জনসমষ্টি বলেছেন, কারণ, তারা মানুষকে (বিশেষত অপর মুসলিমদের তো বটেই) সৎকাজে আদেশ করবে আর মন্দ কাজে নিষেধ করবে, সে জন্য! উনি যে জবাব দিয়েছেন, তা একজন ব্লগার হিসাবে ঠিকই আছে – অত্যন্ত ভদ্র, কিন্তু একজন মুসলিম হিসাবে ঠিক নেই। কারণ সমস্যাটা শুধু আমার না, তারও বা অন্য যে কোন বিশ্বাসী মুসলিমেরও! আর, সে জন্য অন্য fellow Muslim-দের জন্য “একজন প্রতিক্রিয়াশীলের বয়ান” - এই পোস্টটা লেখা – আপনার মত কারো কথা আমার মনেই ছিল না!

আপনি বলেছেন:
B)পক্ষান্তরে আপনার লেখাটি আমাকে আহত করল । ২ নং কলামে আপনি 'infested' শব্দটি ব্যবহার করেছেন আমার মত 'ধর্মগ্রন্থের ঈশ্বরে' যারা বিশ্বাস করেন না তাদের অসম্মান করে। পৃথিবীকে দেখে, যুক্তি- জ্ঞান- বিজ্ঞান কে ব্যাবহার করে আপনি সিদ্ধান্তে এসেছেন যে কোন একটি বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস ই চিরন্তন সত্য- অন্যপক্ষে আমি সিদ্ধান্তে এসেছি যে ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য সত্য নয়। আমাদের মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পর কে সম্মান করার মানসিকতা থাকা প্রত্যাশিত ছিল না কি?

BB) আমি 'infested' শব্দটি বলে যাদের বোঝাতে চেয়েছি, আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত নন। তবু, আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সত্যিই দুঃখিত – কারণ আমার আল্লাহ্, কুর’আনে, non-combatant অবিশ্বাসীদের সাথে আমাকে ভালো ব্যবহার করতে বলেন:

لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ

Allah does not forbid you from those who do not fight you because of religion and do not expel you from your homes - from being righteous toward them and acting justly toward them. Indeed, Allah loves those who act justly. (Qur’an, 60:8)


আমি কাদের কথা বলেছি, তা বুঝতে/জানতে চাইলে অনুগ্রহপূর্বক নীচের ২টা পোষ্টে একটু চোখ বুলাবেন, ইনশা’আল্লাহ্:

view this link

view this link

আপনি লিখেছেন:
C)আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আপনি এক সময় রবীন্দ্র সাহিত্য এর মত উন্নত শিল্পকলার অনুরাগী ছিলেন- বর্তমানে আপনি সেই জাহেলি অধ্যায় থেকে আলোয় উপনীত হয়েছেন। অভিনন্দন- কিন্তু খেয়াল করেছেন কি ধর্ম আপনাকে শিখিয়েছে মানুষকে ঘৃনা করতে? নাস্তিক/ অজ্ঞেয়বাদী হলেও আমি/ আমরা মানুষ তো?


CC) এইটুকুর উত্তর নিশ্চয় উপরেই পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে? আমি অহেতুক একজন free-thinker-কে কেন ঘৃণা করতে যাবো? আমার কর্মস্থলে আমাকে এমন সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে, যখন আমি ছাড়া সবাই বিধর্মী/অধর্মী ছিল – হিন্দু ছিল, খৃষ্টান ছিল, বৌদ্ধ ছিল এবং এমনকি মালয়েশিয়ান চাইনিজ নাস্তিকও ছিল। তাদের সাথে আমার কোন সমস্যাই হয়নি – কারণ তারা গায়ে পড়ে আমাকে, আমার ধর্মবিশ্বাসকে demean বা deconstruct করতে চায় নি। আমাদের নবীর(সা.) সাহাবীরা – তারা সবাই এক সময় polytheist বা pagan ছিলেন। তাদের মাঝ থেকেই ইসলামের শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম উঠে এসেছে। একইভাবে, আমার কাছে একজন non-combatant অবিশ্বাসী, একজন potential বা “possible would be Muslim”ও বটে।

শিল্পকলার কথা যখন বললেন, তখন বলি: “কলা” বা “art” এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে artless যার প্রতিশব্দ হচ্ছে “natural”। Art হচ্ছে সেই কৃত্রিমতা, যার মাধ্যমে মানুষকে মোহগ্রস্ত/নেশাগ্রস্ত করে বাস্তবতা ভুলিয়ে রাখা হয়, exploit করা হয় – এসবের মাধ্যমে (বিশেষত গান-বাজনা-কবিতা-নাটক-সিনেমা) মানুষের হৃদয়ে মিথ্যা engineered emotion সৃষ্টি করা হয় এবং তাদের মৃত্যুর মত অনিবার্য বাস্তবতাকে ভুলিয়ে, বিনোদনের কল্পরাজ্যে বিভোর রাখা হয়। কবিরা কেমন সেটা তাদের সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ্, কুর’আনে কত সুন্দর বর্ণনা করেছেন দেখুন:

هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ (*) تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ (*) يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ (*) وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ (*) أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ (*) وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ (*) إِلَّا الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانْتَصَرُوا مِنْ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنْقَلَبٍ يَنْقَلِبُونَ (*)


Shall I inform you (O people!) upon whom the Shayatin (devils) descend?They descend on every lying (one who tells lies), sinful person.Who gives ear (to the devils and they pour what they may have heard of the unseen from the angels), and most of them are liars. As for the poets, the erring follow them; See you not that they speak about every subject (praising others right or wrong) in their poetry? And that they say what they do not do. Except those who believe (in the Oneness of Allah Islamic Monotheism), and do righteous deeds, and remember Allah much, and reply back (in poetry) to the unjust poetry (which the pagan poets utter against the Muslims). And those who do wrong will come to know by what overturning they will be overturned. (26: 221~227)

আর যেসব কবিদের একসময় ‘জীবনের ধ্রুবতারা” মনে করেছি – আপনার কথামত, যারা “উন্নত শিল্পকলার” ধারক-বাহক -তাদের ন্যাক্কারজনক “নিফাক” বা hypocrisy সম্বন্ধে একটু জেনে নিন:

view this link



আপনি আরও বলেছেন:
D)আপনার পোষ্টে passionate love হারাম বলতে আপনি সম্ভবত কেবল মাত্র শারিরীক সম্পর্ক কে ই বোঝাতে চেয়েছেন। আমার অনুভুতিতে passionate love- এর জন্য শারিরীক সম্পর্ক অপরিহার্য নয়- তীব্রভাবে কোন মানুষের কল্যান চাওয়াও passionate love হতে পারে। সেটি ইসলামে হারাম কিনা তা আপনারা আলোকপ্রাপ্ত প্রাকটিসিং মুসলিমরাই বলতে পারবেন।

DD) না passionate love বলতে আমি শারীরিক সম্পর্ক বোঝাইনি, “passionate love”ই বুঝিয়েছি – সংজ্ঞা অনুযায়ী passionate love যা বোঝায় সেটাই বোঝাতে চেয়েছি: a type of love in which emotional arousal and usually sexual passion are prominent features ….। তবে সেটাতে hormone-এর এবং biological প্রকৃতির প্রাধান্য থাকাতে, স্বাভাবিক ভাবেই শারীরিক সম্পর্কের দিকে যাবার কথা। ইসলামের পরিভাষায় অনেক সময়ই কোন একটা জিনিস ব্যাখ্যা করতে, তার বিপরীত ধারণাটা ব্যবহার করা হয় – যেমন ধরুন আলোর ধারণা স্পষ্ট করতে, আঁধারের কথা নিয়ে আসা হতে পারে। আপনাকেও হয়তো passionate love-এর বিপরীতে, compassionate love-এর সংজ্ঞা দিলে, আমি কি বোঝাতে চেয়েছি তা স্পষ্ট হবে ইনশা’আল্লাহ্:

Compassionate love describes attitudes toward and service for others, motivated by a desire for the good of the other. It includes caring for, valuing, and respecting the person so loved. The combination of the two words "compassionate" and "love" highlights features in both words: this combination describes sympathy towards the other, in a way that is caring, respectful, and appropriately emotionally engaged, which leads to appropriate action in service of the other person. Compassionate love can operate through the relief of suffering, but also through acknowledging life's full possibilities and making space for each human being to reach his or her potential. Compassionate love encourages fullness of life in the other.

এরপর আপনি বলেছেন:
E)তবে আমার জানামতে ইসলামে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্কের অনুমতি আছে। দাসী- যুদ্ধবন্দিনী সহ দীর্ঘ তালিকা সেটা। এই তালিকা ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক নারীর সাথে প্র্যাকটিস করা হালাল- অথচ ভালবাসা হারাম? এই অবস্থান এবং এমনি আরো অনেক অবস্থান মেনে নিতে না পারার যোগফল কি আমার মত অনেক মানুষের ধর্ম থেকে সরে আসা?


EE) বৈধ-অবৈধ সম্পর্কের কথা আমরা যখন বলবো, তখন আমরা কোন reference frame-এর মধ্যে অবস্থান করে কথা বলছি, সেটা define করে নেয়া উচিত। আমরা যদি Utah Mormons-এর সমাজে কথা বলি, তাহলে দেখবো যে, তাদের মাঝে polygyny বা একাধিক স্ত্রীর সাথে ঘর করা শুধু বৈধ নয়, বরং recommendedও বটে! তেমনি উত্তর ভারতের কিছু জায়গায় এবং নেপাল/তিব্বতের কিছু অংশের হিন্দু সমাজে, একটা পরিবারের ৩/৪ ভাই মিলে একজন নারীকে বিয়ে করে, যাতে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি না হয়ে অটুট থাকে – এবং তাদের সমাজে/ধর্মে এই polyandry একদম সাধারণ বা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। ভারতে বেশ্যাবৃত্তি বা মন্দিরের সেবাদাসী “বৈধ”, কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে হিন্দুদের (“নামকা ওয়াস্তে” হলেও) ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হতে হয়। এভাবে আমি on and on and on… আপনাকে উদাহরণ দিতে পারতাম। যাহোক, জাফরুল মবীনের পোষ্টে আমার মন্তব্য: “সকল মুসলিমের জানা উচিত যে, passionate love ইসলামে হারাম!” অথবা, আমার এই পোষ্টটা – দু’টোই ইসালমের reference frame থেকে উদ্ভুত এবং স্বধর্মী মুসলিমদের জন্য উদ্দিষ্ট! তবু, আপনি বিশ্বাস হারানো ভদ্রলোক – জানতে চেয়েছেন বলে এত কথা! ইসলামের reference frame-এ ক্রীতদাসীর (আপনার জন্য একটু correction “দাসী” আর “ক্রীতদাসী”-র status এক নয়) সাথে কেবল তার মালিকের সম্পর্কটা বৈধ (তাই বলে যে কোন কারো সাথে যে কোন ক্রীতদাসীর সম্পর্ক বৈধ নয়; উপরন্তু ঐ মালিকের ঘরে তার কোন সন্তান জন্মালে, সে automatically মুক্ত হয়ে যায়)! আমার জানা মতে বর্তমান পৃথিবীতে ইসলামের definition-এর ক্রীতদাসীর অস্তিত্ব কোথাও নেই এবং আগামী এক হাজার বছরে কোথাও থাকার কোন সম্ভাবনাও আমি দেখি না! তবে ১ বা ৫ হাজার বছর পর যদি মুসলিম উম্মাহ্ একজন বৈধ আমীরের অধীনে একত্রিত হয় এবং তখন যদি বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ হয়, আর সেই যুদ্ধে যদি নারী যুদ্ধবন্দী থাকে, আর সেই আমীর যদি decide করেন যে, ঐসব নারী বন্দীদের মুসলিম যোদ্ধাদের মাঝে slave হিসেবে distribute করে দেয়া হবে – (এতগুলো “যদি” কখনো একসাথে হলে) তবে হয়তো আপনি যে situation নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, সেটার উদ্ভব ঘটতে পারে। এত ifs and buts অতিক্রম করে আমার মাথায় ক্রীতদাসীর সম্ভাবনাটা আসেনি – আসলে আমি তা বলতে কুন্ঠা বোধ করতাম না! আগে যেমন বলেছি: passionate love বলতে আমি শারীরিক সম্পর্ককে বোঝাইনি, “passionate love”ই বুঝিয়েছি!! “ইচ্ছার বিরুদ্ধে” ব্যাপারটা আপনার বা আপনার সতীর্থদের কল্পনার ব্যাপার। দেখুন:




কোন “অবস্থান” মেনে নিতে না পেরে ধর্মত্যাগ করাটা, কোন অন্ধের হাতি সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করতে গিয়ে তার লেজ ধরে বা তার কান ছুঁয়ে হাতি কি/কেমন সে ব্যাপারে conclusion-এ পৌঁছানোর মত ব্যাপার। আপনার/আমার চেয়ে অনেক বড় মাপের মানুষরা এসব “অবস্থান” সম্বন্ধে অবগত হয়েও ইসলামে এসেছেন। ২/৩ টি উদাহরণ নীচে দিচ্ছি, সময় করে দেখে নেবেন:






ইসলামের মাঝে এসে তাদের প্রশান্তি লাভের কারণ হয়তো বা এটা যে, তারা সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে আগে নিশ্চিত হয়েছেন, নিশ্চিত হয়েছেন নবীর বা কুর'আনের সত্যতা সম্বন্ধে - তারপর তারা সৃষ্টি সম্বন্ধে বা বিধি-নিষেধ নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে বা সেগুলোর wisdom সম্বন্ধে জানতে/বুঝতে চেষ্টা করেছেন। যতটুকু বুঝেছেন সেটুকুর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, আর যা বোঝেন নি, তাতেও সংশয় বোধ করেন নি – কারণ সৃষ্টিকর্তার সকল “হিকমাহ” বা wisdom তার সৃষ্টিকে বুঝতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা থাকার কথা নয়। জাগতিক উদাহরণ দিলেই স্পষ্ট হবে: একজন ফ্রিজের maker বা manufacturer যখন একটা ফ্রিজ বানিয়ে বাজারজাত করেন, তখন তিনি সাথে একটা instruction manual দেন - যাতে ঐ ফ্রিজের "জীবদ্দশায়" সেটার smooth running ও maintenance-এর জন্য যা যা প্রয়োজন তা লিপিবদ্ধ থাকে। ঐ ফ্রিজের manufacturer হিসেবে ব্যাপারগুলো সম্বন্ধে তারই সবচেয়ে ভালো জানার কথা, এটা সবাই স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয়। ফ্রিজ কখনো তার manufacturer-কে জিজ্ঞেস করে না যে, তাকে কেন 220v-এ প্লাগ-ইন করতে হবে, 110v-এ কেন নয়? একইভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করে, আমাদের জন্য কুর'আন-হাদীসের রূপে instruction manual দিয়ে দিয়েছেন। জড় বস্তু না হয়ে, rational animal হবার সুবাদে, আমরা হয়তো যে কোন বিধানের প্রজ্ঞা জানতে চেয়ে গবেষণা করতে পারি - তাই বলে anthropomorphic মানসিকতার বশবর্তী হয়ে, আল্লাহকে নিজের মত জ্ঞান করে, আল্লাহর সকল প্রজ্ঞা আমরা বুঝবো/জানবো এমনটা ভাবা অর্বাচীনসুলভ!

আপনি আরও বলেছেন:
F)আপনি উল্লেখ করেছেন কোন এক রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায় মানুষ গান বন্ধ রেখে ধর্মাচরনে যায়নি দেখে আপনি বিস্মিত হয়েছেন। আচ্ছা সেখানে কি সবাই অশিক্ষিত- অমার্জিত- অসচেতন ছিল? নাকি ঠিক বিপরীত? এই শ্রেনীর মানূষ যে ধর্মাচরন করেন না তাকি ওই রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যায় - নাকি আরো সব সন্ধ্যায়? এর কারন কি?
এর কারন কি এমন হতে পারে যে তারা ধর্মের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন কিন্তু নৃসংশতার ভয়ে তা প্রকাশ করছেন না? তারা কি জেনে গেছেন যে , কোন মানূষ যদি নিজের বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে ধর্মে যোগ দেন তাহলে ধর্ম তাকে মহা সমারোহে বরন করে নেয়- কিন্তু সেই একই মানুষ যখন সেই একই বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে ধর্ম ত্যাগ করতে চান- ধর্ম তখন তাকে দেয় মৃত্যুদন্ড? তারাকি অপেক্ষা করছেন এমন দিনের যখন ধর্মাচারীদের জবরদস্তি বন্ধ হবে আর তারা নির্ভয়ে নিজের বিবেক বুদ্ধি অনুসারে জীবন চালাতে পারবেন?

FF) এবারে যে প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন, তা নিয়ে শত শত পৃষ্ঠা লেখা যায়। কখনো ভেবেছেন প্রচলিত শিক্ষা বা উচ্চ শিক্ষা আসলে কি? তা কি মানুষকে "আশরাফুল মাখলুকাত" বা সৃষ্টির সেরা জীব বানাতে পারে? ক'দিন আগে আল-জাযিরায়, অক্সফোর্ড ইউনিয়নে আয়োজন করা একটা প্রশ্নোত্তর সেশনে দেখলাম - অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড, উচ্চশিক্ষার উভয় স্বপ্নলোকে শিক্ষকতা একজন পাষন্ড কিভাবে এক পৃথিবী মানুষের সামনে, সমানে মিথ্যা কথা বলে গেলো!

আর এই দানবটাকে দেখুন - পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তাকে "মানুষ" বানাতে পারেনি। সেখানে শিক্ষকতা করা এই পাষন্ডকে নিজেদের মাঝে রাখতে না পেরে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ তাকে ২০১১ সালে বরখাস্ত করেছে:



"উচ্চশিক্ষা মুদ্রার" উল্টোপিঠটা যারা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তারা মনে করেন যে, উচ্চশিক্ষা হচ্ছে ruling class সৃষ্টি করার একটা "ফিল্টার" - এই ফিল্টার গলে যারা বেরিয়ে আসবেন তারা, বিনা বাক্যব্যায়ে His Master's Voice-এর ছবির অনুকরণে তাদের প্রভুদের ইচ্ছা পূরণে সদা-সর্বদা আজ্ঞাবহ হবেন/থাকবেন। এভাবেই pyramidal hierarchy কাজ করে। আপনার দেশের বাড়ীর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্যক্তিরা আপনাকে যে "চরিত্র-সনদ" দিয়ে থাকেন - যেটা ছাড়া উচ্চ-শিক্ষার সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা প্রায় অসম্ভব - কখনো ভেবে দেখেছেন সেটা আসলে কি? আপনার ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, তারা কি সত্যিই আপনাকে ব্যক্তি পর্যায়ে চেনেন, যে তিনি আপনাকে "ফুলের মত পবিত্র" বলে সত্যায়িত করছেন?? না! তারা হয়তো কখনো "ব্যক্তি আপনাকে" দেখেনও নি!! তাহলে ঐ সনদের অর্থ কি? ঐ সনদের অর্থ হচ্ছে আপনি সিসটেমের ভিতরে, সিসটেমের কাছে আত্মসমর্পণ করা একজন মানুষ - স্রোতের বিপরীতে চলতে চাওয়া কোন বিদ্রোহী বা trouble maker নন - আপনি কোন সম্ভাব্য Ezra Pound বা Noam Chomsky নন যে পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ও প্রতিপত্তিশীল (নিজের) দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে জ্ঞান করবেন এবং চ্যালেঞ্জ করে বসবেন! ব্যস হয়ে গেল - আপনার অদৃশ্য প্রভুরা এবার আপনাকে নিয়ে আর চিন্তিত নয় - বরং আপনি ভেড়ার পালের একজন জেনে তারা নিশ্চিন্ত! George Orwell বেঁচে থাকলে দেখতেন যে, তার 1984 বইয়ের ভবিষ্যৎ-ভীতিগুলো কি দারুণ/করুণভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে!


যাহোক, যা বলছিলাম - শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষা তাই কিছু mean করে না - ওসব ছাড়াই রবীন্দ্রনাথ বা Bill Gates তাদের নিজ নিজ field-এর শীর্ষে যেতে পারেন/পেরেছেন। সুতরাং শিক্ষিত হলেই মানুষের এমন "মানসিক উৎকর্ষ" সাধিত হয় যে, he becomes too great to practice religion - একথা ঠিক না। বরং ইসলামের বেলায় ব্যাপরটা ঠিক উল্টো! আপনি যাদের উচ্চ-শিক্ষিত বলবেন, সে সমস্ত নাস্তিক/বিধর্মীরাই স্বেচ্ছায় শান্তির খোঁজে ইসলামে প্রবেশ করেছেন। বিশ্বাস না হয় দেখুন:
view this link

মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐসব "রবীন্দ্র-সন্ধ্যায়" আমার সাথে মুসলিম নামধারী আরো যারা শ্রোতা-দর্শক ছিলেন, আমি নিশ্চিত যে তাদেরও অধিকাংশ, আমারই মত, নিজেদের তথাপি মুসলিমই মনে করতেন - তাদেরও জন্মের পরে আক্বীকা করে মুসলিম নাম দেয়া হয়েছে; আর তারাও তাদের নবজাত সন্তানদের বেলায় তাই করে থাকেন। তারাও হয়তো কদাচিৎ একটা বাহারী পাঞ্জাবী গায়ে মসজিদে জুমায় যেতেন - আর তা না হলে অন্তত ঈদে তো নামাযে যেতেনই। আমারই মত তারা "মোল্লা" ডেকে বিয়ে পড়েছেন - বাবা-মা মারা গেলে "মোল্লা" ডেকে জানাযা/দাফন সম্পন্ন করেছেন। এসব কিছুকে আপনি cultural Islam বলতে পারেন। তখনকার আমি বা আমার মত যারা ছিলেন তারা নিজেদের নাস্তিক মনে করতেন না, বরং "চালু মুসলিম" মনে করতেন। আমরা কখনো ইসলাম শিখিনি - বরং inherit করেছি। ঈমান কাকে বলে সেটা না জেনেই, নিজেকে ঈমানদার মনে করি আমরা। এদেশের পাঁড় কম্যুনিস্টরাও নিজেদের মুসলিম ভাবেন, তারাও হজ্জ করেন - মারা গেলে তাদেরও জানাযা হয়। সাধারণ মুসলিমরা তো নিশ্চিতই যে তারা যখন একবার কখনো কলেমা পড়েছেন, তখন তাদের জান্নাত ঠেকায় কে? এবার দেখেন নি পার্লামেন্টে তাদের প্রতিনিধিরাই "কোভিড১৯" থেকে পরিত্রাণ পেতে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে তওবা/ইস্তেগফার করেছেন! হ্যাঁ, আহমেদ শরীফ, ওয়াহিদুল হকের মত গুটি কয়েক আছেন যারা জীবনে ও মরণে সত্যিই নাস্তিক/অবিশ্বাসী। তার বাইরে "রবীন্দ্র-সন্ধ্যায়" উপস্থিত "সাধারণ" মুসলিমরা ধর্মে "আস্থা হারিয়েছেন" ধরে নেয়াটা মারাত্মক ভ্রান্তি - তখনকার আমারই মতই, (ইসলাম) ধর্ম কি তারা তা কখনো শেখেন নি বা জানেন নি। যাদের দায়িত্ব ছিল তাদের বা আমাকে জানানোর, তারা তাদের দায়িত্ব ঠিক মত পালন করেন নি। সুতরাং তারা, উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরা, বলা যায় ধর্ম সম্বন্ধে "অসচেতন" ছিলেন। তারা বোঝেন নি যে, বিনোদন তাদের জীবন চুরি করে নিচ্ছে - একজন মুসলিমের (বা যে কোন মানুষের) জীবনের অনিবার্য সত্য যে "মৃত্যু", বিনোদন সেটা ভুলিয়ে রাখছে! শ্রোতা-দর্শকরা বাস্তবতা ভুলে স্বপ্নের জগতে "বুঁদ" হয়ে থাকলেও, তাদের Pied Piper ঠিকই বুঝতেন যে, মহাবিশ্বের সবকিছু নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ধেয়ে চলেছে। তাই তিনি গ্রহ/তারা/রবি সম্বন্ধে বলেছিলেন: "আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী"!

এবার আপনার শেষ "আপত্তির" কথায় আসা যাক। ইসলাম ত্যাগ করলে "মৃত্যুদন্ড" নিয়ে আপনার উদ্বেগের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন। আচ্ছা, বাংলাদেশে ইসলাম ত্যাগের কারণে কখনো একজন মানুষেরও কি মৃত্যুদন্ড হয়েছে? হয়নি! কারণ বাংলাদেশ কোন ইসলামী রাষ্ট্র নয় বা ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র নয়। বাংলাদেশে তাই মুরতাদরা তাদের ধর্মত্যাগ করেও, মুক্ত বায়ু সেবন করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন - নিজেকে বিশেষ "আঁতেল" শ্রেণীর বলে পরিচয় দিয়ে গর্ব করতে পারেন। বিপত্তি দেখা দেয় যখন কেউ ইসলাম, ইসলামের নবী বা আল্লাহকে গালি-গালাজ করতে শুরু করেন। ইসলামকে গালি-গালাজ করলে যদিও তাৎক্ষণিকভাবে অনেক পার্থিব প্রাপ্তির দ্বার খুলে যায় (কখনো ইউরোপীয় দূতাবাসের কর্মচারী পাসপোর্ট-ভিসা হাতে করে নিয়ে এসে বীর মুরতাদ যোদ্ধাকে রাজকীয় সম্মান সহকারে প্লেনে তুলে দেন - আবার কখনো তৃতীয় শ্রেণীর পাবলিক মেডিকেলের নষ্টা ছাত্রীকে ইসলাম বিদ্বেষের যোগ্যতাবলে সরাসরি হার্ভার্ডের কেনেডী স্কুল অফ গভার্নেন্সে ফেলোশিপে পুরস্কৃত করা হয়) - তবু, কাজগুলো যখন কেউ করেন, তখন সেটার প্রতিবাদ করা যে কোন মুসলিমের জন্য অবশ্যকরণীয় হয়ে যায় - তার মানে এটা নয় যে, প্রতিবাদের নামে কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন! "হুদুদ" শাস্তিগুলো (যেগুলো সরাসরি আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত) প্রয়োগ করা কেবলই (ইসলামী) রাষ্ট্রের দায়িত্ব, ব্যক্তির নয়।

এখন ইসলামের এই বিধানটার প্রসঙ্গে আসি। ইসলামে সাতটা অপরাধকে খুব গর্হিত জ্ঞান করা হয়, যার প্রতিটিই "সমাজ বিনষ্টকারী"। আপনি যদি আপনার নিজের ঘরের অন্ধকার কোণে বসে মদ পান করেন, তবে আপনি নিজেকেই কেবল নষ্ট করলেন - ইসলামী রাষ্ট্র খুঁজে খুঁজে আপনার ঘরের ভিতর এসে আপনাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শাস্তি দেবে না! কিন্তু আপনি public space/place-এ মাতলামী করলেন, আপনার উপর "হুদুদ" শাস্তি প্রয়োগ করা হবে - কারণ আপনাকে সেটা নির্বিঘ্নে চালিয়ে দিতে দিলে, মদ পান করার মত একটা "সমাজ বিনষ্টকারী" বিষয় সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।

ইসলামী রাষ্ট্রে, কোন মুসলিমের "প্রকাশ্যে" ইসলাম ত্যাগ করাকে treason হিসাবে গণ্য করা হয় এবং ইসলামের "প্রসঙ্গ কাঠামো" মোতাবেক গণ্য করা এই treason যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ না করে, সে জন্যই ইসলাম ত্যাগ করে সমাজে সেটাকে প্রকাশ্যে প্রচার করে বেড়ানো মুসলিমের জন্য, শর্ত সাপেক্ষে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে ইসলামী রাষ্ট্রের কাজী/বিচারক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবেন - তার কোন ওজর থাকলে (যেমন অজ্ঞতার অজুহাত) ইত্যাদি শুনবেন, তাকে বোঝাবেন এবং তওবা করে ফিরে আসার জন্য সুযোগ দিয়ে সময় বেঁধে দেবেন। তাতেও না হলে তার ওপর "হুদুদ" শাস্তি প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা আবশ্যক যে, সৌদী আরব ছাড়া আর কোন দেশ ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত নয় (যদিও তাদের সিস্টেমেও অনেক খুঁত রযেছে) - সুতরাং এই মৃত্যুদন্ড আর কোন দেশে কার্যকর হবার সুযোগ নেই। এছাড়া পৃথিবীর মানচিত্রে এমন অনেক দেশ পাবেন, যেখানে জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের treason বা বিশ্বাসঘাতকতাকে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। Edward Snowden-এর কথাই ধরুন না - land of the free-র নাগরিক হয়েও, প্রাণভয়ে কিভাবে গর্তে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাকে! তাছাড়া কোন অপরাধকে কোন "সিস্টেম" কতটুকু গুরুতর মনে করবে, সেটা সেই "সিস্টেম"-এর reference frame এবং belief system-এর নিরিখে বিচার করা হয়। এক কালের ইটালিয়ান সুপার স্টার সোফিয়া লরেন ট্যাক্স ফাঁকি দেবার মামলায় জেল খেটেছেন, কিন্তু ঐ একই বিচার ব্যবস্থায় বহু পুরুষের শয্যাসঙ্গী হলেও তার কোন শাস্তিই হতো না।

আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আমাদের নবীর দায়িত্ব এটুকুই ছিল, আমারও কেবল এটুকুই। আপনার হেদায়েত হবে কিনা সেটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন ব্যাপার, আমার নয়!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×