শৈশবের দিনগুলোতে আমার কাছে শফিক রেহমান নামটি ছিলো এক অদ্ভুত মায়ার নাম। তখন বয়স কম বলে হয়তো তার লেখাগুলো সম্পূর্ণ বুঝতে পারতাম না, তবুও তার লেখার মধ্যে একটা আলাদা মজা ছিল। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের মইন-মিলা যুগলের আলাপচারিতায় আমি হারিয়ে যেতাম। তাদের মধ্য দিয়ে রাজনীতির জটিল বিষয়গুলো এত সহজে বোঝানো হতো যে আমার মতো একজন ছোট্ট ছেলেও তা উপভোগ করতে পারতাম।
যায়যায়দিনের ভালোবাসা সংখ্যাগুলো ছিলো আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ। ভালোবাসা নিয়ে এত সুন্দর লেখা আমি আগে কখনো পড়িনি। পত্রিকার সেই স্লোগান "পাঠকই এর লেখক এবং লেখকই এর পাঠক" আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল।
পরে যখন শফিক রেহমানকে লাল গোলাপ অনুষ্ঠানে দেখতাম, তখন মনে হতো যেন মইন-মিলা আমার সামনে বসে আলাপ করছে। তার কথা বলার ধরন, প্রেজেন্টেশন, সবকিছুই এত সুন্দর ছিল যে মন মুগ্ধ হয়ে যেত।
আজ যখন জানতে পারলাম লাল গোলাপ আবার শুরু হচ্ছে, তখন অতীতের সব স্মৃতি ফিরে এলো। শফিক রেহমানের সুস্থতা এবং সফলতার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দোয়া করি। আশা করি, এই অনুষ্ঠান আবারো দর্শকদের মন জয় করবে।
এই লেখাটি শুধু একটি স্মৃতিচারণ নয়, বরং শফিক রেহমানের প্রতি আমার একান্ত শ্রদ্ধা। তিনি একজন সফল সাংবাদিক, উপস্থাপক এবং লেখক হওয়ার পাশাপাশি একজন দক্ষ কলাকুশলীও। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
আমার মতে, শফিক রেহমান বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়। তিনি একজন প্রেরণার উৎস। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি একজন আদর্শ।
আমি আবারো শফিক রেহমানকে তার নতুন উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮