দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুলিশ সংস্কার কমিশন পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ভবিষ্যতে কনস্টেবল থেকে বিভাগীয় পরীক্ষা দিয়ে একজন এসআই, এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত পদোন্নতি পাবে। আর কনস্টেবল নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে এইচএসসি।
এই সুপারিশের ফলে কি হতে পারে?
এই সুপারিশের ফলে থানা পর্যায়ে পুলিশের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে এসআই পদে নিয়োগের জন্য স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। কিন্তু নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পাওয়া একজন ইন্সপেক্টরের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে এইচএসসি।
এর ফলে জনগণ কি ধরনের পরিষেবা পাবে?
মানুষের সাথে আচরণ: শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হলে পুলিশ সদস্যদের মানুষের সাথে আচরণে সমস্যা হতে পারে। যারা উচ্চ শিক্ষিত, তাদের কাছে মানুষের সাথে কথা বলার, সমস্যা সমাধান করার এবং আইন-কানুন সম্পর্কে সচেতনতা বেশি থাকে।
তদন্ত ক্ষমতা: জটিল ঘটনা তদন্ত করার জন্য উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হলে তদন্ত কাজে সমস্যা হতে পারে।
প্রযুক্তি ব্যবহার: আধুনিক যুগে পুলিশকে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উচ্চ শিক্ষিত হওয়া জরুরি।
এই সুপারিশের পক্ষে যুক্তি:
খরচ কমবে: কম শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ করলে সরকারের খরচ কমবে।
বেকারত্ব কমবে: কম শিক্ষিত ব্যক্তিরাও পুলিশে চাকরি পাবেন।
পুলিশের সংখ্যা বাড়বে: কম শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে বেশি সংখ্যক লোককে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
উপসংহার:
পুলিশ সংস্কারের এই সুপারিশ বিতর্কিত। একদিকে যেমন এটি খরচ কমবে এবং বেকারত্ব কমবে, অন্যদিকে এটি পুলিশের গুনগত মান কমিয়ে দিতে পারে। জনগণকে ভালো সেবা দিতে হলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যোগ্যতা উন্নত করতে হবে। এই সুপারিশের ফলে জনগণ কি ধরনের পরিষেবা পাবে, সেটি সময়ই বলবে।