
"লাকি ভাস্কর" ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সাধারণভাবে, একটি কৌতূহল ছিল যে ভেনকি আটলুরি, যিনি সাধারণত প্রেমের ছবি তৈরি করেন, তিনি কিভাবে একটি ভিন্ন ঘরানার ছবি পরিচালনা করেন। এই আলোচনাটি সেই সকল দর্শকের জন্য যারা একটু ভিন্ন স্বাদের সিনেমা পছন্দ করেন এবং সিনেমার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করতে আগ্রহী।
সিনেমার গল্পটি ১৯৮০-এর দশকের মুম্বাইয়ের পটভূমিতে তৈরি। ভাস্কর, একজন ব্যাংক কর্মচারী, যিনি তার কাজের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি পান না। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করেন। এই ঘটনার পর কাহিনীর মোড় কোন দিকে ঘুরে যায়, তা নিয়েই সিনেমার মূল আকর্ষণ।
"লাকি ভাস্কর" ছবিটি শুধু একটি চুরির গল্প নয়, এটি সেই সময়ের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির একটি প্রতিচ্ছবি। সিনেমায় বঞ্চনা, ভাগ্য এবং মানুষের জীবনের জটিলতা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
চরিত্রায়ণ: ছবির প্রধান চরিত্র ভাস্কর এর ভূমিকায় দুলকার সালমান অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রটি একাধারে সরল এবং জটিল, যা তিনি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্যান্য চরিত্রগুলোও বেশ বাস্তবসম্মত।
পরিচালনা: ভেনকি আটলুরি তার পরিচিত ঘরানা থেকে বেরিয়ে এসে একটি ভিন্ন ধরণের ছবি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন, যা প্রশংসার যোগ্য। তবে কিছু জায়গায় চিত্রনাট্য আরও একটু গোছানো হতে পারত বলে মনে হয়েছে।
প্রযুক্তিগত দিক: সিনেমার সঙ্গীত এবং চিত্রগ্রহণ বেশ ভালো। ১৯৮০-এর দশকের মুম্বাইকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সিনেমাটি দেখার সময় কিছু প্রশ্ন মনে জাগে। যেমন, ভাগ্য কি সত্যিই মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে? নাকি মানুষের কর্মই তার ভাগ্য নির্ধারণ করে? এই সিনেমাটি এই ধরনের আরও অনেক গভীর প্রশ্নের জন্ম দেয়।
"লাকি ভাস্কর" একটি চিন্তামূলক এবং উপভোগ্য সিনেমা। যারা গতানুগতিকতার বাইরে ভিন্ন কিছু দেখতে চান, তাদের জন্য এই সিনেমাটি হতাশ করবে না। তবে, যারা নিখুঁত চিত্রনাট্য এবং দ্রুত গতির গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য সিনেমাটি কিছুটা ধীর মনে হতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


