এক নিঃসঙ্গ মাতার গল্প:
ইসলামে মারিয়াম (আ) একজন বিশেষ স্থানধারী নারী। তিনি একজন নিঃসঙ্গ মাতা হিসেবে সমাজের নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কুরআনে তাঁর জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে তিনি একজন পবিত্র, বিশ্বাসী এবং ধৈর্যশীল নারীর চিত্র হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি একাকীভাবে ঈসা (আ)-কে জন্ম দিয়েছিলেন এবং সমাজের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁকে লালন পালন করেছিলেন।
সমাজের বাধা বিঘ্ন:
মারিয়াম (আ)-এর সময়কালে সমাজে একজন অবিবাহিত নারীর গর্ভধারণ অকল্পনীয় ছিল। তিনি সমাজের নানা ধরনের অপবাদ ও অপমান সহ্য করেছিলেন। তবুও তিনি নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছিলেন।
আধুনিক সময়ে প্রাসঙ্গিকতা:
আজকের সমাজেও অনেক নারী একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। একাকী মাতৃত্ব, সমাজের নিন্দা, অর্থনৈতিক সংকট ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে মারিয়াম (আ)-এর জীবনী অনেক নারীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন: মারিয়াম (আ) নিজের জীবন নিজে চালানোর উদাহরণ। তিনি সমাজের চাপে না গিয়ে নিজের বিবেক অনুযায়ী কাজ করেছেন।
ধৈর্য ও সহনশীলতা: তিনি সমাজের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ধৈর্য ধরেছিলেন এবং সহনশীলতা দেখিয়েছিলেন।
বিশ্বাস ও আস্থা: তিনি আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস রাখতেন। এই বিশ্বাসই তাকে সব বাধা পেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।
মাতৃত্বের মহিমা: তিনি একজন মহান মাতা ছিলেন। তিনি ঈসা (আ)-কে একা হাতে মানুষ করে তুলেছিলেন।
বর্তমান সমাজের জন্য শিক্ষা:
আজকের সমাজের নারীদের জন্য মারিয়াম (আ)-এর জীবনী অনেক শিক্ষা বহন করে।
স্বাধীনতা: নারীদের নিজের জীবন নিজে চালানোর অধিকার রয়েছে।
সমানতা: নারী-পুরুষ সকলেই সমান।
সমাজের পরিবর্তন: সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
আত্মবিশ্বাস: নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
মারিয়াম (আ) একজন নিঃসঙ্গ মাতা হিসেবে সমাজের নানা বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর জীবনী আজকের সমাজের নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, স্বাধীনতা, ধৈর্য, বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে পারি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

