শৈশবের সরলতা আর আনন্দ খুঁজতে গেলে প্রথমেই চোখে ভেসে ওঠে বিকেলের নাশতার সেই বিস্কুটের প্যাকেট। একসময় গোলাপি রঙের মোড়কে মোড়া নাবিস্কো গ্লুকোজ বিস্কুট ছিল আমাদের শৈশবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্কুল থেকে ফিরে গরম দুধের সঙ্গে সেই বিস্কুট খাওয়ার আনন্দই ছিল সেরা নাশতা। আজকের মতো এত বৈচিত্র্যময় বিস্কুটের সমাহার ছিল না তখন, কিন্তু তাতেই যেন ছিল এক অনন্য সুখ।
সময়ের সঙ্গে বিস্কুটের প্যাকেটের আকৃতি ছোট হয়ে আসছে, স্বাদও যেন বদলে যাচ্ছে। আগে যেই পাঁচ টাকার বিস্কুট প্যাকেট বড়সড় আর মজাদার ছিল, এখন তা অনেকটাই সংকুচিত। কলেজ জীবনে এলাচি বিস্কুট ছিল অন্যতম প্রিয়, বড় প্যাকেট ভর্তি ছোট ছোট বিস্কুট। বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়ার সেই মুহূর্তগুলো যেন আজও মনে পড়ে। তখন দামও ছিল সাধ্যের মধ্যে, স্বাদেও ছিল এক ধরনের পরিপূর্ণতা।
আজকের বাজারে বিস্কুটের দাম বেড়েছে, আটা-ময়দার মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্যাকেট ছোট হয়ে গেছে। সম্প্রতি সরকার বিস্কুট ও কেকের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করেছে, কিন্তু তাতেও প্রশ্ন থেকে যায়—বিস্কুটের সেই সোনালি সময় কি ফিরে আসবে? আমরা কি আবার সেই স্বাদের বিস্কুট খেতে পারব, যে বিস্কুটের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের শৈশবের স্মৃতি?
সীমিত আয়ের মানুষের জন্য পাঁচ-দশ টাকার বিস্কুট এখনো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলার সেই বিস্কুটের প্যাকেট হাতে নিয়ে আজও মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা। হয়তো স্বাদ আর আগের মতো নেই, কিন্তু স্মৃতির মিষ্টি অনুভূতি ঠিকই রয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



