somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাকিব খানকা ইন একশন!!! (একটি রম্য পুশট!)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

warning: গালিগালাজ পূর্ণ। নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন!



১।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা। বংশাল ইউনিয়নের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- জনাব মহিন!

প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আসসালামু আলাইকুম। জাতির জীবনে এ বড় খুশির দিন। এ বড় আনন্দের দিন। খুশির দিন, কেননা আপনাদের মহিন আজ মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি শুধু বংশালের মেয়রই হতে চাই না, আমি চাই জনতার মেয়র হতে। আজ থেকে আমি আপনাদের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসাইয়ে দেব ইনশাল্লাহ!



২।
কিও জব্বার ভাই কি অবস্থা?
হারে ভাই কি বলব আর বাজারে যে খারাপ অবস্থা, ব্যাবসা তো চাঙ্গে উঠসে!
হাঁ ভাই ঠিক ঠিক বাজারে যে অবস্থা মানে কি যে বলব আমি ভাই ভেবে পাইচ্ছি না...
ক্যান কি হইসে করিম ভাই?
আপনি জানেন না? জামবু মিয়া যেই মাস্তানি করতে আছে, আপনি জানেন না? ঘুমান নাকি?
মদন ভাই মাথা গরম কইরেন না। আঙ্গো নতুন মেয়র মহিন ভাই তো আস্থা দিল তিনি আমগো লগে আছেন।
আরে দুরো তোমার মহিন। হে তো একটা লেবেন্ডিস। হে তো জামবুর একটা বালও ছিঁড়বার পারবো না!
কে কইল আপনারে এ কথা?
ক্যান হাছা কথাই তো কইছে।
হেই মিয়া তুমি মহিনরে চেন?
আরে আপনি আমারে ধাক্কায়া হালায় দেন কিলা?
আরে আপনারা শান্ত হউন!
আরে বাল জামবুর জ্বালায় মাল আউট হইয়া যাইতে আচে।
আপনে জানেন হে শাকিব খানের চুঠো বাই?!
আরে মারসে!

আল্লা আল্লা একি অবস্থা! এখানে কি মারামারি চলছে?
না না সার কিছু হয় নাই।
সার আর কি বলব দুঃখের কথা। আমরা সবাই জামবুর হাতে জিম্মি হয়ে আছি।
পরতি মাসে হেরে চান্দা দিতে দিতে জান বাইরইয়া গেল!
হায়রে সার!

হুম, ভাইসাব আপনারা কুন টেনশন নিবেন না। আপনারা আজ থেকে কাউকে কুনো চাদা দিবেন না। আমি তো আছিই, দেখি কোন শালার বেটা কি করে! ঠিক আচে ভাইসাবেরা আমি চললাম আসসালামু আলাইকুম!
দেখসেন সারের কত সাহস!


৩।
হেই কিইলো! আ-আমার সামনে গাড়ি এসে থামলো!
কিরে আবুইল্লা! তুর নাম কি জানি?
কে আপনি? হু দা হেল ইউ আর? সরেন কইলাম...
হাহাহাহাহা...!!!
পাগল নি কোন!
ওই শালাশশালা তুই আমারে চিনস? তুই জানস আমি কে?
না জানি না।
তুর সাহস তো কম না!
মুখ সামলে কথা বলুন!
হাহাহাহা... তুই খানকির পুলা আমারে কথা কওন শিখাস!
আপনি কি চান পষ্ট করে বলুন।
আমি কি চাই? আরে মাদারচুত আমি জামবু এই এলাকার গডফাদার। সবাই আমারে মাসে মাসে চাদা দেয়। হুনলাম তুই বলে বাজারে যাইয়া খুব পাট লয়া আইসস? শুন, তুই নতুন পোলা তাই এইবার কিছু কইলাম না। ভবিষ্যতে এরুকুম দেখলে কইলাম ঠেংড়ি ভাইঙ্গা লেংড়ি বানায়া দিমু শালা চোদানি ভাই!

যা কইলাম বুঝছস?
হু...
হু ভালা কইরা হুইনা রাখ। পরে আবার সানডে-মানডে ক্লোস অইয়া যাইব তোর। হেহেহে! হেই সেন্টু গাড়ি ছাড়!
ইউ ইডিয়েট বাশটেড!



৪।
আল্লা আল্লা এখন আমি কি করি! হায় হায় রে! মহিন ভাইয়ের কথায় চান্দাটা তো দিলাম না, এখন জামবুর গুন্ডা যে আমারে মাইরা ফেলবে! হায় আল্লাহ ইহুমিহু!...

ওওওইইত চাল্লাআআআ!
কিরে আক্কাস! কি অবস্থা তুর? ভালই তো আছস মনে অয়। ওই মহিন না ফহিনের আস্কারা পাইয়া তুর লুলু বাইড়া গেসে না? দাড়া তুর লুলু ঠিক করি।
খবরদার শয়তান ছেঁড়ে দে বলছি!



৫।
আরে আরে কি কস তুই? ওই চুদনার বেটা কি কইলি তুই য়ে? শুউরের বাচ্চা! ওই কুদ্দুস ভাং সবকিছু, উল্টায়া দে, ফাল্টায়আ দে! পুরা ছাত্রলীগ বানায়া দিমু সবকিছু আইজকা!
ভাং শালা, পোদে তেল বাইরা গেছে চান্দা দেয় না। আজকে চান্দা হের পুন দীয়া বাহির করুম আমি!!
বস! ফাডায়া লইসেন পুরা!
কিন্তুক ওই শালার বেটা কই গেলু?
কি রে শুয়োরের বাইচ্ছারা! এই আমার হাতে বন্দুক দেখসস? পুরা হেন্ডকাপ করে দিব হেন্ডকাপ! হাত তুলে খাড়া বদমাইশের নাতি! আমার দোকান ভাংতে আসছস? দাঁড়া তোগোর উচিত শিক্ষা দিতেছি আমি!
ভাই ভাই মাফ কইরা দেন ভাই! আমরা অসহায় এতিম নিষ্পাপ মাসুম!
ইয়া মাবুদ!
হে হে হে হে হে!
কিরে আক্কাইচ্যা! এত সাহস তুই কই পাইলি আমার লোকেরে গুল্লি মারস?


৬।
ওই ঝন্টু বান্টু দে হালার দোকান উড়াইয়া!
জো হুকুম বস! হোইইইইইইত!!!


৭।
তবেরে শয়তান! (আহ আহ হাঁ!)
ইয়াহুউউউউ! (ও আল্লা গোওও!)
এবার মজা বুঝ শালা জামবু! হৈইইইত! (আআআআআ!)
আআআআআআআআহহহহ!!!!! মর গায়ি!


৮।
আ আহ!
আরে বাপরে আমি মানে মানে ভাগি!
জামবু শালার শালা পালিয়ে যাচ্ছে। ওকে ধরতে হবে।
ওমা ওমা একি হোন্ডার চাকা পাংচার হয়ে ফুটে গেছে! আআহ আহ আআআহহহ! আল্লাআআহ!
আয় হায় একি দশা! সামনে মাস্তানের গাড়ি! বুঝা গেছে শাকিব খান জিন্দাবাদ!
আআআআআআআআআআআআআহ!
ে ে ে এহাআআআ!
এহ এহ এহ!
কিরে সেন্টু!
বস বস আমারে মাফ কইরা দেন। ঈমানে কইলাম আমি ভাল হইয়া যাব!
না শয়তান তোর পাপের প্রায়শ্চিত্ত তোকে করতেই হবে! মর ইবলিশ!

আল্লা আল্লা আমারে বাচান আক্কাস ভাই আমি মরে গেলাম! আআআ!!!



১০।
আহ আহ কাছে চলে এসেছি! আর একটু! মহিনের কাছ থেকে আমাকে পালাতেই হবে!
জামবু নিশ্চয়ই এদিকেই গেছে! হুহুবা!


১১।
এ! একি!
হেহেহে মহিন! তুমি বাঘের খাঁচায় এসে ঢুকেছ! এখন তোমায় আমি তিলে তিলে মারব!
আরে বাপরে এ এ এগুলি কি!
হাহাহা!
তুমি ভুলে গেছ আমি ছাকিব খানের ছুট ভাই। আমি আন্ধার রাইতেও দেখতেও পাই! ইয়া ঢিসুম!
ওই! ওয়িইইইইইইইইইইই!!!
১২।
আআহ! ভাই মহিন তুই আমারে ছাইড়া দে আমি তুরে অনেক টেকা দিমু!
না!!!
তোরে ধন দিমু মাল দিমু!
চোপ!!! তোর আজকে খবর আচে! তুই অনেক জ্বালাইসস! আইজ তোর জ্বালানি নিভামু আমি!

হা...ওই ওইত শাল্লা তুই আমার কি করবি আমি এই সিড়ি দীয়া নাইমা পলায়া জাপান চইল্লা যামু তুই আমার বাল্ডাও ছিঁড়তে পারবি না খানকার পোলা! তুরে আমি দেইক্ষা নিমু পরে!
হেহ তাই নাকি! একবার পিছে চেয়ে দেখ!

“জামবুর দুই গালে/জোতা মারো তালে তালে”



হাএহ! একি!
মরার জন্য প্রস্তুত হ জামবু!
নাআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআআহহহ!!!!!


আরে আরে! জামবু মইরা গেসে! ভায়েরা! জামবু মইরা গেছে! আহাহা কি আনন্দ জামবু মইরা গেছে! মহিন ভাই জিন্দাবাদ! মহিন ভাই জিন্দাবাআআআআআআআআআআআআআআআদ!!!
:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/:-/












২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×